Manik Bhattacharya : 'ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি', মানিক ভট্টাচার্যের নামে ৯৯ পাতার FIR CBI-র
মানিক ভট্টাচার্য়ের নামে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের সিবিআইয়ের। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, জাল নথিকে আসল বলে চালানোর অভিযোগ।
প্রকাশ সিনহা, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতির ( Recruitment Scam ) পর এবার এবার পোস্টিং দুর্নীতি ( Posting Scam ) । নতুন করে এফআইআর ( FIR ) দায়ের করল সিবিআই ( CBI ) , খবর সূত্রের। হাইকোর্টের নির্দেশে এই মামলায় মঙ্গলবার থেকেই প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে গিয়ে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সভাপতিকে জেরা করছে CBI।
সূত্রের খবর, মানিক ভট্টাচার্যের ( Manik Bhattacharya ) নামে ৯৯ পাতার এফআইআর দায়ের করল সিবিআই। ষড়যন্ত্র, প্রতারণা, তথ্যের কারচুপি, জাল নথিকে আসল বলে চালানোর অভিযোগে এই এফআইআর করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ দায়ের হয়েছে দুর্নীতি দমনের ৭, ৭এ, ৮ ধারাতেও । এফআইআর ( FIR ) -এর মূল কপির সঙ্গে হাইকোর্টের নির্দেশনামা এবং আবেদনপত্র আদালতে জমা দেওয়া হয়েছে।
কারা মামলা করেন ? অভিযোগ কী ছিল?
প্রাথমিকে পোস্টিং দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাইকোর্টে মামলা করেন মুর্শিদাবাদ, বাঁকুড়া, বীরভূম, হুগলি, এই চার জেলার শতাধিক প্রার্থী। ডিজাইনড কোরাপশন, নিয়োগ দুর্নীতির থেকে এই দুর্নীতির চরিত্র আলাদা, উদ্বেগ প্রকাশ করে মন্তব্য করেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। প্রয়োজনে FIR করে মানিককে হেফাজতে নিতে পারে সিবিআই, মঙ্গলবার এই নির্দেশ দেন বিচারপতি। তারপরই এফআইআর দায়ের করে কেন্দ্রীয় এজেন্সি, খবর সূত্রের।
মঙ্গলবার বিচারপতি বলেন, 'ডঃ মানিক ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে এমন অভিনব দুর্নীতি। এমন ডিজাইনড কোরাপশনে আদালতের কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।'
বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন, বলা হয়েছিল হোম ডিস্ট্রিক্টে শূন্যপদ নেই, ফলে বাধ্য হয়ে দূরের জেলায় চাকরি গ্রহণ করেন বহু শিক্ষক। ঠিক ১৭ দিন পরে ফের শূন্যপদের একটি তালিকা প্রকাশ করা হয়। সেই তালিকায় দেখা যায় তাঁদের জেলায় শূন্যপদ আছে। মাত্র ১৭ দিনে কী করে তৈরি হল এই শূন্যপদ? প্রশ্ন বিচারপতির। এভাবে যদি ৪০০ জনের থেকে ১ লক্ষ টাকা করেও নেওয়া হয়, তাহলেও চার কোটি টাকার দুর্নীতি হয়েছে, মন্তব্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের। প্রাথমিকে নতুন মামলায় অবিলম্বে সিবিআই ও ইডিকে যুক্ত করার নির্দেশ দেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়।
সূত্রের খবর, বুধবার জিজ্ঞাসাবাদে এক্ষেত্রে সিবিআই-এর প্রধান হাতিয়ার প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের তৎকালীন সচিব রত্না চক্রবর্তী বাগচীর বয়ান। এর আগে আদালতে হলফনামা দিয়ে তিনি জানান, পুরো ডিলটাই ছিল রহস্য়ে মোড়া। সবটা জানতেন মানিক ভট্টাচার্য। তাঁর নির্দেশেই সব হত।সূত্রের খবর, মঙ্গলবার রাতেও জেরাও সহযোগিতা করেননি পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন