JU Student Death: হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু-কাণ্ডে যাদবপুরের ৩ ছাত্র ইউনিয়নকে নোটিশ হাইকোর্টের
Calcutta High Court: শুক্রবার দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ইউনিয়নের নামে পাঠানো হয়েছে নোটিস।
কলকাতা: যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের (Jadavpur University) হস্টেলের ঘটনায় এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ছাত্র ইউনিয়নকে (Student Union) পার্টি করা হল। পার্টি করে নোটিস পাঠাল কলকাতা হাইকোর্ট। ছাত্রদের বক্তব্য শুনতে ছাত্র ইউনিয়নকে মামলায় পার্টি করতে নোটিস হাইকোর্টের। শুক্রবার দুপুর নাগাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন ইউনিয়নের নামে পাঠানো হয়েছে নোটিস। যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে আর্টস, সায়েন্স এবং ইঞ্জিনিয়ারিং এই তিন বিভাগের পড়ুয়াদের জন্য় ছাত্র ইউনিয়ন রয়েছে।
পথে গেরুয়া শিবির:
এদিনই যাদবপুর ইস্যুতে পথে নেমেছে এবিভিপি এবং বিজেপি যুবমোর্চা। গেরুয়া শিবিরের 'যাদবপুর বাঁচাও' মিছিল ঘিরে তুঙ্গে উত্তেজনা। পুলিশের ব্যারিকেড ভেঙে মিছিল করে এবিভিপি। আটক করা হয় বেশ কয়েক জন এবিভিপি (ABVP) সমর্থককে। গোলপার্ক থেকে যাদবপুর এইট বি বাস স্ট্যান্ড পর্যন্ত মিছিল ছিল। মিছিল ঘিরে পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়েন এবিভিপি এবং বিজেপি যুবমোর্চার সদস্যরা।
সিসিটিভি নিয়ে ডামাডোল:
ছাত্রমৃত্যুর ১৫ দিন পরও যাদবপুরে বসল না সিসিটিভি (CCTV)। আজ সিসিটিভি বসানোর প্রস্তুতি শুরুর কথা থাকলেও কোথায় ক্যামেরা? এমন আবহাওয়ায় কবে সিসিটিভি বসবে জানি না, মন্তব্য যাদবপুরের রেজিস্ট্রারের। 'আজ এসেছি, ওয়ার্ক অর্ডারে সই করব, দেখা যাবে', মন্তব্য রেজিস্ট্রারের। ছাত্রমৃত্যুর পরও সিসিটিভি বসানো নিয়ে টালবাহানা কেন? উঠছে প্রশ্ন। এই ঘটনায় কটাক্ষ ছুঁড়ে দিয়েছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তাঁর দাবি, 'কেন্দ্র চাঁদে ক্যামেরা পৌছে দিয়েছে। এবার রাজ্যের কাছে চ্যালে়ঞ্জ যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ে সিসিটিভি বসানো।'
বারবার প্রশ্ন যাদবপুর ঘিরে:
হস্টেলে ছাত্রমৃত্যু ঘিরে এখনও শোরগোল চলছে। তারই মধ্যে ফের সামনে এল বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তার প্রশ্ন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসে সেনার পোশাকে একাধিক লোকজন ছিলেন। তাঁরা কারা সেটা নিয়েই উঠেছে প্রশ্ন। তাঁরা সেনার লোক নয়, জানিয়ে দেওয়া হয়েছে সেনার তরফেও। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের তরফেও শুক্রবার দুপুর পর্যন্ত কোনও সদুত্তর মেলেনি। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করেছে যাদবপুর থানা। এই বিতর্ক নিয়ে এবার যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্বর্তী উপাচার্যকে নোটিস দিয়েছে পুলিশ। উপাচার্যের কাছে চাওয়া হয়েছে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ ও বেশ কিছু নথি। তলব করা হয়েছে ডিন অফ স্টুডেন্টসকেও। এই ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে চূড়ান্ত অসহযোগিতার অভিযোগ এনেছে পুলিশ। বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফ থেকে কোনও অভিযোগও দায়ের করা হয়নি, সেই কারণেই পুলিশকে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রুজু করতে হয় বলে দাবি।
আরও পড়ুন: কাফলিং ছিঁড়ে ১০০ মিটার এগিয়ে গেল ভিস্তাডোম ট্রেনের ইঞ্জিন, বড়সড় দুর্ঘটনা এড়াল রেল