Cooch Behar News: তৃণমূল নেতার বাড়ির সামনে বোমাবাজি, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ বিজেপি-র
TMC vs BJP: শাসকদলের নেতার বাড়ির দেওয়ালে বোমাবাজির দাগ এখনও স্পষ্ট। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারের (Cooch Behar News) ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের (TMC) বুথ সভাপতির বাড়ির সামনে ভোররাতে বোমাবাজি (Bomb Hurled) দুষ্কৃতীদের। এই ঘটনায় বিজেপির হাত দেখছে শাসকদল। যদিও সেই অভিযোগ উড়িয়ে গেরুয়া শিবিরের দাবি, তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই এই ঘটনা ঘটেছে।
কোচবিহারে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর
বছর ঘুরলেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে কোচবিহারে ক্রমশ বাড়ছে শাসক-বিরোধী চাপানউতোর। এরই মধ্যে শনিবার ভোররাতে দিনহাটার ভেটাগুড়িতে তৃণমূলের বুথ সভাপতির বাড়িতে বোমাবাজি চালাল দুষ্কৃতীরা।
শাসকদলের নেতার বাড়ির দেওয়ালে বোমাবাজির দাগ এখনও স্পষ্ট। আশেপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে বোমার সুতলি। ভেটাগুড়ির ২৩৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন বর্মনের অভিযোগ, শনিবার ভোর রাতে তাঁর বাড়ি লক্ষ্য করে পরপর ৩টি বোমা ছোড়ে দুষ্কৃতীরা।
এই ঘটনায় বিজেপির বিরুদ্ধে সুর চড়িয়েছে শাসকদল। দিনহাটার ভেটাগুড়ির ২৩৪ নম্বর বুথের তৃণমূল সভাপতি মনোরঞ্জন বর্মন বলেন, "গতকাল রাত ২টো ৫১ নাগাদ বোমাবাজি করে পালিয়ে যায়। বিজেপি করেছে। আমরা পুলিশকে খবর দিয়েছি।"
শাসকদলের অভিযোগ, গত কয়েকদিন ধরেই কখনও দলের বুথ সভাপতি, আবার কখনও দলের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে আক্রমণ চালানো হচ্ছে। অথচ পুলিশকে খবর দেওয়া হলেও, তারা যথাযথ ব্যবস্থা নিচ্ছে না! এই অভিযোগে ও শনিবার ভোর রাতের ঘটনায় দোষীদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবিতে এদিন সকালে
কোচবিহার -দিনহাটা রাজ্য সড়ক অবরোধ করে তৃণমূল।
ভেটাগুড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রতন বর্মন বলেন, "মাস খানেক ধরে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা আগে আমাদের অঞ্চল সভাপতির বাড়িতে বোমা মেরেছে, ব্লক সভাপতির বাড়িতে বোমা মেরেছে। একাধিকবার দিনহাটা থানায় বলেছি। কোনও হেলদোল নেই। গতকালও একইভাবে বোমা মারে। তার প্রতিবাদে, পদক্ষেপ না নেওয়া পর্যন্ত অবরোধ চলবে।"
অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বের অভিযোগ
কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক লিখিলরঞ্জন দে বলেন, "দিনহাটায় একজন তৃণমূলের নেতা রয়েছে, তিনি নিজেকে কী ভাবেন, সেটা বলা মুশকিল। তাদের মধ্যে গোষ্ঠীকোন্দল, সেই কারণে এইসব ঘটনা ঘটছে। পায়ের নীচ থেকে মাটি সরে যাচ্ছে বলে বিজেপির নাম দিচ্ছে।এই ঘটনায় মাস্টার মাইন্ড কারা সেটা সবাই জানেন।"
শনিবার সকাল ১০টা থেকে অবরোধ শুরু হয়। প্রায় এক ঘণ্টা অবরোধ চলার পর দিনহাটা থানার পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ উঠে যায়।