Cattle Smuggling Case: ৯ কোটি মূলধনে লাভের অঙ্ক ৯০ কোটি! গরুপাচারের টাকাই কি এনামুলের তিন ভাগ্নের সংস্থায়, তদন্তে সিআইডি
Enamul Haque: গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন এনামুল। দিল্লিতে রয়েছেন তিনি।
সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: গরুপাচার মামলায় (Cattle Smuggling Case) ধৃত এনামুল হকের (Enamul Haque) তিন ভাগ্নের সম্পত্তি এ বার রাজ্য গোয়েন্দাদের নজরে (CID)। তাঁদের পাঁচটি সংস্থার আর্থিক লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যের উপর নজর রয়েছে সিআইডি-র। রাজ্য গোয়েন্দা সংস্থা সূত্রে দাবি, এই পাঁচটি সংস্থার মূলধনের থেকে বার্ষিক টার্নওভার কয়েক গুণ বেশি।
গরুপাচার মামলায় এনামুলের তিন ভাগ্নের সম্পত্তির উপর নজর সিআইডি-র
এই লাভের অঙ্কে গরুপাচারের টাকা লুকিয়ে রয়েছে বলে অনুমান সিআইডি-র। সূত্রের খবর, দেখা যাচ্ছে ২০১৬-য় যে সংস্থার ৯ লক্ষ টাকা শেয়ার ক্যাপিটাল ছিল, সেই সংস্থার ওই আর্থিক বছরে লাভের অঙ্ক দাঁড়িয়েছে ৮০ কোটি টাকায়। ২০১৭-য় এই গোষ্ঠীর চালকলের মূলধন ছিল ৪৮ লক্ষ টাকা, যেখানে বার্ষিক টার্নওভার ১৯৮ কোটিরও বেশি, খবর সিআইডি সূত্রে। এই তথ্যকেই গরুপাচার মামলার মূল হাতিয়ার করতে চাইছেন রাজ্য পুলিশের গোয়েন্দারা।
গরুপাচার কাণ্ডের তদন্তে ইতিমধ্যেই ইডি হেফাজতে রয়েছেন এনামুল। দিল্লিতে রয়েছেন তিনি। সিবিআই, ইডি-র পাশাপাশি এই মামলার তদন্ত করছে সিআইডি-ও। কয়েক মাস আগদে বেন্টিঙ্ক স্ট্রিটের একটি সংস্থায় হানা দেয় তারা। সেখানে জেএইচএম গ্রুপ অফ কোম্পানিজ নামে একটি সংস্থার দফতরে হানা দেওয়া হয়। সিআইডি সূত্রে খবর, এনামুলের তিন ভাগ্নে, জাহাঙ্গির, হুমায়ুন এবং মেহদির নামেই ওই সংস্থা।
আরও পড়ুন: Jorabagan News: তিন দিন ধরে বন্ধ পরিষেবা, পানীয় জলটুকুও নেই! জোড়াবাগানে পথ অবরোধ স্থানীয়দের
সিআইডি সূত্রে খবর, এনামুলের তিন ভাগ্নের নামে পাঁচটি সংস্থার হদিশ মিলেছে। সেগুলি ২০১৬ সালে তৈরি হলেও, প্রতি বছর লাভের অঙ্ক বিনিয়োগের তুলনায় ১৫-১৬ গুণ দেখানো হয়েছে। এই পাঁচ সংস্থার মধ্যে একটি ওভারসিজ প্রাইভেট সংস্থা, রাইস মিল সংস্থা এবং এক্সপোর্ট-ইমপোর্ট সংস্থা রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এই সংস্থাগুলির অতীত, বর্তমান, আর্থিক লেনদেন সবকিছু খতিয়ে দেখে কার্যতই চক্ষু চড়কগাছ রাজ্যের গোয়েন্দাদের।
গরুপাচারের টাকাই কি ঘুরপথে পাঁচ সংস্থায়!
গরুপাচার মামলায় একাধিক বার এনামুলের নাম উঠে এসেছে। সেই কালো টাকা সাদা করে দেখাতেই কি এই সংস্থাগুলির অনুমান, প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন রাজ্যের গোয়েন্দারা। গরুপাচারের লভ্য়াংশের টাকা ওই সংস্থাগুলিতে বিনিয়োগ করা হয়েছে কিনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। গোয়েন্দা সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই সংস্থাগুলি ২০১৬ সালে চালু করা হলেও, ২০১৮-র পরে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় বাংলাদেশে। এনামুলের দুই ভাগ্নে এই মুহূর্তে দুবাইয়ে রয়েছেন। একাধিক বার ভবানীভবনে ডাকা হলেও, এড়িয়ে গিয়েছেন তাঁরা।