TMC : চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর পর লাগাতার ধর্ষণ, পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে
Calcutta High Court : তৃণমূল নেতা প্রচণ্ড প্রভাবশালী বলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেই অভিযোগ মহিলার। যার পরই তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজির পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
![TMC : চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর পর লাগাতার ধর্ষণ, পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে Calcutta High Court Job Fake promise Physical assult and killing of baby in womb allegation against TMC leader TMC : চাকরির টোপ দিয়ে টাকা হাতানোর পর লাগাতার ধর্ষণ, পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে খুনের অভিযোগ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/09/05/0da3f6a106b5ef7b719d5e1a82a3efb6166238628505152_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রথমে টাকা আদায়। তারপর লাগাতার ধর্ষণের অভিযোগ! যার পরে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়লে পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ শিশুকে মেরে ফেলা! এমনই মারাত্মক অভিযোগ উঠল মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতার (TMC) বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত নেতা যথেষ্ট প্রভাবশালী বলে পুলিশ কোনও পদক্ষেপ করেনি, এমন অভিযোগ জানিয়ে রাজ্য পুলিশের ডিজির পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হলেন এক মহিলা।
প্রথমে চাকরির টোপ
রাজ্য সরকারের কোনও গ্রুপ সি কিংবা গ্রুপ ডি পদে চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে প্রথমে মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা ২০২১ সালের মার্চ মাসে তাঁর থেকে ১০ লক্ষ টাকা নেন বলে অভিযোগ মহিলার। অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা তাঁকে দু'মাসের মধ্যে চাকরি পাইয়ে দেবেন বলেই প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন বলেই অভিযোগ তাঁর।
লাগাতার ধর্ষণ
প্রথমে ওই তৃণমূল নেতা যে সময় চেয়েছিলেন তা পেরিয়ে গেলেও চাকরি দেননি বলেই অভিযোগ। যে বিষয় নমিয়ে তাঁকে চেপে ধরলে সে বিষয়টি এড়িয়ে মঙ্গলকোটের তৃণমূল নেতা তাঁকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের প্রস্তাব দেন বলেই অভিযোগ মহিলার। গত বছরের জুলাই থেকে সহবাসের সময় তিনি লাগাতার ধর্ষণের শিকার হন বলেই অভিযোগ
পেটে লাথি মেরে গর্ভস্থ সন্তানকে খুন
মহিলার অভিযোগ চলতি বছরের মার্চ মাসে অন্তঃস্বত্ত্বা হয়ে পড়েন তিনি। যার পরে ওই নেতা মহিলাকে বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে নিয়ে গিয়ে পেটে লাথি মারেন বলেই অভিযোগ তাঁর। যে আঘাতের জেরে গর্ভস্থ সন্তান নষ্ট হয়ে যায় বলেই অভিযোগ ওই মহিলার। যে ঘটনার কিছুটা পরে আউসগ্রাম থানায় ওই তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে তিনি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে যা স্থানান্তর করা হয় মঙ্গলকোট থানায়।
ডিজির হস্তক্ষেপ দাবি
মঙ্গলকোট থানায় অভিযোগ দায়ের হওয়ার পরে বেশ অনেকদিন কেটে গেলেও তৃণমূল নেতা প্রচণ্ড প্রভাবশালী বলে পুলিশ কোনও ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি বলেই অভিযোগ মহিলার। যার পরই তিনি রাজ্য পুলিশের ডিজির গোটা বিষয়টি নিয়ে পদক্ষেপ চেয়ে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার কোনও বক্তব্য এখনও মেলেনি।
আরও পড়ুন- ২৩ দিনের মধ্যে ২৩ জন টেট উত্তীর্ণকে চাকরির নির্দেশ হাইকোর্টের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)