Cooch Behar News: কালীপুজোর রাতে পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে 'মারধরের'র অভিযোগ, সরানো হল কোচবিহারের SP দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে
Cooch Behar SP Moved: কোচবিহারের পুলিশ সুপার বদল

কোচবিহার: কোচবিহারের পুলিশ সুপার বদল। মূলত কালীপুজোর রাতে কোচবিহারের SP-র বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ উঠেছিল। এরপরেই সরানো হল কোচবিহারের SP দ্যুতিমান ভট্টাচার্যকে। কোচবিহারের নতুন পুলিশ সুপার সন্দীপ কাররা।
কালীপুজোর রাতে লাগাতার শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। প্রতিবেশীদেরকে মারধর করা অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। যদিও পুলিশ সুপারের বক্তব্য, কোনও মারধরের ঘটনা ঘটেনি। কালীপুজোর রাতে দেদারে শব্দবাজি ফাটানোর অভিযোগ। মাঝরাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে মহিলা ও শিশুদের মারধরের অভিযোগ উঠল কোচবিহারের পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সোমবার রাতে কোচবিহারের রেলঘুমটি এলাকায় বাজি পোড়াচ্ছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। সেই সময় তাঁদের মারধর করেছিলেন পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলে অভিযোগ। আহত হয়েছিলেন এক মহিলা আইনজীবী ও তাঁর স্বামী-সহ বেশ কয়েকজন। আক্রান্ত মহিলা আইনজীবী মল্লিকা কারজি বলেছিলেন,হঠাৎ করে এসপি, আমাদের সুপারিনটেন্ডেন্ট যে আছেন, ইনস্পেক্টর, উনি আর ওনার কয়েকজন লোক এসে কোনও বলাবলি নেই, কোনও কথা নেই, হঠাৎ করে বেধড়ক মারধর করল। বুঝতে পারলাম না। ওনারা কোনও ইউনিফর্ম পরেননি। সেখানে উনি কী করে একজন মহিলার গায়ে হাত দিল উইথআউট কনস্টেবল? লেডি কনস্টেবল ছাড়া কী করে গায়ে হাত দেয়?
আক্রান্ত মহিলা আইনজীবীর স্বামী পার্থ রায় বলেছিলেন, এসপি নিজে স্যান্ডো গেঞ্জি প্লাস বক্সার পরে মাথার মধ্যে গুন্ডাদের মতো ফেট্টি বেঁধে লাঠি নিয়ে এসে বেধড়ক মারধর করলেন। কোনও কথা নেই। বাচ্চারা প্রত্যেকে মাইনর ছিল। পাল্টা পুলিশ সুপারের দাবি, শব্দবাজির অত্য়াচারের পরও মারধরের কোনও ঘটনা ঘটেনি! কোচবিহার পুলিশ সুপার দ্যুতিমান ভট্টাচার্য বলেছিলেন, আমরা ভাবছি এই শেষ হবে শেষ হবে। রাত ১০টা নয়, ১১টা নয়, ১ টা অবধি ফাটিয়ে যাচ্ছে কনটিনিউ। আমার স্ত্রী পর্যন্ত কাউন্ট করেছে একসাথে ৬০টা পর্যন্ত ফাটিয়েছে। কোনও মারধরের কিছু ঘটনা ঘটেনি। আপনাদের আমি দেখাতে পারব যে আমার রেসিডেন্সের মধ্যে পর্যন্ত বাজি ফাটিয়েছে। ছুড়ে ছুড়ে মেরেছে। পুলিশের তরফে সোমবার রাতের এই ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ করে বলা হয়, কোচবিহার এয়ারপোর্টের কাছাকাছি এলাকায় বিপজ্জনকভাবে বাজি ফাটাচ্ছিলেন স্থানীয়দের একাংশ।পুলিশ সুপারের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগে মঙ্গলবার পথ অবরোধ করেন স্থানীয় বাসিন্দারা। পুলিশ এসে অবরোধ তুলে দেয়।






















