Bankura News:হাইকোর্টে জামিন, ১ বছর ১ মাস ৮ দিন পর নিজের জেলায় তালড্যাংরার প্রাক্তন সিপিএম বিধায়ক
Ex MLA Of Taldangra:১ বছর ১ মাস ৮ দিন পর নিজের জেলায় ফিরলেন সিপিআইএম নেতা ও তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র।
পূর্ণেন্দু সিংহ, বাঁকুড়া: হালেই জামিন দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট (High Court)। ফলে ১ বছর ১ মাস ৮ দিন পর নিজের জেলায় ফিরলেন সিপিআইএম নেতা ও তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র (Ex CPM MLA Of Taldangra Returns To Bankura)। গত কাল, অর্থাৎ বুধবার বর্ধমান সংশোধনাগার থেকে মুক্তি পান তিনি। ওখান থেকে তাঁকে প্রথমে সিপিআইএম পূর্ব বর্ধমান জেলা দফতরে নিয়ে যাওয়া হয়।
যা হল...
দলের পূর্ব বর্ধমান জেলা দফতরে সংবর্ধনা দেওয়া হয় তালডাংরার প্রাক্তন বিধায়ককে। পরে সেখান থেকে বাঁকুড়া জেলা সিপিএম দফতরে আসেন তিনি। প্রসঙ্গত, ২০১০ সালের ২৯ জুন তালডাংরার রাজপুর গ্রামে মদন খাঁ নামে এক তৃণমূল কর্মী খুন হন। সেই সময় এলাকার সিপিএম বিধায়ক ছিলেন মনোরঞ্জন। ওই ঘটনায় নাম জড়ায় মনোরঞ্জন-সহ ২১ জনের। অভিযোগ ছিল, মদন খাঁকে সিপিএমে যোগ দেওয়ার জন্য তীব্র চাপ দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি তাতে রাজি হননি। ফলে খুন হতে হয় বলে অভিযোগ। ওই ঘটনায় পুলিশ তাঁদের গ্রেফতারও করে। তবে পরে প্রত্যেকেই জামিনে মুক্ত হন। ১২ বছর মামলা চলার পর ১৮ জনকে মুক্তি দিলেও বিধানগরের এমপি-এমএলএ আদালত ২০২২-র ডিসেম্বর মাসে প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্র-সহ মোট তিন জনকে দোষী সাব্যস্ত করে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের নির্দেশ দেয়। সেই সময় থেকে সিপিআইএম নেতা ও প্রাক্তন বিধায়ক মনোরঞ্জন জেলবন্দী ছিলেন। পরে চলতি বছরের ২২ জানুয়ারী কলকাতা হাইকোর্ট জামিন মঞ্জুর করে তালডাংরার তিন বারের বিধায়ক মনোরঞ্জন পাত্রের।
এদিন বাঁকুড়া শহরের স্কুল ডাঙায় দলের জেলা দফতরে বসে সিপিআইএম নেতা মনোরঞ্জন পাত্র বলেন, 'এখনও ওই 'সাজানো' মামলা থেকে মুক্তি পাইনি। জামিন পেয়েছি। তবে জেলবন্দি জীবন থেকে মুক্তি পেয়ে ভালো লাগছে।' জামিন করানো ও আইনি লড়াইয়ে দল সবসময় পাশে ছিল বলে জানান তিনি। প্রসঙ্গত, শেষ পঞ্চায়েত ভোটের আগে, গত মার্চে, জনসংযোগ যাত্রা চলাকালীন বর্ধমানের জামালপুরে সভায় CPM-কে নিশানা করতে গিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছিলেন, "মহাসচিবকে সাসপেন্ড করার আগে এই দল দু'বার ভাবেনি। অথচ মনোরঞ্জন পাত্র কার্যত দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরও সিপিএম মাথায় তুলে রেখেছে। যাঁরা টাকা নিতে গিয়ে ক্যামেরায় ধরা পড়েছে, বিজেপি তাঁদের বড় পদ দিয়েছে। তৃণমূলে কেউ দুর্নীতিতে যুক্ত প্রমাণিত হলে, তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে বের করে দেওয়া হয়।"
আরও পড়ুন:'মহুয়া মানুষের ভোটে আবার জিতে আসবে' ফের বহিষ্কৃত সাংসদের পাশে দাঁড়ালেন মুখ্যমন্ত্রী