Cyclone DANA: 'ঝড় মোকাবিলা করার অভ্যাস রয়েছে', ঘরবাড়ি আঁকড়ে রয়েছেন সমুদ্র পাড়ের বাসিন্দারা
Cyclone Alert: ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব, বকখালিতে উত্তাল সমুদ্র, বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য, চলছে পুলিশি নজরদারি।
উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, কলকাতা: পূর্ব মেদিনীপুরের জুনপুট মৎস্য বন্দর। ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব পড়ার আশঙ্কা থাকায় প্রশাসনের তরফে ২৬টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে। এরপরও বাড়ি ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে রাজি নন স্থানীয় বাসিন্দারা। ঝড়ের মোকাবিলা করার অভ্যাস রয়েছে, তাই সতর্কতা থাকা সত্ত্বেও গ্রামে থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জুনপুটে সমুদ্র পাড়ের বাসিন্দারা। ঝড়ের দাপটে নৌকা যাতে ভেসে না যায়, তার জন্য বেঁধে রেখেছেন মৎস্যজীবীরা। কড়া নজরদারি চালাচ্ছে পুলিশ।
পাশেই ওড়িশা, সেখানেই ঘূর্ণিঝড়ের ল্যান্ডফলের সম্ভাবনা। সবথেকে বেশি প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলায়। গতকাল থেকেই পর্যটকশূন্য দিঘা। সমুদ্র পাড়ের দোকানগুলির ঝাঁপ বন্ধ। টহল দিচ্ছে পুলিশ। দড়ি দিয়ে ঘিরে দেওয়া হয়েছে তটভূমি। সকাল থেকে বৃষ্টি হচ্ছে। বইছে ঝোড়ো হাওয়া। দিঘায় হোটেল, লজ গতকালই খালি করার নির্দেশিকা জারি করেছে প্রশাসন।
অন্যদিকে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাব, বকখালিতে উত্তাল সমুদ্র, বইছে ঝোড়ো হাওয়া। সমুদ্র সৈকত পর্যটকশূন্য, চলছে পুলিশি নজরদারি। অন্যদিকে, নামখানা ব্লকের দশ মাইল বাজারে ধরা পড়ল আরেক ছবি। মাছ ধরার ট্রলারগুলি যেমন কাছি দিয়ে বাঁধা, তেমনই সমুদ্র পাড়ের দোকানঘরগুলিকেও বেঁধে রাখা হয়েছে। স্থানীয়দের দাবি, ঘূর্ণিঝড় ঠেকাতেই এই সাবধানতা।
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র প্রভাবে গোসাবায় দমকা হাওয়ার সঙ্গে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। শেষ মুহূর্তে যুদ্ধকালীন তৎপরতায় নদী বাঁধ মেরামতির কাজ করছে সেচ দফতর। গোসাবা ব্লকের বিভিন্ন নদী বাঁধে চলছে মেরামতির কাজ। জলের তোড়ে ভাঙন আটকাতে কোথাও কোথাও প্লাস্টিক দিয়ে ঢেকে দেওয়া হচ্ছে নদী বাঁধ।
এদিকে, উপকূলের সঙ্গে দূরত্ব কমছে অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’র। দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাজুড়ে শুরু হয়েছে বৃষ্টি। আজ ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির লাল সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সুন্দরবন উপকূলে ঝড়ের দাপট বেশি। কাল পর্যন্ত জেলায় সমস্ত জল পরিবহণ পরিষেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। গতকাল রাত থেকেপ্রায় ৫০ হাজার মানুষকে ফ্লাড সেন্টারে নিয়ে আসা হয়েছে বলে জেলা প্রশাসন জানিয়েছে। সাগর, পাথরপ্রতিমা, নামখানা, গোসাবা ও কাকদ্বীপ থেকে সবথেকে বেশি মানুষকে সরানো হয়েছে। এছাড়া, সুন্দরবনের বিচ্ছিন্ন দ্বীপগুলিতে বাড়তি নজরদারি চালানো হচ্ছে। উপকূলে ৩৫টি CC ক্যামেরা বসানো হয়েছে। প্রস্তুত রাখা হয়েছে NDRF-এর ৩টি, SDRF-এর ২টি দলকে এবং প্রশিক্ষিত ডুবুরিদের। গাছ ভেঙে পড়লে পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুত রয়েছে ৪৭০টি দল। জেলা, মহকুমা ও ব্লকে কন্ট্রোল রুম খোলা হয়েছে। জেলার সমস্ত পর্যটন কেন্দ্র ও সুন্দরবন ভ্রমণ আজ ও কাল বন্ধ রাখা হয়েছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে