Coochbehar News: কোচবিহারে তুঙ্গে বিরোধ, পার্থপ্রতিম রায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ রবীন্দ্রনাথ ঘোষের
রবিবার মে দিবস উপলক্ষ্যে কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র অনুষ্ঠান ছিল।সেখানেই নাম না করে পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাঁরই পূর্বসূরি।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে (Coochbehar) চরমে উঠল তৃণমূলের প্রাক্তন ও বর্তমান জেলা সভাপতির বিরোধ। নাম না করে ফের পার্থপ্রতিম রায়কে চাঁছাছোলা ভাষায় আক্রমণ করলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ।
কোচবিহারে চরমে উঠল বিরোধ: রবিবার মে দিবস উপলক্ষ্যে কোচবিহারের সুকান্ত মঞ্চে তৃণমূলের শ্রমিক সংগঠন INTTUC-র অনুষ্ঠান ছিল।সেখানেই নাম না করে পার্থপ্রতিম রায়ের বিরুদ্ধে তোপ দাগেন তাঁরই পূর্বসূরি। ২০১৯-এর লোকসভা ভোটের আগে পর্যন্ত কোচবিহারে জেলা তৃণমূল সভাপতি ছিলেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। কিন্তু লোকসভা ভোটে কোচবিহারে তৃণমূল হেরে যাওয়ার পর, বিনয়কৃষ্ণ বর্মনকে জেলা সভাপতি করা হয়। সেইসময় পার্থপ্রতিম রায় ছিলেন জেলা তৃণমূলের কার্যকরী সভাপতি। ২০২০ সালে পার্থপ্রতিম রায়কে জেলা সভাপতি করে তৃণমূল। কিন্তু ২০২১-এর বিধানসভা ভোটে জেলায় খারাপ ফলের পর পার্থপ্রতিম রায়কে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেয় দল। গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে নতুন জেলা সভাপতি করা হয়।
কিন্তু গত পুরভোটে জয়ের পরও ২০২২-এর মার্চে গিরীন্দ্রনাথ বর্মনকে সরিয়ে ফের পার্থপ্রতিম রায়কেই জেলা সভাপতির দায়িত্বে ফিরিয়ে আনা হয়। সেই প্রসঙ্গ টেনেই এদিন তোপ দাগেন রবীন্দ্রনাথ ঘোষ। তৃণমূল কংগ্রেস রাজ্য সহ সভাপতি রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “কাকে কাকে ল্যাং মারেনি একটা লোক! আমাকে ল্যাং মারল! ঠিক আছে। মিহির দা-র সঙ্গে ল্যাংই মারল না, দল থেকে তাড়াল! তারপরে বিনয় বর্মন, তাঁর ঘাড়ে চেপে বসল! তাঁকে দল থেকে তাড়াল! বিনয়ের পরে কে আসল? ও, উনি নিজেই আসলেন! ঠাকুর নিজেই বসলেন আসনে। গিরীন বাবু আসলেন। ভদ্রলোক মানুষ, শিক্ষিত মানুষ। ভাল মনের মানুষ। সাদা মনের মানুষ। সবাইকে বিশ্বাস করে চলতে থাকলেন। এই চলতে গিয়ে কখন যে ফিতে কেটে দিয়েছে গিরীনদাও বুঝতে পারেনি, আমরাও বুঝতে পারিনি।‘’
তৃণমূল জেলা সভাপতি পার্থপ্রতিম রায় বলেন,”আমি অতটা শক্তিশালী মানুষ নই। দলের একজন কর্মী মাত্র। দলের নির্দেশ মতো কাজ করার চেষ্টা করছি।’’ এদিন নাম না করে বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতিকে ‘ঠাকুর’ বলেও কটাক্ষ করেন রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী। রবীন্দ্রনাথ ঘোষ বলেন, “ঠাকুর যদি সন্তুষ্ট না হয়, তাহলে পঞ্চায়েতে টিকিট পাবে না। পঞ্চায়েত সমিতির টিকিট পাবে না। জেলা পরিষদের টিকিট পাবে না। বুথ সভাপতি থাকতে পারবে না, অঞ্চল সভাপতি থাকতে পারবে না, ব্লক সভাপতি থাকতে পারবেন না। জেলায় কোনও গুরুত্ব থাকবে না, যেমন আমার অবস্থা হয়েছে। আমারই বানানো ঘর, এখন সেখানে আমারই জায়গা নেই!’’
সম্প্রতি জেলা তৃণমূলের নতুন কোর কমিটিতে ১১ জনের তালিকায় জায়গা হয়নি রবীন্দ্রনাথ ঘোষের! যার পর ফেসবুকে ইঙ্গিতপূর্ণ পোস্টও করেন তিনি। এরপর বৃহস্পতিবার নাম না করে জেলা তৃণমূল সভাপতির সঙ্গে গোখরো সাপেরও তুলনা করেন তৃণমূলের রাজ্য সহ সভাপতি। আর এদিন তাঁর মুখে শোনা গেল ল্যাং মারার প্রসঙ্গ। যদিও এ নিয়ে খুব একটা গুরুত্ব দিতে নারাজ বর্তমান জেলা তৃণমূল সভাপতি।
আরও পড়ুন: Riddhi Banerjee: "বিজেপি সম্পর্কে মোহভঙ্গ হয়েছে'' বিস্ফোরক সঙ্গীতশিল্পী ঋদ্ধি বন্দ্যোপাধ্যায়