Calcutta High Court : নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন, কিন্তু স্কুলের পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো ? সরকারি শিক্ষকদের প্রশ্ন বিচারপতির
Justice Biswajit Basu : রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে। আর, এদিকে ৪ লক্ষ কম ছাত্র-ছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কি লাভ? এটা অর্থের অপচয় হচ্ছে।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা : ৪ লক্ষ কম ছাত্র-ছাত্রী এবার মাধ্যমিকে (Madhyamik Exam 2023) বসছে। অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন ? কি লাভ? এটা অর্থের অপচয় হচ্ছে। আজ এই মন্তব্য করেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু। নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত করতে একাধিক পরামর্শও দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি সরকারি স্কুলের শিক্ষকদের উদ্দেশে বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) মহামান্য বিচারপতি ।
'অর্থের অপচয়'
বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে এবারের মাধ্যমিক পরীক্ষা। মধ্যশিক্ষা পর্ষদ সূত্রে খবর, এবার মাধ্যমিকে পরীক্ষার্থী কমেছে প্রায় ৪ লক্ষ। মোট পরীক্ষার্থীর সংখ্যা মাত্র ৬ লক্ষ ৯৮ হাজার ৬২৮। গত বছরের তুলনায়, এবার মাধ্যমিকের পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ লক্ষ কম হাওয়ার বিষয়টি এবার উঠে এল হাইকোর্টে। প্রাপ্য সংক্রান্ত একটি মামলায় এদিন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, রাজ্যে ১০ হাজার শিক্ষকের প্রয়োজন বলে ঘোষণা হয়েছে। আর, এদিকে ৪ লক্ষ কম ছাত্র-ছাত্রী এবার মাধ্যমিকে বসছে। এই অতিরিক্ত শিক্ষকের কী প্রয়োজন? কি লাভ? এটা অর্থের অপচয় হচ্ছে।
'নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো ?'
স্কুল শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বসু আরও বলেন, যে স্কুলে পড়ুয়া কম রয়েছে সেখানকার ছাত্রদের কাছের অন্য স্কুলে পাঠিয়ে দিন। তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রীকে জানান। আইনে বদল আনুন। এরপরই বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু (Justice Biswajit Basu) প্রশ্ন করেন, সরকারি টাকায় নিজের সন্তানকে বেসরকারি স্কুলে পাঠাচ্ছেন সরকারি স্কুলের শিক্ষকরা। ভাল কথা, কিন্তু নিজের স্কুলের সন্তানসম পড়ুয়াদের খেয়াল রাখছেন তো ?
কোনও পড়ুয়াকে যদি জিজ্ঞাসা করা যায় যে সে আপনাদের কাছ থেকে কী শিখছে ? সদুত্তর পাব তো ? উত্তর আপনাদের জন্য স্বস্তিদায়ক হবে তো ? একাধিক স্কুলে ৩০, ৩৫, ৫০ জন পড়ুয়া , অথচ দেখা যাচ্ছে ১০- ১৫ জন শিক্ষক আছেন। তাঁদের অন্যত্র বদলি করুন। নিজের অধিকারের HRA, CL, PL, CCL চাইছেন, কিন্তু পড়ুয়াদের অধিকারের কি হবে? স্কুল শিক্ষা দফতরকে পরামর্শ দিয়ে বিচারপতি বলেন, সরকারি কোষাগারের টাকার অপচয় হচ্ছে। এই সব স্কুল রেখে লাভ কী? অন্য স্কুলের সঙ্গে মিলিয়ে দিন। এটা না করতে পারলে, পরের নিয়োগ প্রক্রিয়া ঝঞ্ঝাট মুক্ত হবে না। কারণ, নিয়োগের সময় এই সব স্কুলে শূন্যপদ দেখাবে। সেখানে নিয়োগ করতে হবে। অর্থের অপচয় হবে।