(Source: ECI/ABP News/ABP Majha)
Chandrayan 3 Bengali Scientist : অসাধ্যসাধনের অন্যতম কারিগর এই বাঙালি, চাঁদে ভারতের পায়ের পরই উচ্ছ্বাসে ভাসছে সৌম্যজিতের পরিবার
Soumyajit Chatterjee : টেকনো ইন্ডিয়ার প্রাক্তনী সৌম্যজিৎ ২০০৭ সালে ইসরো-য় যোগ দেন। দেশের চন্দ্র অভিযানে রিমোট সেন্সিং স্পেসক্র্যাফ্ট মিশনের সঙ্গে যুক্ত সৌম্যজিৎ।
জয়ন্ত পাল, কলকাতা : ভারতের চন্দ্র-স্পর্শে (India Moon Mission) গর্বে-আনন্দে ভাসছে গোটা দেশ। তার মাঝেই খুশির বাঁধ ভেঙেছে নিউটাউনের চট্টোপাধ্যায় পরিবারে। দেশকে ইতিহাসের সোনালি পাতায় জায়গা করে দেওয়ার সুবিশাল কর্মকাণ্ডে তাঁদের ছেলেরও যে অবদান রয়েছে, একথা মনে করলেই গর্বে বুক ভরে যাচ্ছে সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের (Soumyajit Chatterjee) বাবা-মায়ের। চন্দ্রযান ৩-এর মিশন সফটওয়্যারের অন্যতম অপারেশন ডিরেক্টর পদে কর্মরত সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়।
চন্দ্রযান ৩-র (Chandrayan 3) চাঁদের মাটিতে সফল অবতরণের সুবাদে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে চাঁদের অগম্য দক্ষিণ মেরুর সন্নিহিত অঞ্চলে প্রথম পা রেখেছে ভারত। এর আগে আমেরিকা, রাশিয়া, চিন চাঁদ স্পর্শ করলেও, দক্ষিণ মেরুর কাছে পৌঁছতে পারেনি কেউ। আর প্রথমবার চাঁদে পৌঁছেই সেই মহাজাগতিক রহস্যে মোড়া, দুর্গম দক্ষিণ মেরুর কাছে ঘাঁটি গেড়েছে ভারত (India)। যেখানে ল্যান্ডিং করানোই একটা বিশাল অনিশ্চয়তা, সেখানেই অসাধ্য সাধন করেছে ইসরো (ISRO)।
নিউটাউনের বাসিন্দা সৌম্যজিৎ ইসরো-র বিজ্ঞানী। চন্দ্রযান ৩-এর মিশন সফটওয়্যারের অন্যতম অপারেশন ডিরেক্টর। বীরভূমের সিউড়ির রায়পুরের আদি বাসিন্দা সৌম্যজিৎ। এখন ঠিকানা নিউটাউন। সল্টলেকের শ্রী অরবিন্দ ইনস্টিটিউট অফ এডুকেশনের পড়ুয়া ছিলেন। টেকনো ইন্ডিয়ার প্রাক্তনী সৌম্যজিৎ ২০০৭ সালে ইসরো-য় যোগ দেন। দেশের চন্দ্র অভিযানে রিমোট সেন্সিং স্পেসক্র্যাফ্ট মিশনের সঙ্গে যুক্ত সৌম্যজিৎ। মহাকাশ বিজ্ঞানীদের যে বিপুল পরিশ্রম আর অধ্যবসায়ের ফসল হিসেবে চাঁদ আজ ভারতের মুঠোয়, তার অন্যতম শরিক হলেন সৌম্যজিৎ। দেশের কাজে ছেলের অবদানে খুশি বাবা-মা।
ইসরোর বিজ্ঞানী সৌম্যজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের বাবা দেবদাস চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'অপারেশন সাকসেস হওয়ার পর কয়েক সেকেন্ডের জন্য ফোন এসেছিল। বাবা প্রণাম নিও। ভীষণ আনন্দ হচ্ছে। এ আনন্দের কোনও সীমা নেই।' আর মা নন্দিতা চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'আগে ভারতীয়, তারপর বাঙালি। ছেলে যখন এক সেকেন্ডের জন্য ফোন করে জানাল, ভারত মাথা তুলেছে, গর্বে বুক ভরে গেল। সফটওয়ার মিশনে যুক্ত। একটু ভুলত্রুটি হলেই ব্যস। ওকে খুব কসাসলি কাজ করতে হয়।'
ভারতের মঙ্গল গ্রহ অভিযানেও ইসরোর টিমের সদস্য ছিলেন সৌম্যজিৎ। প্রতিবেশীরা জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মে মাসে করোনায় মৃত্যু হয় সৌম্যজিতের দিদির। বাবা-মায়ের দিকে তাকিয়ে তখন ইসরোর চাকরি ছেড়ে কলকাতায় আসার কথা ভেবেছিলেন তিনি। কিন্তু সেই সিদ্ধান্ত থেকে তাঁকে দূরে সরিয়ে দিয়েছিলেন প্রতিবেশীরাই। ভাগ্যিস ইসরো ছাড়েননি সৌম্যজিৎ! পৃথিবী থেকে ৩ লক্ষ ৮৪ হাজার ৪০০ কিলোমিটার দূরে থাকা চাঁদ এখন ভারতের মুঠোয়। বুধবার সন্ধের পর মহাকাশে দৃপ্ত পদচারণার সুপার ফোরে চলে এসেছে ভারত।
আরও পড়ুন- চাঁদজয়ে আলোর রেশ বীরভূমের দক্ষিণগ্রামে, যাদবপুরের প্রাক্তনী বিজয়কুমারের সাফল্যে খুশির রেশ
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন