Cooch Behar News: বিজেপি নেতার বাড়িতে হামলাকাণ্ডে গ্রেফতার ১৩ জন তৃণমূল কর্মী
13 TMC Worker Arrested in Cooch Behar: পঞ্চায়েত ভোটের আগে ক্রমশ একের পর এক কোথাও বোমাবাজি, কোথাও হামলার অভিযোগ আসছে। কখনও কাঠগড়ায় বিজেপি, কখন আবার অভিযোগ খোদ শাসকদলের বিরুদ্ধেই।
কোচবিহার: দিনহাটার (Dinhata) আমবাড়িতে বিজেপির মণ্ডল সভাপতির (BJP Leader) বাড়িতে দফায় দফায় হামলা (Attack) চালানোর অভিযোগ উঠল। ঘটনায় গ্রেফতার ১৩ জন তৃণমূল কর্মী (TMC)। পুলিশের বিরুদ্ধেই চক্রান্তের অভিযোগ তুলেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীদের একাংশ (TMC Leader)। ধৃতদের ১৪ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঠিক কী হয়েছিল ?
প্রসঙ্গত, বিজেপির ২৩ নম্বর মণ্ডল সভাপতি বিদ্যুৎকমল সরকারের নেতৃত্বে দিনহাটার আমবাড়ি এলাকায় একটি মিছিল হয়েছিল। ডায়মন্ড হারবারে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর মিছিলে বিজেপি কর্মীদের আসতে বাধা দেওয়া হচ্ছে এই অভিযোগে শনিবার যে তোলপাড় শুরু হয়েছিল, তারই বিরোধিতায় মিছিল করেন বিদ্যুৎকমল সরকার। এদিন সেই মিছিলের প্রতিবাদে আমবাড়িতেই পাল্টা মিছিল করে তৃণমূল। সেখানেই দুই দলের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। এই ঘটনায় তিন তৃণমূল কর্মী জখম হন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি বিদ্যুৎকমল সরকারের বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছে বলে দাবি। এতেই শেষ নয়। মিছিলের পর ফের বিজেপির মণ্ডল সভাপতির বাড়িতে ভাঙচুর চলে। ঘটনার জেরে এলাকায় বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করতে হয়। পরিস্থিতি আপাতত নিয়ন্ত্রণে। কিন্তু যে বিজেপি নেতার বাড়িতে ভাঙচুর চলেছে, তিনি গত কাল থেকেই বাড়িতে নেই। সূত্রের খবর, তাঁর পাশে আরও একটি বাড়িতেও ভাঙচুর চালানো হয়েছিল। সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল। তাদের দাবি, সবটাই ভিত্তিহীন। শাসকদলের মিছিল শান্তিপূর্ণ ভাবেই হয়েছে। তবে পঞ্চায়েত ভোটের আগে অশান্ত দিনহাটার নানা এলাকা।
কী বললেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা ?
আরও পড়ুন, মঙ্গলে মহানগরে পেট্রোলের দাম কমল কি ? ডিজেলের কী দর সারা দেশে ?
ডায়মন্ড হারবারের সভার আগে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, 'কর্মী-সমর্থকরা অত্যাচারিত। মারামারিতে জড়াতে বারণ করেছি। প্রশাসনিক আধিকারিকদের বলেছি, হাইকোর্টের অর্ডার, সভা করতে দিন। প্রাণ হাতে করে সভায় আসছেন মানুষ'। হটুগঞ্জের বাজার এলাকায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে পরিস্থিতি। দফায় দফায় উত্তেজনা মাথা চাড়া দেয়। প্রথমে হটুগঞ্জ বাজারের কাছে তৃণমূলের তরফে অবরোধ করা হয়েছিল। সঙ্গে চলে স্লোগান। তৃণমূলের তরফে বার বার বলা হয়, তারা কেন্দ্রের জনবিরোধী নীতির বিরোধী। যদিও বিজেপির অভিযোগ ছিল, শুভেন্দুর সভায় যাতে কোনও কর্মী-সমর্থক না আসতে পারে সেই কারণেই পরিকল্পনামাফিক এই ব্যবস্থা। ইট-পাটকেল ছোড়া হয়। একাধিক দোকানে আগুন লাগানো হয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশবাহিনী নামানো হলেও পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে অনেকটা সময় লেগে যায়। তৃণমূলের দাবি, স্থানীয়দের ঘরবাড়ি ভাঙচুর করা হয়েছে। পাল্টা বিজেপির দাবি, তাদের গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। গালিগালাজের অভিযোগও ওঠে।