CoochBehar News: শিকার হয়েছে গবাদি পশু, চিতাবাঘের আতঙ্কে রাতজাগা গোটা গ্রাম
বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত ২২ মার্চ স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠে কাজ করার সময় জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এরপরই গোটা গ্রামে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা দ্রুত বন দফতরের কর্মীদের খবর দেন।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, মাথাভাঙা: এবার মাথাভাঙা জোরপাটকি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার শিবপুর গ্রামে চিতাবাঘের (Leopard) আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ল। মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পাওয়া গেলেও এখনও পর্যন্ত চিতাবাঘটিকের দেখা পাওয়া নিয়ে গ্রামবাসীরা নানা কথা জানাচ্ছেন। আর তাতেই আতঙ্কে গোটা গ্রামের মানুষ। রাত জেগে চলছে পাহারার কাজও।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, গত ২২ মার্চ স্থানীয় বাসিন্দারা মাঠে কাজ করার সময় জমিতে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান। এরপরই গোটা গ্রামে চিতাবাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। গ্রামবাসীরা দ্রুত বন দফতরের কর্মীদের খবর দেন। যদিও বন দফতরের কর্মীরা এলেও এখনও পর্যন্ত বাঘের হদিশ পাওয়া যায়নি। তবে, গ্রামবাসীদের একাংশ জানাচ্ছেন, শনিবার একটি শেয়ালের অবশিষ্ঠাংশ দেখতে পাওয়া যায়। আর তা দেখেই গ্রামে আরও বেশি করে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। স্থানীয় বাসিন্দাদের কেউ কেউ জানাচ্ছেন, ইতিমধ্যেই মুরগি থেকে বেশ কিছু গবাদি পশু চিতাবাঘের শিকার হয়েছে। আবার কোনও কোনও গ্রামবাসী জানাচ্ছেন, তাঁরা কেউ কেউ চিতাবাঘের বাচ্চা দেখতে পেয়েছেন আবার কেউ জানাচ্ছেন বড় বাঘের দেখা পাওয়া গিয়েছে। গ্রামে নতুন করে বাঘের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় শনিবার সারাদিন কেউ বাড়ি থেকে বের হননি।
আরও পড়ুন - Cooch Behar: কোচবিহারে লোকালয়ে চিতাবাঘের হানা! ঘণ্টা তিনেকের চেষ্টায় 'বন্দি' বাঘ | Bangla News
বন দফতরের কর্মীদের কাছে গ্রামবাসীরা সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর এবং খাঁচা বসানোর দাবি জানিয়েছিলেন। স্থানীয় বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, শনিবার তাঁরা ফের বাঘ দেখতে পান। শিবপুর বাজার সংলগ্ন এলাকায় একটি গবাদি পশুর উপর চিতাবাঘটি হামলা চালায় বলে দাবি তাঁদের। স্থানীয়রা জানাচ্ছেন, মোট তিনটি বাঘ তাঁরা দেখতে পেয়েছেন। গ্রামের বাসিন্দারা রাত জেগে লাঠি নিয়ে নিজের নিজের এলাকা পাহারা দিচ্ছেন। গোটা গ্রামের মানুষ বাঘের আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। জানা যাচ্ছে, রবিবার বন দফতরের পক্ষ থেকে এলাকায় খাঁচা পাতা হয়। কিন্তু এখনও পর্যন্ত অধরা ওই চিতাবাঘ।