DA Case : পিছিয়ে গেল DA মামলার শুনানি , কবে পরবর্তী দিন?
প্রয়োজন হলে প্রতিদিন শুনানি করে এই মামলার নিষ্পত্তি করা হবে বলে জানিয়েছে শীর্ষ আদালত।

নয়াদিল্লি: পিছিয়ে গেল ডিএ মামলার শুনানি। মঙ্গলবার, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হবে বলে জানিয়েছে দেশের শীর্ষ আদালত।সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি সঞ্জয় কারল ও বিচারপতি প্রশান্ত কুমার মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল ৷ এর আগে গত ১৬ মে সুপ্রিম কোর্ট রাজ্যের সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ ৬ সপ্তাহের মধ্যে মিটিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু আদালতের নির্দেশ এখনও পালন করেনি রাজ্য ৷ এই পরিস্থিতিতে সোমবার, ৪ অগাস্ট ডিএ মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল।
রাজ্যের তরফে, আগামী সোমবার এই মামলার শুনানির আর্জি জানানো হয়। টাকার অঙ্ক অনেক বেশি থাকায় সুপ্রিম কোর্টে আরও সময় চেয়ে আবেদন করেন তাদের আইনজীবী। কিন্তু, রাজ্যের সেই আর্জি খারিজ করে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি সঞ্জয় কারল বলেন, আগামীকালই হবে এই মামলার শুনানি। সুপ্রিম কোর্টের পর্যবেক্ষণ, এই মামলার পূর্ণাঙ্গ শুনানি হোক। যত দ্রুত সম্ভব,এই মামলার নিষ্পত্তি হওয়া দরকার। বিচারকদের পর্যবেক্ষণ, এই মামলার সঙ্গে বহু সরকারি কর্মীর ভবিষ্যৎ যুক্ত, এই মামলার ব্যাপ্তিও অনেক। তাই ডিএ মামলার নিষ্পত্তি দ্রুত হওয়া দরকার। সেই জন্যই আগামীকালই দিন দিয়েছেন বিচারপতি।
রাজ্য সরকারের রফে যুক্তি ছিল, হাইকোর্ট বা ট্রাইব্যুনাল কেউই টাকার অঙ্ক নির্দিষ্ট করেনি। ফলে এই হিসেব নিকেশ করতে কিছুটা সময় প্রয়োজন। এই বিষয়ে সরকারের তরফে শীর্ষ আদালতের কাছে একটি আবেদন বা interlocutory application ও করা হয়েছে। সেই বিষয় নিয়েও সরকারের কিছু মতামত আছে। এই সবকিছু নিয়ে মঙ্গলবার সকাল-সকালই শুরু হবে এই মামলার শুনানি, প্রয়োজনে প্রতিদিন শুনানি হবে। তারপর শীর্ষ আদালত পরবর্তী নির্দেশিকা দিতে পারে।
বর্তমানে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৫ শতাংশ হারে DA পান। অন্যদিকে, সর্বশেষ বিধানসভা বাজেটে ৪% বৃদ্ধির পর, রাজ্য সরকারের কর্মচারীরা এখন DA পান ১৮% হারে। অর্থাৎ এখনও কেন্দ্র রাজ্যের মধ্য়ে DA-র ফারাক ৩৭%। গত ১৬ মে DA মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টে দাঁড়িয়ে রাজ্য সরকারের আইনজীবী বলেছিলেন, ৫০ শতাংশ বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে গেলে বিপুল পরিমাণ টাকার প্রয়োজন হবে। রাজ্য সরকারকে ৪০ হাজার কোটি টাকা মেটাতে হবে। এই বিপুল টাকা দিতে গেলে রাজ্য সরকারের কোমর ভেঙে যাবে। এরপর সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দেয়, ২০০৯ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত রাজ্য সরকারি কর্মীদের যে পরিমাণ DA বকেয়া রয়েছে, তার ২৫ শতাংশ ৬ সপ্তাহের মধ্যে রাজ্য সরকারকে মিটিয়ে দিতে হবে। সেই সময়সীমা শেষ হয়েছে গত ২৭ জুন। তারপরও DA মেলেনি। উল্টে বকেয়া DA মেটাতে আরও ৬ মাস সময় চেয়ে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করে রাজ্য সরকার।
রাজ্যের লক্ষ লক্ষ সরকারি কর্মচারী, শিক্ষক এবং পেনশনভোগী এই শুনানির জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছেন। এই শুনানির পর স্পষ্ট হবে যে রাজ্যের সরকারি কর্মচারীরা কখন কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘ্য ভাতা পেতে পারেন। মামলার শুনানি পিছনো নিয়ে রাজ্য সরকারি কর্মীদের একাংশের দাবি, রাজ্যের অর্থনৈতিক পরিস্থিতি তো দেখা যাচ্ছে। এখন, আদালতের ওপরে ভরসা রাখা ছাড়া আর কোনও উপায় নেই। সরকারি কর্মীদের একাংশ প্রশ্ন তুলেছে, বকেয়া DA দেওয়ার সময় রাজ্য় সরকার যে আর্থিক সঙ্কটের যুক্তি দেখায়, তাহলে পুজো অনুদানের এত টাকা আসে কোথা থেকে?






















