Bankura News: জলের তলায় চাষের জমি, বন্যা পরিস্থিতি বাঁকুড়ায়, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন বিজেপি বিধায়ক
Bankura Flood: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরই বাড়তে চলেছে দামোদর নদের জল। সোনামুখী ব্লকের সমিতিমানা এলাকায় বিঘার পর বিঘা সবজি ও ধান জমি জলের তলায়।
তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: দামোদর নদের জলে বিঘার পর বিঘা চাষের জমি জলের তলায়। নিজে নৌকো চালিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখলেন সোনামুখীর বিজেপি বিধায়ক (BJP MLA)। এলাকায় রাজনীতি করতে গিয়েছেন বলে দাবি তৃণমূলের (TMC)।
চাষের জমি জলের তলায়: দুর্গাপুর ব্যারেজ থেকে জল ছাড়ার পরই বাড়ছে দামোদর নদের জল। সোনামুখী ব্লকের সমিতিমানা এলাকায় বিঘার পর বিঘা সবজি ও ধান জমি জলের তলায়। খবর পেয়ে এলাকায় যান সোনামুখী বিধানসভার বিজেপি বিধায়ক দিবাকর ঘড়ামি। নিজে নৌকো চালিয়ে বন্যা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেন। সোনামুখী ব্লকের দামোদর নদ তীরবর্তী সমিতিমানা, কেনেটিমানা এলাকার সিংহভাগ মানুষের আয়ের সংস্থান কৃষিকাজ। সমিতিমানার বিঘার পর বিঘা জমি এখন জলের তলায়। জলের পরিমাণ বাড়তে থাকলে এবার বাড়িতেও জল ঢুকে আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। এদিন নৌকা নিয়ে এলাকা পরিদর্শন করেন বিজেপি বিধায়ক। তবে বিষ্ণুপুরের জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ মণ্ডল বিধায়কের এই কর্মসূচিকে তীব্র কটাক্ষ করেছেন। তাঁর দাবি, বিধায়ক এলাকা পরিদর্শনের নাম করে রাজনীতি করতে গিয়েছেন। মানুষকে বিভ্রান্ত করছেন।
নিম্নচাপের জেরে প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডে তুমুল বৃষ্টির জের। মাইথন ও পাঞ্চেত জলাধার থেকে ছাড়ায় ধাপে ধাপে জল ছাড়ার পরিমাণ বাড়াল দুর্গাপুর ব্যারাজ। সকাল ৬টা পর থেকে ১ লক্ষ ৩৬ হাজার কিউসেক জল ছাড়া হচ্ছে। নিম্নচাপের জেরে ঝাড়খণ্ডে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। গতকাল থেকেই জল ছাড়তে শুরু করেছে DVC। সেই জল পশ্চিম বর্ধমানে পৌঁছনোর পর, দুর্গাপুর ব্যারাজ থেকে জল ছাড়া শুরু করেছে সেচ দফতর। এর জেরে দামোদরের নিম্ন অববাহিকায় পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া ও হুগলি জেলার একাংশ প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।
অন্যদিকে, নিম্নচাপের টানা বৃষ্টিতে বাঁকুড়ায় জনজীবন বিপর্যস্ত। বাঁকুড়া শহর লাগোয়া ভাদুল সেতু দ্বারকেশ্বরের জলে ডুবে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ। সমস্যায় পড়েছেন আশপাশের প্রায় ৩৫টি গ্রামের মানুষ। মীনাপুর সেতুর ওপর দিয়েও বইছে দ্বারকেশ্বরের জল। যাতায়াত বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন ৮টি গ্রামের বাসিন্দারা। বাঁকুড়া শহরের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া গন্ধেশ্বরী নদীর জল বইছে মানকানালি সেতুর ওপর দিয়ে। আগামী কয়েকদিন ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকায় এই সেতুটিও ডুবে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
আরও পড়ুন: Ghatal Flood: ফের প্লাবন আতঙ্ক ঘাটালে, বন্ধ গাড়ি চলাচল, ফসলের ক্ষতির আশঙ্কা