Tapan Kandu Murder : রাজ্যের আবেদন খারিজ হাইকোর্টে, তপন কান্দু হত্যার তদন্তে বহাল সিবিআই
Jhalda Murder Update : ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাতেও হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ
কলকাতা : ঝালদার (Jhalda) কংগ্রেস কাউন্সিলর (Congress Councillor) তপন কান্দু হত্যা মামলায় (Tapan Kandu Murder Case) সিবিআই তদন্তের (CBI Investigation) বিরোধিতা করে রাজ্যের আবেদন খারিজ করল হাইকোর্ট। বহাল রইল সিবিআই তদন্তের নির্দেশ। ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নিরঞ্জন বৈষ্ণবের অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনাতেও হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ বহাল রাখল কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ।
তপন কান্দু ও নিরঞ্জন বৈষ্ণবের মৃত্যুর ঘটনায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছিল বিচারপতি রাজশেখর মান্থার সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য। সেই মামলাতেই আজ এই নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি।
আরও পড়ুন ; ঝালদায় কাকার মৃত্যুর তদন্তে এগিয়ে আসা তপন কান্দুর ভাইপো মিঠুনকেই প্রার্থী করল কংগ্রেস
এনিয়ে নিহত তপন কান্দুর স্ত্রী পূর্ণিমা কান্দু বলেন, এখনও বিশ্বাসী, এই তদন্তে আমি সুবিচার পাব। তদন্তে অগ্রগতি হচ্ছে। কারণ, ওরা (সিবিআই) ওদের মতো তদন্ত করছে। ওদের ওপর আস্থা আছে। সুবিচার নিশ্চয়ই পাব।
এপ্রসঙ্গে তপন কান্দুর আইনজীবী কৌস্তভ বাগচী জানান, আজ ডিভিশন বেঞ্চ রাজ্য সরকারের আবেদন খারিজ করে দিয়েছে। আমাদের বক্তব্য ছিল, এখানে পুলিশের বিরুদ্ধে ভূরিভূরি অভিযোগ, তাই রাজ্য সরকারের কোনও এজেন্সি তদন্ত করতে পারে না। এখানে প্রত্যক্ষদর্শীর রহস্যজনক অবস্থায় মৃত্য হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শী আইসি-র বিরুদ্ধে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ করেছেন। এই সমস্ত কিছু আমরা আদালতে তুলে ধরে ছিলাম। সেইসব বিচার বিবেচনা করে আদালতের বক্তব্য, এখানে সিবিআই-ই তদন্ত করবে। রাজ্যের কোনও এজেন্সি মধ্যস্থতা করতে পারবে না।
প্রসঙ্গত, ১৩ মার্চ, পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয় কংগ্রেস কাউন্সিলর তপন কান্দুকে। প্রথম থেকেই দলীয় কাউন্সিলর খুনে CBI তদন্তের দাবি করছিল কংগ্রেস। সেই মতো কলকাতা হাইকোর্টে মামলা হয়। কংগ্রেসের করা মামলায়, গত চৌঠা এপ্রিল CBI তদন্তের নির্দেশ দেয় বিচারপতি রাজশেখর মান্থার বেঞ্চ।
এর বিরোধিতা করে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হয়েছিল রাজ্য সরকার।