Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতি থেকে গরু-কয়লা পাচার! পঞ্চায়েতের আগে লাগাতার মামলায় কি চাপে তৃণমূল?
Coal Smuggling Case:পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরপর এমন ঘটনায় কি শাসক দল অস্বস্তিতে? রাজ্য-রাজনীতিতে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন।
সঞ্চয়ন মিত্র, কৃষ্ণেন্দু অধিকারী, আশাবুল হোসেন, কলকাতা: শিক্ষক নিয়োগ থেকে গরু পাচার। কয়লা পাচার থেকে পুর নিয়োগ। একের পর এক দুর্নীতির অভিযোগে জেরবার তৃণমূল সরকার। জেলবন্দি হয়েছেন তিন বিধায়ক, রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রীও। অনুব্রত মণ্ডলের মতো দাপুটে নেতাও এখন জেলে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডাকা হয়েছে অভিষেক-পত্নী রুজিরা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককে। পঞ্চায়েত ভোটের আগে পরপর এমন ঘটনায় কি শাসক দল অস্বস্তিতে? রাজ্য-রাজনীতিতে এখন ঘুরপাক খাচ্ছে এমনই প্রশ্ন।
পুর-নিয়োগ দুর্নীতি মামলায়, গত কয়েক মাসে বারবার আদালতের দ্বারস্থ হয়েছে তৃণমূল সরকার। প্রথমে, সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য সরকার। কিন্তু সেখানে স্বস্তি মেলেনি রাজ্য়ের। এই প্রেক্ষাপটেই দুর্নীতির অভিযোগের তদন্তে রাজ্যজুড়ে ম্য়ারাথন তল্লাশি অভিযান চলল সিবিআই।
তবে শুধু পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগই নয়, শিক্ষক নিয়োগ থেকে শিক্ষা কর্মী নিয়োগ, গরুপাচার থেকে কয়লা পাচার, চিটফান্ড কেলেঙ্কারি একের পর এক ঘটনায় সিবিআই-ইডির তদন্তে রীতিমতো অস্বস্তিতে রাজ্য় সরকার ও শাসক দল।
নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আপাতত জেলবন্দি তৃণমূলের তিন বিধায়ক পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, মানিক ভট্টাচার্য এবং জীবনকৃষ্ণ সাহা। তিহাড় জেলে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল ও তাঁর কন্য়া সুকন্য়া। গ্রেফতার হয়েছেন কালীঘাটের কাকু ওরফে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র। জেলেই রয়েছেন বহিষ্কৃত তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায় এবং কুন্তল ঘোষ।
এদিকে, কয়লাপাচার মামলায় বৃহস্পতিবারই অভিষেক পত্নী রুজিরা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে সিজিও কমপ্লেক্সে ডেকে পাঠানো হয়েছে। পাশাপাশি, দিল্লিতে তলব করা হয়েছে, আইনমন্ত্রী মলয় ঘটককেও। আর বুধবার পুরসভায় নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের খোঁজে ম্য়ারাথন তল্লাশি চালিয়েছে সিবিআই। সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে দুর্নীতিতে নতুন ফ্রন্ট খুলল সিবিআই। পঞ্চায়েত ভোটে কী কোনও প্রভাব পড়বে?
রাজনৈতিক প্রতিক্রিয়া:
সিপিএমের সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'সব স্তরে চাকরি দুর্নীতি ধরা পড়েছে। কোন জায়গাটা বাদ? যত দফতর যা উনি করেছেন এই গত দশ-বারো বছরে। সব দুর্নীতি। টাকার খেলা ছাড়া আর কিছু হয়নি।'
বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেন, 'এই অবস্থা কারা তৈরি করল। কারা একটার পর একটা নিয়োগ দুনীতি করেছে। তার মানে চাকরি প্রতিবার বিক্রি হয়ে যাবে আর দরিদ্র মেধাবীরা রাস্তায় বসে থাকবে?
তৃণমূলের কুণাল ঘোষ বলেন,'যাঁরা ভুল করেছেন দল ব্যবস্থা নিয়েছে, সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে, মুখ্যমন্ত্রী ব্যবস্থা নিয়েছেন। যাঁরা ভুল করেননি তাঁরা কেন ভয় পেতে যাবে।'
Cow Smuggling Case: '৬ বছর চাকরি করেই ৩৬ লক্ষের গয়না!' ধৃত সায়গলের মামলায় বিস্মিত বিচারক