Cooch Behar Crime: মেলায় যাওয়াই কাল হল ! বাড়ি ফিরতেই মিলল গৃহবধূর রক্তাক্ত দেহ
Cooch Behar Murder Case: ফের মর্মান্তিক ঘটনা তুফানগঞ্জে, ঘরের ভিতর থেকে গৃহবধূর গলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার, ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: ফের মর্মান্তিক ঘটনা তুফানগঞ্জে (Tufanganj)। নাককাটি গাছ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯/২০৩ নম্বর বুথ কদম বাগান সংলগ্ন এলাকায় ঘরের ভিতর থেকে গৃহবধূর গলার নলিকাটা দেহ (Dead body) উদ্ধার করল পুলিশ (Police)।
জানা গিয়েছে, মৃত মহিলার নাম রিংকু দেবনাথ। ঘটনার পর থেকে পলাতক স্বামী সুব্রত দে ওরফে খোকন দে। ঘটনায় চাঞ্চল্য তৈরি হয় সংশ্লিষ্ঠ এলাকায়। ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফান গঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। দেহটিকে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে উদ্ধার করে পুলিশ।এ বিষয়ে জানা যায় যে, ঐ গৃহবধূর স্বামী সুব্রত দে ওরফে খোকন দে ক্যাটারিং এর ব্যবসা করেন।
বৃহস্পতিবার রাতে তার দুই ছেলে ও শ্বাশুড়ি দোলমেলায় ঘুরতে যায়। সেই সময় বাড়িতে স্বামী সুব্রত দে এবং স্ত্রী রিঙ্কু দে দুজনে ছিলেন। মেলা থেকে ফিরে তারা দেখতে পান বাইরের গেটে তালা দেওয়া রয়েছে। অনেকক্ষণ ডাকাডাকির পর সাড়াশব্দ না পেয়ে তালা ভেঙ্গে বাড়িতে প্রবেশ করে এবং সেখানেও ঘরে প্রবেশের দরজায় তালা দেওয়া রয়েছে। পরে পিছন দিকে ভিতরে প্রবেশ করে দেখতে পায় মেঝের মধ্যে মহিলার রক্তাক্ত নিথর দেহ পরে রয়েছে।
ঘটনার খবর ছড়িয়ে পড়তেই চাঞ্চল্য তৈরি হয় সংশ্লিষ্ট এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় তুফানগঞ্জ থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী ও মহকুমা পুলিশ আধিকারিক। তবে এই ঘটনায় মহিলার স্বামী সুব্রত দে পলাতক থাকায় অভিযোগের আঙুল তারই দিকে। মৃতার বাবা জানান, কয়েক মাস থেকে জামাই ও মেয়ের মধ্যে বিবাদ চলছিল। তারই পরিণতি এটা। তার জামাই তার মেয়েকে খুন করে পালিয়েছে। থানা সূত্রে খবর গোটা ঘটনা তদন্ত সাপেক্ষ।
প্রসঙ্গত, গতবছর লেকটাউনের (lake town) দক্ষিণদাঁড়ি এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়েছিল এক গৃহবধূর (housewife)। খুনের (murder) অভিযোগে (accused) আটক করা হয়েছিল স্বামী,শ্বশুর ও ননদকে। পুলিশ সূত্রে খবর, দেহের একাধিক জায়গায় আঁচড় ও আঘাতের চিহ্ন মিলেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল, ওই গৃহবধূর নাম পায়েল রায়। মৃতার পরিবারের অভিযোগ জামাই ও শশুড়বাড়ির লোকজন মিলে খুন করেছে মেয়েকে।
আরও পড়ুন, সোনার গয়না ঝকঝকে করার নামে প্রতারণা ! পুলিশের জালে আগ্নেয়াস্ত্র-সহ ২
পায়েলের মায়ের দাবি, জামাই সন্দেহবাতিক। মেয়েকে সন্দেহ করতেন। এর আগেও এই নিয়ে মারধর করেছেন। এবার খুন, অভিযোগ পরিবারের। রাতে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছে মৃতার পরিবার। যদিও স্বামীর পাল্টা দাবি, স্ত্রীর একাধিক বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল। । সেই নিয়ে ঝামেলাও হত দুজনের। এই নিয়ে অশান্তি হয়। সন্ধ্যাবেলায় তিনি যখন বাথরুমে, তখনই সম্ভবত আত্মঘাতী হন পায়েল, দাবি সুমনের।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
and tablets