Cooch Benhar News: প্রথমে চাকরির প্রস্তাব, ইন্টারভিউয়ের নামে বাড়িতে ডেকে 'ধর্ষণ', দিনহাটায় গ্রেফতার TMC নেতা !
Cooch Benhar Dinhata TMC Worker Arrested: উত্তর ২৪ পরগনার পর এবার কোচবিহার, ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার তৃণমূল নেতা !

কোচবিহার: সদ্য গতকালই গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার হাবড়ার বিজেপি কর্মীকে। আর চব্বিশ ঘণ্টা পেরোতেই, এবার শিউরে ওঠা ঘটনা প্রকাশ্যে এল কোচবিহারে। এবার ধর্ষণের অভিযোগে দিনহাটায় তৃণমূল নেতা গ্রেফতার। এখানেই শেষ নয়, ধর্ষণের পর মারধরেরও অভিযোগ উঠেছে।
অভিযোগ, চাকরি পাইয়ে দেওয়ার নামে ৫ লক্ষ টাকা নিয়ে প্রথমে চলে প্রতারণা। ১৪ মার্চ ইন্টারভিউয়ের কথা বলে বাড়িতে ডেকে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ, প্রতিবাদ করলে মারধরের অভিযোগে গ্রেফতার। এরপরেই দিনহাটা মহিলা থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হন তৃণমূল নেতা। গ্রেফতার হয়েছেন তৃণমূলের আটিয়াবাড়ি অঞ্চল সভাপতি আব্দুল মান্নান। ধর্ষণের ধারায় মামলা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
অপরদিকে, গতকাল হাবড়ায় গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেফতার হন বিজেপি নেতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের বাড়ি হাবরা থানার গোয়ালবাটি এলাকায়। চলতি মাসের ১১ তারিখ মাঝরাতে গৃহবধূ বাথরুমে যাওয়ার জন্য ঘরের বাইরে যেতেই অভিযুক্ত, তাঁকে রাতের অন্ধকারে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে জানা গেছে দীর্ঘদিন ধরেই অভিযুক্ত গৃহবধূকে কুপ্রস্তাব দিচ্ছিল সে।পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ধর্ষণ করে গৃহবধূকে হুমকিও পর্যন্ত দেয় অভিযুক্ত। পরবর্তীতে চলতি মাসের ১৬ তারিখ হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের হয় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মীর বিরুদ্ধে। ১৬ তারিখ বিকেলেই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে পুলিশ।
সোমবার পাঁচ দিনের পুলিশ হেফাজত চেয়ে বারাসাত আদালতে পাঠানো হয় অভিযুক্তকে । পাশাপাশি অভিযোগকারী গৃহবধূকে এদিন স্বাস্থ্য পরীক্ষা করা হয় হাবরা হাসপাতালে। আদালতে পাঠানোর সময় অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী ক্যামেরার সামনে স্বীকার করে সে বিজেপি করে। পাশাপাশি তিনি জানান, তাকে ফাঁসানো হয়েছে । সঠিক তদন্তের দাবি করেন। বিজেপি কর্মী গ্রেফতারের ঘটনায় ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
পৌরসভার চেয়ারম্যান নারায়ণ শাহ জানান,' শুনেছি হাবরা থানায় লিখিত অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত বিজেপি কর্মী গ্রেফতার হয়েছে। আইন আইনের পথে চলবে। এই নিয়ে কথা বলেছিলাম আমরা।'বিজেপি নেতা বিপ্লব হালদার জানান, যদি অভিযুক্ত দোষী হয়, আইন আইনের পথে চলবে। পাশাপাশি সঠিক তদন্তের দাবি করেন তিনি।
সম্প্রতি মূক ও বধির এক গৃহবধূকে বাড়িতে ঢুকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যের স্বামীর বিরুদ্ধে। অভিযুক্তর স্ত্রী মুহুয়ারাপুর পঞ্চায়েতের তৃণমূল সদস্য। নির্যাতিতা গৃহবধূর স্বামীর অভিযোগ, পুলিশে অভিযোগ করতেই, পাল্টা তাঁদের উপর অত্যাচার চালিয়েছিলেন তৃণমূল নেতা। অভিযোগ, পানীয় জলের সংযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। অভিযুক্তকে ভোর রাতে গ্রেফতার করেছিল মুরারই থানার পুলিশ।
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
