Coochbehar: উত্তরাখণ্ডে টানেলে আটকে বাংলার শ্রমিক, উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে পরিবার
Uttarakhand Tunnel Collapse: কবে প্রিয়জনের দেখা পাবেন? উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে কোচবিহারের তালুকদার পরিবারের।
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে টানেল বিপর্যয়ে (Uttarakhand Tunnel Collapse) আটকে পড়েছেন কোচবিহারের (Coochbehar) বাসিন্দা। পাইপ দিয়ে পাঠানো জল আর খাবার খেয়ে কাটছে দিন। কবে মিলবে মুক্তি? উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে পরিবারের।
আটকে বাংলার শ্রমিকরা: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীতে (Uttarkashi) এক চিলতে সুড়ঙ্গে এখনও আটকে রয়েছেন ৪০ জন শ্রমিক। দমবন্ধ করা পরিবেশে কেটে গেছে ৮টা দিন। কবে প্রিয়জনের দেখা পাবেন? উৎকণ্ঠায় দিন কাটছে কোচবিহারের তালুকদার পরিবারের। ১২ নভেম্বর সিল্কিয়ারা থেকে বারকোটের মধ্যে নির্মীয়মাণ সুড়ঙ্গে বাংলার ৩ শ্রমিক-সহ ৪০ জন আটকে পড়েন। তার মধ্যে রয়েছেন কোচবিহারের বলরামপুরের মানিক তালুকদার।
কী অভিযোগ পরিবারের?
পরিবার সূত্রে খবর, ৬ মাস আগে, হায়দরাবাদের একটি সংস্থার হয়ে ওই সুড়ঙ্গে ইলেকট্রিশিয়ানের কাজ করতে যান তিনি। পরিবারের সঙ্গে শেষ কথা হয়েছিল শনিবার। তারপর থেকেই যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন।পরিবারের অভিযোগ, হায়দরাবাদের যে সংস্থার হয়ে কাজে গিয়েছিলেন, তারাও যোগাযোগ করেনি। মানিক তালুকদারের ছেলে মনি তালুকদার বলেন, “কোনও সেফটি পাইপ রাখা হয়নি, সেই কারণে এরকম হল।’’
চলছে উদ্ধারকাজ: উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশী জেলায় এই দুর্ঘটনা ঘটেছে। ব্রহ্মকাল-যমুনোত্রী জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে সিল্কিয়ারা এবং ডন্ডালগাঁওকে সংযুক্ত করতে সুড়ঙ্গ নির্মাণের কাজ চলছিল সেখানে। সেই কাজ চলাকালীন, গত সপ্তাহের শনিবার ভোরে ওই নির্মীয়মান সুড়ঙ্গটি ভেঙে পড়ে। নির্মীয়মান সুড়ঙ্গটির ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়েছে বলে জানা যায়। সেই সময় সুড়ঙ্গের ভিতর কাজ করছিলেন ওই ৪১ জন শ্রমিক। ধ্বংসস্তূপে আটকে পড়েন তাঁরা। সেই থেকে আটকেই রয়েছেন। তবে উদ্ধারকার্য সম্পন্ন করতে এখনও চার-পাঁচদিন সময় লাগতে পারে বলে অনুমান করছেন বিশেষজ্ঞরা। রবিবার সকালে ড্রিল মেশিন দিয়ে পাহাড়ের উপর দিয়ে উল্লম্ব গর্ত খোঁড়ার কাজ শুরু হয়েছে। এর পাশাপাশি, বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশন সিল্কিয়ারা সুড়ঙ্গের মধ্যে দিয়ে নতুন রাস্তা এগিয়ে নিয়ে চলেছেন। সব ঠিকঠাক চললে, ওই রাস্তা ধরে এগোলে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছতে পারবেন উদ্ধারকারীরা। এই আবহে প্রমাদ গুনছেন উদ্ধারকারীরা। সুড়ঙ্গে আটকে থাকা কর্মীদের বের করে আনতে জোরকদমে কাজ চালাচ্ছে প্রশাসন। সড়ক পরিবহণ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, সুড়ঙ্গে আলোর ব্যবস্থা রয়েছে। পাইপের মাধ্যমে অক্সিজেন, খাবার, জল, ওষুধ পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে রবিবার ঘটনাস্থলে যান কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নিতীন গডকড়ি ও উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী পুষ্কর সিং ধামি।
আরও পড়ুন: Weather Update: জগদ্ধাত্রী পুজোয় শীতের আমেজ, আগামী সপ্তাহে পারদ পতনের পূর্বাভাস