Cyclone Mantha: 'মোন্থা'-র প্রভাবে সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ কলকাতায়, সুন্দরবন, কাকদ্বীপে ঝড়-বৃষ্টির দাপট!
Cyclone Mantha Update: ঘূর্ণিঝড় 'মোন্থা'র প্রভাব অল্পবিস্তর প্রভাব পড়েছে বঙ্গেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা হাওয়া।

কলকাতা: পূর্বাভাস মতোই গতকাল অন্ধ্র উপকূলে আছড়ে পড়েছে ঘূর্ণিঝড় 'মোন্থা'। এর জেরে, অন্ধ্রপ্রদেশের কাকিনাড়ায় দেখা দেয় প্রবল দুর্যোগ। বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগে অন্ধ্রপ্রদেশে এখনও পর্যন্ত অন্তত ৩ জনের মৃত্যু। অন্ধ্রে বহু জায়গায় গাছ পড়েছে, রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। স্থলভাগে পুরোপুরি ঢুকে আসার পর শক্তি হারিয়েছে 'মোন্থা', পরিণত হয়েছে গভীর নিম্নচাপে। যদিও এর প্রভাবে শুক্রবার পর্যন্ত হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে। তবে খুব বেশি ঝড় আর হবে না, এমনটাই জানা যাচ্ছে। তবে আজ, অর্থাৎ বুধবার থেকে শুরু করে শুক্রবার পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে অন্ধ্রে, প্রভাব পড়েছে পশ্চিমবঙ্গেও। তবে শনিবার থেকে পরিষ্কার হবে আকাশ, বলছে আবহাওয়া দফরত।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় 'মোন্থা'র প্রভাব অল্পবিস্তর প্রভাব পড়েছে বঙ্গেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা হাওয়া। মঙ্গলবার রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বেড়েছে বৃষ্টির পরিমাণ। সুন্দরবন উপকূল অঞ্চলে সবচেয়ে বেশি ঝড়-বৃষ্টির দাপট। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, আজ দিনভর চলবে বৃষ্টি ও ঝোড়ো হাওয়া। কাকদ্বীপ ও সুন্দরবনে সবচেয়ে বেশি প্রভাব পড়েছে 'মোন্থা'। মৎসজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। সকাল থেকেই দফায় দফায় ভারি বৃষ্টিপাত হচ্ছে। এটা আমন ধান চাষের সময়, তাই ভারি বৃষ্টি হলে ধানের প্রভূত ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যেহেতু ধান একেবারে শেষের দিকে, সেই কারণে পাকা ধান মোটেই বৃষ্টি সহ্য করতে পারবে না। এর ফলে ধান পচে যেতে পারে। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণায় মোন্থার প্রভাব পড়েছে সবচেয়ে বেশি।
অন্যদিকে, আজ কলকাতাতেও সকাল থেকে শুরু হয়েছে দফায় দফায় ঝিরঝিরে বৃষ্টি। সকাল থেকেই মেঘলা আকাশ। আবহাওয়া দফতর জানাচ্ছে, এই আবহাওয়া থাকবে শুক্রবার পর্যন্ত। হালকা থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হতে পারে কলকাতা জুড়ে। তবে শুক্রবার থেকে পরিষ্কার হবে আকাশ। অন্যদিকে ওড়িশার সীমান্তের ওপারে, মোন্থার প্রভাবে গঞ্জাম এবং গজপতি জেলায় মুষলধারে বৃষ্টিপাত হয়েছে। ১০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে বাতাস লন্ডভন্ড করেছে শহর-গ্রাম। রাস্তা বন্ধ হয়ে গেছে । ভেঙে পড়েছে গাছপালা । তবে এখনও কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ভূমিধসের ফলে আর উদয়গিরি, পারলাখেমুন্ডি, হুমা এবং কাশীপুরের কিছু অংশ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
আইএমডির ডিরেক্টর মৃত্যুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, মোন্থার প্রভাব বুধবার পর্যন্ত স্থায়ী হবে। দক্ষিণ ওড়িশায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাত হবে । ছত্তীসগড়ের উপর দিয়ে যেতে যেতে দুর্বল হয়ে পড়বে ঝড়টি। ঝড়টি ভূমির অভ্যন্তরে অগ্রসর হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাতাসের গতিবেগ ৮০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায় নেমে যেতে পারে। ওড়িশার আবহাওয়া দফতর জানয়েছে, শুক্রবারের মধ্যে বৃষ্টিপাত কমে আসবে, তবে বৃহস্পতিবারও রাজ্যে বৃষ্টিপাত অব্যাহত থাকবে।























