Cossipore Death Update : "খুন করে ফেলে দেব, কেউ খুঁজে পাবে না", অর্জুনকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগ মায়ের
Arjun Chaurasia Threatened by Unknown : কাশীপুরে বিজেপি যুব নেতার রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের।
কলকাতা : "মৃত্যুর রাতে হুমকি দেওয়া হয়েছিল কাশীপুরে বিজেপি নেতাকে। খুন করে ফেলে দেব, কেউ খুঁজে পাবে না। ঘটনার রাতে বাড়ির বাইরে শুনতে পেয়েছিলেন অচেনা কণ্ঠস্বর।" এমনই দাবি জানালেন মৃত বিজেপি নেতা অর্জুন চৌরাসিয়ার মা লছমিনা চৌরাসিয়ার।
কাশীপুরে (Cossipore) বিজেপি যুব নেতার (BJP Youth Leader) রহস্যমৃত্যুর ঘটনায় এর আগে মৃতের বড়দাদা আনন্দ চৌরাসিয়া দাবি করেন, বৃহস্পতিবার রাতে বাড়ির সামনে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়িয়েছিল একটি গাড়ি। ওই গাড়ি থেকে একজনকে নামতেও দেখা যায়। বিষয়টি নিয়ে সন্দেহ দানা বেঁধেছে প্রতিবেশীদের মনেও। পাশাপাশি, মৃত বিজেপি যুব নেতার দাদা পুলিশি তদন্তে আস্থা রয়েছে বলে দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন ; রাতে বাড়ির সামনে সন্দেহজনকভাবে দাঁড়িয়েছিল গাড়ি, কাশীপুরের ঘটনায় চাঞ্চল্যকর দাবি পরিবারের
প্রেক্ষাপট-
দিন দুয়েক আগে বঙ্গ সফরে আসেন অমিত শাহ। ঠিক সেই সময় বিজেপির যুব নেতার রহস্যজনক মৃত্যু হয়। খুন ? না আত্মহত্যা ? এই প্রশ্নের উত্তর ঘিরে চরমে বাগযুদ্ধ । বিজেপির যুব মোর্চার মৃত নেতার নাম অর্জুন চৌরাসিয়া। তিনি কাশীপুর-বেলগাছিয়া এলাকার বিজেপির যুব মোর্চার সহ সভাপতি ছিলেন।
মৃতের পরিবার সূত্রে দাবি, বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ বাড়ি ফেরেন অর্জুন চৌরাসিয়া। কিছুক্ষণ পরে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান। তারপর থেকে অর্জুনের আর কোনও খোঁজ মেলেনি।
শুক্রবার সকালে বাড়ি থেকে মাত্র ঢিল ছোড়া দূরত্বে কাশীপুর রেল কোয়ার্টারের একটি পরিত্যক্ত ঘরে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায় অর্জুনের মৃতদেহ। বিজেপি ও মৃতের পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ জানান, রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই অর্জুন চৌরাসিয়াকে খুন করেছে তৃণমূল।
তদন্ত কোথায় দাঁড়িয়ে ?
ঠিক কী ঘটেছিল শুক্রবার? কীভাবে কাশীপুরে বিজেপির যুব নেতার মৃত্যু হল? এলাকাবাসীর বয়ান রেকর্ড করেছে পুলিশ। তদন্তে ব্যবহার হয় থ্রিডি স্ক্যানার। ঘটনাস্থল এবং বাড়িতে বসে সিসি ক্যামেরা, বাড়ানো হয় পুলিশি নিরাপত্তা। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকাবাসীর বয়ান রেকর্ডের পাশাপাশি, মৃত বিজেপি নেতার কললিস্ট নজর রাখা হয়েছে।
এদিকে আদালতের নির্দেশে বিজেপি যুব নেতার ময়নাতদন্ত হয়েছে আলিপুর কম্যান্ড হাসপাতালে। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মুখ্য বিচার বিভাগীয় ম্যাজিস্ট্রেট, আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল এবং কল্যাণীর AIIMS-এর একজন করে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞের উপস্থিতিতে হয় ময়নাতদন্ত। প্রায় সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে চলা ময়নাতদন্তের ভিডিওগ্রাফি করা হয়।