![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/Premium-ad-Icon.png)
Cooch Behar: কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রেফতার অঞ্চল সভাপতি
১৯ অগাস্ট দিনহাটা ১-এর এ ব্লকে তৃণমূল সভাপতি বদল ঘিরে দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী আবদুল জলিল মিয়া।
![Cooch Behar: কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রেফতার অঞ্চল সভাপতি Cooch Behar: Inner clash of TMC at Dinhata, party leader arrested Cooch Behar: কোচবিহারে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব, গ্রেফতার অঞ্চল সভাপতি](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2021/09/22/da6453597b152ee98fc87e64e1d411fa_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, দিনহাটা: কোচবিহারের দিনহাটার গীতালদহে তৃণমূল কংগ্রেসের গোষ্ঠী সংঘর্ষে এক কর্মীর গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনায় দলের অঞ্চল সভাপতিকে গ্রেফতার করল পুলিশ।
গত ১৯ অগাস্ট দিনহাটা ১-এর এ ব্লকে তৃণমূল সভাপতি বদল ঘিরে গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের তৃণমূলের প্রধান আবু আল আজাদ এবং তৃণমূলের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানের গোষ্ঠীর মধ্যে বিবাদের জেরে গুলি চলে বলে অভিযোগ। গুলিবিদ্ধ হন তৃণমূল কর্মী আবদুল জলিল মিয়া। ওই ঘটনায় গীতালদহ ১ নম্বর পঞ্চায়েতের অঞ্চল সভাপতি মাফুজার রহমানকে গতকাল গ্রেফতার করে দিনহাটা থানার পুলিশ।
এর আগে এই ঘটনায় ৩২ জনকে গ্রেফতার করা হয়। শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে নেতার গ্রেফতার প্রসঙ্গে ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হবে বলে কটাক্ষ করেছে বিজেপি। আইন আইনের পথে চলবে, প্রতিক্রিয়া তৃণমূলের।
কোচবিহারে সম্প্রতি একাধিকবার শাসক দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে এসেছে। বারবার কড়া বার্তা দিয়েছে জেলা নেতৃত্ব, কিন্তু তাতেও কোনও লাভ হয়নি। সম্প্রতি ওকড়াবাড়ির তৃণমূল প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনেন দলীয় সদস্যদের একাংশ। কিন্তু অনাস্থা নিয়ে ভোটাভুটির ৪৮ ঘণ্টা আগে কোচবিহারের সিতাইয়ে আক্রান্ত হন তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। দিনহাটার ওকড়াবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান রেণুকা খাতুন বিবির বাড়িতে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। বোমাবাজি করা হয়, ভাঙচুরও চালানো হয়। আগুন লাগানো হয় একটি মোটরবাইকে। পরে দিনহাটা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে থেকে একটি তাজা বোমা উদ্ধার করে।
কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতির দায়িত্ব নিয়ে কর্মীদের সতর্ক করেছিলেন গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। তৃণমূল পরিচালিত কোনও গ্রাম পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা আনা যাবে না বলে কড়া বার্তা দেন তিনি। কিন্তু তাতেও এই প্রবণতা পুরোপুরি বন্ধ হয়নি। কোচবিহারে ১২৮টি গ্রাম পঞ্চায়েত রয়েছে। বিধানসভা ভোটের ফল বেরনোর পর থেকেই একের পর এক পঞ্চায়েতে দলীয় প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা এনে চলেছেন তৃণমূল সদস্যরা। জেলা নেতৃত্ব বাধা দেওয়ায়, আদালত থেকে সম্মতি নিয়ে অনাস্থা আনার একাধিক ঘটনা ঘটেছে। দিনহাটার ওকড়াবাড়ি গ্রামপঞ্চায়েতে ১২ জন সদস্যকে তৃণমূল থেকে বহিষ্কার করেও অনাস্থা আটকানো যায়নি।
আরও পড়ুন পঞ্চায়েত প্রধানের বাড়ি লক্ষ্য করে বোমাবাজির অভিযোগ দিনহাটায়
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)