Coohbehar: মেয়ের মৃত্যুতেও রেহাই নেই, হাসপাতালের সামনেই নাবালিকার বাবাকে নিয়ে তৃণমূল-বিজেপির টানাটানি!
Coohbehar Clash: রাজনীতির দড়ি টানাটানি থেকে রেহাই মিলল না নির্যাতিতার বাবার! হাসপাতাল চত্বরেই মৃতার বাবাকে নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে!
শুভেন্দু ভট্টাচার্য, কোচবিহার: কোচবিহারে নির্যাতিতা নাবালিকার মৃত্যু। তারপরও থেমে থাকল না রাজনীতি! মৃতার বাবাকে নিয়ে টানাটানি চলল তৃণমূল (TMC) ও বিজেপির (BJP) মধ্যে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মূল অভিযুক্ত সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
লজ্জার ছবি বাংলায়: মণিপুর থেকে মালদা (Malda), কোচবিহার (Coochbehar) থেকে কাকদ্বীপ (Kakdwip)। কী দেশ, কী রাজ্য, নারী নির্যাতনের অভিযোগের তালিকা ক্রমশ লম্বা হচ্ছে! এরই মধ্যে মৃত্যু হল কোচবিহারের নির্যাতিতা নাবালিকার! আর তারপরই লজ্জার ছবি দেখল বাংলা!
১৪ বছরের নাবালিকা মেয়ের মৃত্যুর পরও, রাজনীতির দড়ি টানাটানি থেকে রেহাই মিলল না নির্যাতিতার বাবার! হাসপাতাল চত্বরেই মৃতার বাবাকে নিয়ে রীতিমতো টানাটানি শুরু হল তৃণমূল ও বিজেপির মধ্যে!
টানাটানি মধ্যে সদ্য মেয়ে হারা অসহায় বাবা! একদিকে বিজেপির মহিলা মোর্চার জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণ, অন্যদিকে কোচবিহারের তৃণমূল সভাপতি অভিজিৎ দে ভৌমিক, এই দু'জনের টানাটানি মধ্যে বেশকিছুক্ষণ পড়লেন সদ্য মেয়ে হারা অসহায় বাবা! কোচবিহারের বিজেপি মহিলা মোর্চা জেলা সভানেত্রী অর্পিতা নারায়ণের কথায়, জোর করে ওর বাবাকে তৃণমূল তুলে নিয়ে গেল। আমাদের মহিলাদের ধাক্কাধাক্কি করে তৃণমূলের জেলা সভাপতি তুলে নিয়ে গেল আপনারা দেখতেই পেলেন।
গত ১৮ জুলাই স্কুল থেকে শরীর খারাপের কথা বলে বেরিয়ে যায় ক্লাস নাইনের ওই ছাত্রী। তারপর থেকেই আর খোঁজ মেলেনি তাঁর। ২০ তারিখ পুণ্ডিবাড়ি থানায় অভিযোগ দায়ের করে নাবালিকার পরিবার। পরের দিনই কোচবিহারের একটা নার্সিংহোমে তাঁর খোঁজ মেলে। ওঠে অপহরণ করে ধর্ষণের অভিযোগ।
মৃত্যু হয় নাবালিকার: এই পরিস্থিতিতে বুধবার কোচবিহারের এমজেএন মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় নাবালিকার। তারপরই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে হাসপাতাল চত্বর। ধর্ষণের অভিযোগে ধৃতরা বিজেপি ও সিপিএমের কর্মী বলে দাবি করে তৃণমূল।
বিজেপি নেতা রাহুল সিন্হার উদ্দেশ্যে গো ব্যাক স্লোগান দিতে শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। হাসপাতালে নাবালিকার দেহ আটকেও চলে বাগ্ বিতন্ডা। পরে পুলিশের সাহায্যে কোনওরকমে মৃতদেহ বের করা হলেও গন্ডগোল থামেনি। হাসপাতালের বাইরে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়ে তৃণমূল ও বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। অভিযোগ, বিজেপির কাছ থেকে নাবালিকার বাবাকে রীতিমতো টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন তৃণমূলের কর্মীরা। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই মূল অভিযুক্ত-সহ মোট পাঁচজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম টেলিগ্রামেও। যুক্ত হোন