Coochbehar: আবাস-রোষ সরকারি অফিসে, ভাঙচুরে অভিযুক্ত তৃণমূল নেতা
Awas Yojana Scam: ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় দুর্নীতির অভিযোগে এবার সরকারি অফিসে ধুন্ধুমার। দুর্নীতি অভিযোগ তুলে কোচবিহারের দিনহাটা ১ নম্বর ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসারের দফতরে ভাঙচুর চালানো হয়। অফিসে ঢুকে সরকারি আধিকারিককে শাসানি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। পাশাপাশি ভাঙচুর চালানো হয় বলে দাবি।
ব্লক ইনফরমেটিক্স অফিসারের বিরুদ্ধে টাকার বিনিময়ে সরকারি ঘর পাইয়ে দেওয়ার অভিযোগ তোলা হয়। ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে ২ তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। অভিযুক্ত দিনহাটা ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মোবারক ইসলাম। আর এক অভিযুক্ত তৃণমূল সদস্য শামসুল হক।
এর আগেও বারবার ঝামেলা:
পঞ্চায়েত ভোটের আগে জেলায় জেলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার তালিকা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। তা নিয়ে রোজই কোথাও না কোথাও বিক্ষোভ দেখানো হচ্ছে। অভিযোগ খতিয়ে দেখতে, একবার ঘুরে গিয়েছে কেন্দ্রীয় পরিদর্শক দল। ফের রাজ্যে আসছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের প্রতিনিধি দল। এই পরিস্থিতিতে দক্ষিণ ২৪ পরগনার ক্যানিংয়ে আবাস-ক্ষোভ আছড়ে পড়েছিল এক আইসিডিএস (ICDS) কর্মীর ওপর। ক্যানিংয়ের দিঘিরপার গ্রাম পঞ্চায়েতের উত্তর অঙ্গদবেড়িয়া গ্রামে এমন ঘটনা। বাসিন্দাদের অভিযোগ, যাঁরা প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় ঘর পাওয়ার যোগ্য তাঁদের নামই তালিকা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়েছে। গ্রামবাসীদের দাবি, এই কাজ করেছেন আইসিডিএস কর্মী এবং তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য সাঞ্জিলা তরফদার। এই অভিযোগে প্রথমে স্কুল থেকে টেনে হিঁচড়ে আইসিডিএস কর্মী অপর্ণা মণ্ডল সাঁপুইকে বের করা হয় বলে অভিযোগ। বাইরে থেকে স্কুলে লাগিয়ে দেওয়া হয় তালা। তারপরে শুরু হয় বিক্ষোভ-অবস্থান।
কোথাও পঞ্চায়েত অফিসে, কোথাও আবার পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়ির সামনে বিক্ষোভ হয়েছে। কখনও রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানোর ঘটনাও ঘটেছে।
রাজনৈতিক তরজা:
আবাস যোজনা নিয়ে চড়েছে রাজনীতির পারদও। দিলীপ ঘোষ থেকে সুকান্ত মজুমদার আবাস যোজনায় ঘর না পেলে কী কী করতে হবে তার নিদানও দিয়েছেন। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেছিলেন, 'পঞ্চায়েতগুলো (Panchayat) চোরেদের আখড়া তৈরি হয়েছে। আর বিডিও অফিস ঘুঘুর বাসা, বিডিও-রা সবথেকে বড় ডাকাত। সন্ধে হলে তৃণমূলের নেতাদের সঙ্গে বিডিও-রা বাটোয়ারা করে। বাংলার সব বিডিও অফিস ঘেরাও করা হবে'। বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে ঢিল মারার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেছিলেন, 'ঢিল মারতে হলে উপযুক্ জায়গায় গিয়ে মারুন। যেখানে মারার দরকার সেখানে মারুন। ঘর পাচ্ছেন না, পারলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন।'
আরও পড়ুন: "ঘর না পেলে বিডিও অফিসে ঢিল মারুন", বন্দে ভারত এক্সপ্রেসে হামলার পাল্টা দাওয়াই সুকান্তর