Medicine Ban: জ্বর হয়েছে? ডায়বেটিসে কী খাবেন? এবার ৩৫টি ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি
তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছে রক্তচাপ কমানো থেকে হৃদরোগের মোকাবিলা করার ওষুধ, তেমনই রয়েছে ঘরে ঘরে থাকা জ্বর-সর্দি-কাশি-অ্যালার্জি নিরাময়ের ওষুধও।

ঝিলম করঞ্জাই, কলকাতা: জনস্বাস্থ্যে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করে ৩৫টি ওষুধে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। CDSCO-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, ওষুধগুলি মানুষের জন্য কতটা নিরাপদ, বা কতটা কার্যকর, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল উৎপাদন এবং বিক্রির লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। গোটা বিষয়ের মধ্যে ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থা ও নিয়ামক সংস্থার একাংশের অসাধু যোগ দেখছেন চিকিৎসক থেকে জনস্বাস্থ্য় বিশেষজ্ঞরা।
একসঙ্গে ৩৫টি ওষুধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা জারি করল কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল। এই তালিকায় একদিকে যেমন রয়েছে রক্তচাপ কমানো থেকে হৃদরোগের মোকাবিলা করার ওষুধ, তেমনই রয়েছে ঘরে ঘরে থাকা জ্বর-সর্দি-কাশি-অ্যালার্জি নিরাময়ের ওষুধও। ভারতের ড্রাগ কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া বা DCGI রাজীব সিং রঘুবংশীর তরফে এই মর্মে একটি চিঠি পাঠিয়ে আপত্তিকর ওই ৩৫টি ওষুধ উৎপাদন ও বিক্রি বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেন্ট্রাল ড্রাগস স্ট্য়ান্ডার্ড কন্ট্রোল অর্গ্য়ানাইজেশন বা CDSCO-র রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই ওষুধগুলি মানুষের জন্য কতটা নিরাপদ, বা কতটা কার্যকর, সেই পরীক্ষা-নিরীক্ষা ছাড়াই বিভিন্ন রাজ্যের ড্রাগ কন্ট্রোল উৎপাদন এবং বিক্রির লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে। যা জনস্বাস্থ্যের পক্ষে বিপজ্জনক।
যে ৩৫টি ওষুধকে বিপজ্জনক বলে চিহ্নিত করেছে কেন্দ্রীয় ড্রাগ কন্ট্রোল, তার মধ্যে রয়েছে অনিয়ন্ত্রিত প্রস্রাবের সমস্যা সমাধানের ওষুধ, দাঁত, পেশি, গাঁটের ব্যথা সারানোর ওষুধ, ডায়াবেটিসের ওষুধ, কাফ সিরাপ, উচ্চ রক্তচাপ কমানোর ওষুধ, ত্বকে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ কমানোর ক্রিম, মহিলাদের প্রজনন সংক্রান্ত সমস্যার ওষুধ
অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টাসিড, ওজন কমাতে ব্যবহৃত ওষুধ, স্নায়ুর সমস্যার ওষুধ, হাঁপানি, ফুসফুসের সমস্যার ওষুধ, স্ত্রীরোগের সমস্যার ওষুধ, অবসাদ এবং প্যানিক অ্যাটাকে ব্যবহৃত ওষুধ, রক্তে কোলেস্টেরলের মাত্রা কমানোর ওষুধ, প্রোস্টেটের সমস্যার ওষুধ, হার্ট অ্যাটাকের আশঙ্কা কমানোর ওষুধ, জ্বর এবং এলার্জির ওষুধ, ডায়েরিয়ার ওষুধ।
কীভাবে সঠিকভাবে পরীক্ষা ছাড়াই এই সব জরুরি ওষুধকে দেওয়া হল ছাড়পত্র? গোটা বিষয়টা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে কেন্দ্রের তরফে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে প্রত্যেকটি রাজ্যকে। চিকিৎসক বিপ্লব চন্দ্র বলেন, "মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এগুলো ওষুধ কোম্পানি বেসরকারি করায় বেড়ে গেছে।'' জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ কাজলকৃষ্ণ বণিক বলেন, "ওষুধ প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে নিয়ামক সংস্থার আঁতাঁতে এসব হচ্ছে। নিয়মিত ওষুধ পরীক্ষা দরকার।''





















