TMC vs BJP in Cooch Behar: তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীরা আমন্ত্রিত হলেও ব্রাত্য স্থানীয় বিজেপি বিধায়ক, কোচবিহারে রাসমেলার উদ্বোধনে বিতর্ক
Cooch Behar: কোচবিহার শহরে রাসমেলার উদ্বোধনে রাজনৈতিক বিতর্ক। তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রী, বিধায়কদের আমন্ত্রণ জানানো হলেও ব্রাত্য বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক। তৃণমূলের বিরুদ্ধে অসৌজন্যের অভিযোগ এনেছে বিজেপি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে রাসমেলায় আমন্ত্রণ বিতর্ক। আমন্ত্রণপত্রে নামে নেই স্থানীয় সাংসদ ও বিধায়কের। যা নিয়ে শুরু হয়েছে তৃণমূল-বিজেপি তরজা।
বৃহস্পতিবার থেকে কোচবিহার শহরে শুরু হয়েছে রাসমেলা। সেই মেলা উদ্বোধনের আগেও বাগবিতণ্ডায় জড়াল তৃণমূল ও বিজেপি। সংঘাতের কেন্দ্রে এই আমন্ত্রণপত্র। রাস পূর্ণিমায় প্রতি বছর শহরে মেলার আয়োজন করে কোচবিহার পুরসভা।
এবার তৃণমূল পরিচালিত কোচবিহার পুরসভার তরফে যে আমন্ত্রণপত্র বিলি করা হয়েছে, তাতে মেলার উদ্বোধক হিসেবে নাম রাখা হয়েছে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশচন্দ্র অধিকারীর। মেলার সাংস্কৃতিক মঞ্চের উদ্বোধনের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে কোচবিহারের তৃণমূল জেলা সভাপতি গিরিন্দ্রনাথ বর্মনকে। পুরসভার আমন্ত্রণপত্রে তাঁকে বিশিষ্ট পঞ্চানন অনুরাগী ও গবেষক হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। আমন্ত্রিত অতিথিদের তালিকায় নাম রয়েছে দিনহাটার তৃণমূল বিধায়ক উদয়ন গুহ, সিতাইয়ের তৃণমূল বিধায়ক জগদীশ বাসুনিয়া, উত্তরবঙ্গ উন্নয়ন পর্ষদের চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ ঘোষ, শিলিগুড়ি পুরসভার প্রশাসক গৌতম দেব সহ আরও কয়েকজন তৃণমূল নেতার। অথচ যে কোচবিহার দক্ষিণ বিধানসভা কেন্দ্রে রাসমেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে, সেখানকার বিজেপি বিধায়ক নিখিলরঞ্জন দে-এর নাম নেই আমন্ত্রণপত্রে! পুরসভার আমন্ত্রণপত্রে নাম নেই কোচবিহারের বিজেপি সাংসদ ও কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষা প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকেরও।
এই বিষয়টি নিয়েই ক্ষোভ প্রকাশ করেছে পদ্ম শিবির। কোচবিহার দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক নিখিল রঞ্জন দে বলেছেন, ‘তৃণমূল পরিচালিত পুরসভা রাজনৈতিক সৌজন্যের ধারকাছ দিয়ে যায় না। আমি একজন নির্বাচিত বিধায়ক। যেখানে রাস উৎসব হচ্ছে সেখানকার বিধায়ক, মানুষের নির্বাচিত প্রতিনিধি। আমাদের নির্বাচিত সাংসদের নাম নেই, প্রতিমন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিকের নাম নেই। তৃণমূলের কালচার এটাই। উদ্বোধক হিসেবে জেলা সভাপতির নাম। এটাই এখন দেখতে হচ্ছে।’
পাল্টা জবাব দিয়েছে তৃণমূলও। কোচবিহার শহরের তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক বলেছেন, ‘গিরীন্দ্রনাথ বর্মন পঞ্চানন বর্মা অনুরাগী গবেষক। তিনি সেই হিসেবেই মঞ্চে থাকবেন। আর মেলা উদ্বোধন করছেন মন্ত্রী পরেশ অধিকারী। যাঁরা অভিযোগ করছেন তাঁরা আগে সৌজন্য দেখান, তারপর আমরা দেখাব। পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে টাকা কেটে নেওয়া, ভ্যাকসিন না দেওয়া, এই সৌজন্যগুলো আগে দেখাক। তারপর না হয় আমাদের থেকে সৌজন্য আশা করবে।’
মেলা শব্দের সঙ্গে জড়িয়ে মিলনের স্পিরিট। কিন্তু সেখানও ধাক্কা দিল রাজনীতির আমরা-ওরা!