Jogesh Chandra Chaudhuri College: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে অশান্তি, চারু মার্কেট থানার ওসিকে হাইকোর্টে তলব
Kolkata News: সরস্বতী পুজোর পর, বহিরাগত ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ

কলকাতা: যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে ধুন্ধুমার কাণ্ড। যার জল গড়িয়েছে আদালত পর্যন্ত। এই ঘটনায় এবার চারু মার্কেট থানার ওসিকে তলব করল হাইকোর্ট। দুপুর ১ টায় হাজিরার নির্দেশ দিলেন বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু।
সরস্বতী পুজোর পর, বহিরাগত ইস্যুতে ফের উত্তপ্ত হয়ে উঠল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী ল কলেজ। যার জেরে পরিচয়পত্র ছাড়া কাউকে ঢুকতে দেওয়া হবে না বলে বিজ্ঞপ্তি জারি করল কলেজ কর্তৃপক্ষ। বুধবার সকালে পরিচালন সমিতির বৈঠকে যোগ দিতে কলেজে আসেন চেয়ারপার্সন এবং তৃণমূল সাংসদ মালা রায়। তখনই কয়েকজন বহিরাগতর ক্যাম্পাসে ঢোকার অভিযোগ তুলে, তৃণমূল সাংসদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন তৃণমূল ছাত্র পরিষদেরই একাংশ।
দুপুর একটা নাগাদ, পুলিশি নিরাপত্তায় মালা রায় কলেজ ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যেতেই নতুন করে উত্তেজনা শুরু হয়। বিক্ষোভকারী টিএমসিপি পড়ুয়াদের দিকে রং, জল ছুড়তে শুরু করে অপরপক্ষ। পরিস্থিতি এমন জায়গায় পৌঁছয় যে, একসময় বিক্ষোভকারী পড়ুয়ারা ক্যাম্পাস থেকে বেরিয়ে যেতে বাধ্য হন। এই ঘটনার জল গড়ায় আদালত পর্যন্ত। মামলাকারী ছাত্রের দাবি, যোগেশ চন্দ্র চৌধুরী কলেজে গতকাল শুধু রঙের ব্যবহার হয়নি। লঙ্কা গুঁড়ো, জিরে গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো ব্যবহার করা হয়েছে।
সাব্বির আলি ও তার অনুগামীদের বিরুদ্ধে মাফিয়ারাজ চালানোর অভিযোগ তোলা হয়েছে। পুলিশের চোখের সামনেই সবটা হয়েছে, তারা কিছু করেনি।
এদিনের শুনানিতে সাব্বির আলির আইনজীবী বলেন, "আমি একটি স্বীকৃত রাজনৈতিক দলের ছাত্র সংগঠনের নেতা। রাজনৈতিক উদ্দেশ্য নিয়ে এই মামলা করা হয়েছে। প্রিন্সিপালের প্ররোচনায় এসব করা হচ্ছে। প্রিন্সিপাল একটি রাজনৈতিক দলের মুখপাত্র।'' বিচারপতি বিশ্বজিৎ বসু বলেন, "ছাত্ররা যেখানে অসুরক্ষিত বোধ করছে সেখানে আদালতকে তো এটা খতিয়ে দেখতে হবে। কেউ যদি আপনার নাম নিয়ে অবৈধ কাজ করে তাকে বের করে দিন। নেতা হিসাবে আপনারও দায়িত্ব ছাত্রদের সুরক্ষিত রাখা। এটা চলতে পারে না।'
সম্প্রতি যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজে দুটি বিভাগের সরস্বতী পুজো নিয়ে জল গড়ায় হাইকোর্ট পর্যন্ত। আদালতের নির্দেশে পুলিশি পাহারায় পুজো হয় ক্যাম্পাসে।,তখনও শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও তৃণমূল সাংসদ মালা রায় কলেজ গিয়ে পড়ুয়াদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন। এর মধ্যেই গতকাল যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজের অধ্যক্ষ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে জানিয়ে দেন, দোলযাত্রা ও হোলির জন্য বুধবার দুপুর ৩টে থেকে শনিবার পর্যন্ত পুরোপুরি বন্ধ থাকবে কলেজ। এবার থেকে সমস্ত শিক্ষক, অশিক্ষক কর্মী ও পড়ুয়াদের আইডি কার্ড নিয়ে আসতে হবে। কলেজ চত্বরে শান্তি বজায় রাখতে অন্য কোনও পড়ুয়াকে কর্তৃপক্ষের লিখিত অনুমতি ছাড়া কলেজে ঢুকতে দেওয়া হবে না। ১৭ মার্চ সোমবার থেকে ফের কলেজ খুলবে বলে জানিয়েছে যোগেশচন্দ্র চৌধুরী কলেজ কর্তৃপক্ষ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
