Cyclone Asani: ঘণ্টায় ১৪ কিলোমিটার বেগে এগোচ্ছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’, আবার কি ঘরছাড়া হতে হবে? উপকূলবর্তী গ্রামে আতঙ্ক
Ashani Cyclone: আরও একটি মে মাস। আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আর ফের একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বারবার প্রকৃতির হাতে মার খাওয়া ভুক্তভোগী মানুষগুলো।
পার্থপ্রতিম ঘোষ, বিটন চক্রবর্তী ও ঋত্বিক প্রধান, কলকাতা: গত বছর মে (May) মাসে দাপট দেখিয়েছিল ইয়াস (Yaas)। এবার অশনির (Asani) ভ্রুকুটি। যার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন পূর্ব মেদিনীপুরের কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্র তীরবর্তী বেশ কয়েকটি গ্রামের বাসিন্দারা। এদিকে জেলা প্রশাসনের তরফে দাবি করা হয়েছে, পরিস্থিতি মোকাবিলায় যাবতীয় প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
আরও একটি মে মাস। আরও একটি ঘূর্ণিঝড়ের আশঙ্কা। এবার ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘অশনি’। আর ফের একবার সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বারবার প্রকৃতির হাতে মার খাওয়া ভুক্তভোগী মানুষগুলো। আবার কি ঘরছাড়া হতে হবে? আতঙ্কের এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে সকলের মুখে মুখে।
এই অবস্থায় একদিকে যেমন মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হচ্ছে, পাশাপাশি মানুষকে বরাভয়ও দিচ্ছে প্রশাসন। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের রুদ্ররূপ দেখেছিল পূর্ব মেদিনীপুরের বিস্তীর্ণ সমুদ্র উপকূলের বাসিন্দারা ইয়াসের তাণ্ডবে সেদিন লন্ডভন্ড হয়ে গিয়েছিল দিঘা, কাঁথি, মন্দারমণি, তাজপুর-সহ একের পর এক সাজানো-গোছানো এলাকা।
আরও পড়ুন, ডিজেল বা ইলেকট্রিকে নয়, কলকাতার রাস্তায় নামতে চলেছে সিএনজি-চালিত বাস
বছর পেরিয়ে আবার মে মাস। এবার চোখ রাঙাচ্ছে অশনি। যার নাম শুনেই থরহরিকম্প অবস্থা কাঁথি ১ নম্বর ব্লকের সমুদ্র তীরবর্তী গ্রামগুলির বাসিন্দাদের। কাঁথির বাসিন্দা নন্দন প্রধান বলেন, "গতবারেই ইয়াসের জলে সব নষ্ট হয়েছিল, বাঁধে ত্রিপল খাটিয়ে ছিলাম, আবার এক হলে ফের বাড়ি ছাড়তে হবে।"
এই শৌলা গ্রামেই রয়েছে মৎস্যবন্দর। আগের দুর্যোগে সেই মত্স্য বন্দরেরও ক্ষতি হয়েছিল ব্যাপক। তবে এক বছর ধরে একটু একটু ঘুরে দাঁড়িয়েছে গ্রাম। কিন্তু আবার সব ধ্বংসস্তূপে পরিণত হবে না তো? মৎস্যজীবী ঘনশ্যাম মণ্ডল বলেন, "আমি মৎস্যজীবী, গতবার জল ঢুকেছিল, আমরা চাই গার্ডওয়াল হোক, নাহলে প্রতিবার এক সমস্যা হবে।"
রবিবার এই এলাকা পরিদর্শন করেন তৃণমূল পরিচালিত কাঁথি এক নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি প্রদীপ গায়েন। অন্যদিকে, তাজপুরে সমুদ্রবাঁধ ঘুরে দেখেন রামনগর ১ পঞ্চায়েত সমিতির সভানেত্রী শম্পা দাস মহাপাত্র। দুর্যোগ মোকাবিলায় সবরকম ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে জেলা প্রশাসন। পূর্ব মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক প্রবীর চট্টোপাধ্যায় বলেন, "সমুদ্র তীরবর্তী এলাকার মানুষদের সতর্ক করা হয়েছে। মজুত করা হয়েছে শুকনো খাবার, ত্রিপল। মৎস্য, কৃষি, সেচ ও বিদ্যুৎ দফতরকে সজাগ থাকতে বলা হয়েছে। সমস্ত ত্রাণ শিবির কেন্দ্রও তৈরি রয়েছে। কয়েকটি স্কুলকেও বাছা হয়েছে।"
এদিকে, ফসল বাঁচাতে এখন থেকেই পাকা ধান ঘরে তুলছেন পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসার ধানচাষিরা।