Doctor Arrested: ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে মেডিক্যাল কলেজকে পছন্দমতো রিপোর্টের আশ্বাস, CBI-এর হাতে গ্রেফতার বর্ধমানের চিকিৎসক !
CBI Investigation: ধৃত চিকিৎসকের বর্ধমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা।

সন্দীপ সরকার, কলকাতা : টাকার বিনিময়ে ভুল রিপোর্টের অভিযোগে গ্রেফতার এক চিকিৎসক ! বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজ পরিদর্শন নিয়ে ভুল রিপোর্টের অভিযোগ উঠেছে। ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ঘটনায় CBI-এর হাতে গ্রেফতার বর্ধমানের চিকিৎসক তপনকুমার জানা। মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগের প্রধান তিনি। তার পাশাপাশি ন্যাশনাল মেডিক্যাল কমিশনের মূল্যায়কের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। কর্ণাটকের বেলগাভির মেডিক্যাল কলেজ নিয়ে ভুল রিপোর্টের অভিযোগ। ধৃত চিকিৎসকের বর্ধমানের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা।
বিস্তারিত ঘটনা...
মূল্যায়ক বা অ্যাসেসরদের কাজ- দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজের পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে রিপোর্ট দেওয়া। সেই রিপোর্টের ভিত্তিতে পরবর্তী বছরগুলিতে ওই মেডিক্যাল কলেজগুলোর স্বীকৃতি থাকবে কি থাকবে না, কতগুলি সিটে এমবিবিএস পড়ানো হবে...এই সমস্ত কিছু চূড়ান্ত হয়। অর্থাৎ, NMC-র অ্যাসেসর হয়ে যিনি যাবেন, যিনি ইন্সপেকশন করবেন, তিনি যে রিপোর্ট দেবেন, তার গুরুত্ব অপরিসীম। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে তপনকুমার জানার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে, তিনি কর্ণাটকের বেলগাভির একটি মেডিক্যাল কলেজকে ১০ লক্ষ টাকার বিনিময়ে তাদের পছন্দমতো রিপোর্ট দেবেন, এই মর্মে ঘুষ নেন। এমনই অভিযোগ সামনে আসছে। এই অভিযোগে ভিত্তিতে তদন্তে নামে সিবিআই। চিকিৎসকের বর্ধমানের বাড়িতে গতকাল রাতভর তল্লাশি চালায় কেন্দ্রীয় এজেন্সি। সিবিআই সূত্রে জানানো হয়েছে, প্রায় ৪৫ লক্ষ টাকা বাজেয়াপ্ত হয়েছে। ১০ লক্ষ টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। তাঁক গ্রেফতার করা হয়েছে। চিকিৎসককে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে এই সংক্রান্ত তদন্ত চালিয়ে যেতে চায় সিবিআই।
ফের করোনার চোখরাঙানি -
দেশজুড়ে ফের করোনার চোখরাঙানি। অন্ধ্রপ্রদেশ সরকার ইতিমধ্যেই সতর্কতামূলক গাইডলাইন জারি করেছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক সূত্রে খবর, দেশে অ্যাক্টিভ কেসের সংখ্যা বাড়ছে। এর মধ্যে পশ্চিমবঙ্গে একটি কেস মিলেছে। রাজ্য স্বাস্থ্য দফতর সূত্রে খবর, চলতি মাসের গোড়ায় আলিপুরের উডল্যান্ডস হাসপাতালে এক মহিলা শ্বাসকষ্ট ও অন্যান্য সমস্যা নিয়ে ভর্তি হন। পরীক্ষায় জানা যায়, তিনি কোভিড-19-এ আক্রান্ত। আইসোলেশনে এক সপ্তাহ রেখে ওই করোনা আক্রান্তকে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এই পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়াতে ফের বাড়ছে করোনা। ওমিক্রনের উপপ্রজাতি JN ডট ওয়ানে সংক্রমণের হার খুব বেশি। সেক্ষেত্রে RTPCR-এর সংখ্যা বাড়ানো এবং গাইডলাইন বেঁধে দেওয়া জরুরি। উদ্বেগজনক না হলেও, সতর্ক হওয়া প্রয়োজন বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।






















