Jharkhand Cash Scam: ৩ লক্ষ ৩১ হাজার টাকা ও ২৫০ রুপোর কয়েন পেল সিআইডি, ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডে অন্যতম অভিযুক্ত কোথায়?
CID Raid In Bikaner Building: ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা। সঙ্গে আড়াইশো রুপোর কয়েন। ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডের তদন্তের সূত্র ধরে লালবাজারের কাছে বিকানের বিল্ডিংয়ের অফিসে সিআইডি-র অভিযানে উদ্ধার হওয়া অর্থ ও সম্পদের নিঁখুত হিসেব এটাই।
পার্থপ্রতিম ঘোষ ও ময়ুখঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা: ৩ লক্ষ ৩১ হাজার ৭০০ টাকা। সঙ্গে আড়াইশো রুপোর কয়েন (silver coin)। ঝাড়খণ্ড-কাণ্ডের (Jharkhand Cash Scam) তদন্তের সূত্র ধরে লালবাজারের কাছে বিকানের বিল্ডিংয়ের অফিসে সিআইডি-র (CID) অভিযানে উদ্ধার হওয়া অর্থ ও সম্পদের নিঁখুত হিসেব এটাই। সূত্রের খবর,অভিযুক্ত ব্যবসায়ী (businessman) মহেন্দ্র আগরওয়ালের ওই অফিসে চেকবুক ও পাসবই-ও মিলেছে। কিন্তু মহেন্দ্র এখনও ফেরার। তদন্তকারীদের ধারণা, ঝাড়খণ্ডের ৩ কংগ্রেস (congress) বিধায়কের (MLA) গ্রেফতারির খবর জানতে পেরে আরও বেশ কিছু টাকাপয়সা সরিয়ে দেওয়া হয়ে থাকতে পারে।
যা জানা যাচ্ছে...
সিআইডি সূত্রে খবর, ঝাড়খণ্ডের যে ৩ বিধায়ককে হাওড়া গ্রামীণ পুলিশ গ্রেফতার করেছে তাঁদের কাছে ৪৯ লক্ষ টাকা পাঠিয়েছিলেন মহেন্দ্রই। সম্ভবত বিকানের বিল্ডিংয়ে তাঁর অফিসের কোনও কর্মী বাইকে চেপে ওই টাকা সদর স্ট্রিটের হোটেলে দিয়ে আসেন। কিন্তু ওই টাকা এল কোথা থেকে? কার নির্দেশে তা কংগ্রেস বিধায়কদের পাঠিয়েছিলেন ব্যবসায়ী? নেপথ্যে কি কোনও হাওয়ালা-যোগ? কত দিন ধরে চলছে এসব? একাধিক প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে সিআইডি। তবে মোটের উপর একটি বিষয় প্রায় নিশ্চিত তাঁরা। বিকানের বিল্ডিংয়ে মহেন্দ্রর ওই শেয়ার ট্রেডিং সংস্থার আড়ালে হাওয়ালা-যোগ ছিল। সেক্ষেত্রে প্রথম প্রশ্ন ওঠে, এর মাথা কে? আপাতত ফেরার ব্যবসায়ীকে হন্যে হয়ে খুঁজছে সিআইডি। তাঁর সল্টলেকের বাড়িতেও অভিযান চালানো হয়েছিল। তবে তার আগেই পালিয়ে গিয়েছেন মহেন্দ্র, দাবি সিআইডির।
খোঁজ কী ভাবে?
সিআইডি সূত্রে খবর, ৩ কংগ্রেস বিধায়কের সঙ্গে যে আরও ২ জন গ্রেফতার হয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজনের গতিবিধির খোঁজখবর করেই বিকানের বিল্ডিংয়ের হদিশ মেলে। ওই ব্যক্তির নাম প্রতীক কুমার। সূত্রে বলা হচ্ছে,প্রতীক ঝাড়খণ্ড যুব কংগ্রেসের নেতা। শনিবার তাঁরা কলকাতায় আসার পর এই প্রতীকই বিকানের বিল্ডিংয়ে মহেন্দ্রর অফিসে যান, খবর সিআইডি সূত্রে। কিছুটা খোঁজখবর করে বিষয়টি জানতে পারে সিআইডি। তার পর মহেন্দ্র সম্পর্কে আরও তথ্য আসে। জানা যায়, ওই ব্যবসায়ীর সঙ্গে অসমের বিজেপির যোগাযোগ রয়েছে। অন্তত তেমনই দাবি সিআইডির। এ নিয়ে আগেই মহেন্দ্রর এক আত্মীয়কে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তখনই উঠে আসে, গুয়াহাটি-পর্ব নিয়ে আরও কিছু তথ্য। তদন্তকারীদের বক্তব্য ঝাড়খণ্ডের ৩ বিধায়ক গুয়াহাটি গিয়ে টাকাপয়সার কথা বললে তাঁদের কলকাতায় মহেন্দ্র কথাই বলা হয়েছিল। কিন্তু কে বলেছিলেন? কেন বলেছিলেন?
উত্তর খুঁজছে সিআইডি। খোঁজ চলছে ব্যবসায়ীর। তাঁর নাগাদ পেলে হয়তো ধাঁধার সমাধান অনেকটাই হয়ে যাবে।
আরও পড়ুন:মহিলাদের লন বলে দুরন্ত পারফরম্যান্স, সোনা জয় টিম ইভেন্টে