Calcutta High Court: ‘যা ঘটেছে, তা ঘটা উচিত হয়নি, রাজ্য চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে’, মন্তব্য কলকাতা হাইকোর্টের
Districts Clash: পয়গম্বর-মন্তব্য বিতর্কে এনআইএ তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে সেনা অথবা আধা সেনা মোতায়েনের দাবিতেও মামলা হয়।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: পয়গম্বর (Prophet) মন্তব্যে নিয়ে বিজেপি নেত্রী নূপুর শর্মার (Nupur Sharma) মন্তব্য নিয়ে পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) একাধিক জেলায় বিক্ষোভ-প্রতিবাদ-ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এই প্রসঙ্গে এবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta Highcourt) তরফে জানিয়ে দেওয়া হল যে রাজ্য চাইলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে।
হাইকোর্টের মন্তব্য
পয়গম্বর-মন্তব্য বিতর্কে এনআইএ তদন্ত চেয়ে জনস্বার্থ মামলা হয়। অশান্তি নিয়ন্ত্রণে সেনা অথবা আধা সেনা মোতায়েনের দাবিতেও মামলা হয়। সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে এদিন হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘যদি মনে করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে, তাহলে কেন্দ্রীয় বাহিনীর সাহায্য নিতে পারে’। এদিন রাজ্যের রিপোর্ট তলব করে এমন মন্তব্য করেছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন, এবার প্রাইমারিতে ২৬৯ জনকে বরখাস্তের নির্দেশ, বেতনও বন্ধ
জেলায় জেলায় পয়গম্বর বিতর্ক নিয়ে অশান্তি নিয়ে ১৫ জুনের মধ্যে রাজ্যের রিপোর্ট তলব করল হাইকোর্ট। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় অশান্তি নিয়ে হাইকোর্টে মামলা হয়েছে আদালতে। এদিন হাইকোর্টের তরফে বলা হয়, ‘যা ঘটেছে, তা ঘটা উচিত হয়নি। আপনাদের কাছে তো ফুটেজ আছে, সেখান থেকেই চিহ্নিতকরণ করতে পারেন। সরকারি বা ব্যক্তিগত সম্পত্তি যারা নষ্ট করেছে, তাদের কাছ থেকে সেই টাকা উদ্ধার করতে পারবেন?’ এদিন রাজ্য সরকারের উদ্দেশে এমনই প্রশ্ন করলেন প্রধান বিচারপতি।
রাজ্যের পাল্টা সওয়াল
অন্যদিকে, একের পর এক অশান্তির নিয়ে মামলায় পাল্টা সওয়াল করে রাজ্য সরকারের তরফে জানান হয়, ‘অশান্তির ঘটনায় ইতিমধ্যেই ২১৪জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রশাসনের তরফ থেকে বিভিন্ন পদক্ষেপ করা হয়েছে, ২৬টি এফআইআর হয়েছে। ট্রেনের উপর হামলার ঘটনা ছাড়া ৩৬ ঘণ্টায় কোনো অনভিপ্রেত ঘটনা ঘটেনি’।
প্রসঙ্গত, দিল্লির বিজেপি নেত্রীর মন্তব্যের আঁচ বাংলাতেও। একের পর এক জেলায় ছড়িয়েছে অশান্তি। তার জেরে, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সমস্যায় পড়েছে সাধারণ মানুষ। বেথুয়াডহরিতে ট্রেনের পাশাপাশি, বাড়ি-দোকান এটিএম, ডাক্তারের চেম্বার ভাঙচুর হয়েছে। হাওড়া, মুর্শিদাবাদ, নদিয়াতেও কম বেশি চিত্রটা একই। এই সমস্ত ঘটনার কথা উল্লেখ করেই এবার কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এই মন্তব্য করা হয়েছে।