Sujan on DA Verdict : "টাকা নেই তো রোজ খেলা-মেলা কোথা থেকে করছে ?" ডিএ-ইস্যুতে রাজ্যকে তুলোধনা সুজনের
Sujan Chakraborty raises question of DA issue : মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিএ কর্মীদের মৌলিক ও আইনত অধিকার
কলকাতা : "বিধায়ক-মন্ত্রীদের বেতন বাড়বে প্রচুর। কর্মচারীদের বাড়বে না।" বকেয়া ডিএ মামলায় কলকাতা হাইকোর্টের রায়ের পর রাজ্যকে কটাক্ষ সুজন চক্রবর্তীর। তুললেন একাধিক প্রশ্নও।
৩ মাসের মধ্যে কর্মীদের বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মেটাতে হবে বলে রাজ্যের আবেদন খারিজ করে আজ জানিয়ে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। এনিয়ে রাজ্যকে একহাত সুজন চক্রবর্তীর। তিনি বলেন, "শিক্ষক পদে নিয়োগ নেই, সরকারি কর্মচারী পদে নিয়োগ নেই। ডিএ তাঁদের দেওয়া হচ্ছে না। বঞ্চনার পরিমাণ অন্তত দেড় লক্ষ কোটি টাকা। টাকাগুলো গেল কোথায় ? সরকার বলছে, টাকা নেই। সরকারের যদি টাকা না থেকে থাকে, তাহলে রোজ খেলা-মেলা কোথা থেকে করছে ? তহবিল কার্যত খারাপভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। দলীয় মনোভাবে রাজ্য সরকার চলছে। এমএলএ-মন্ত্রীদের বেতন বাড়বে প্রচুর। কর্মচারীদের বাড়বে না।"
আরও পড়ুন ; রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ দিতে হবে ৩ মাসের মধ্যে, জানিয়ে দিল হাইকোর্ট
আজ ডিএ মামলার রায় ঘোষণা হয় হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চে। রাজ্য সরকারি কর্মীদের পঞ্চম বেতন কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী বকেয়া ৩২ শতাংশ মহার্ঘ ভাতার দাবিতে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনালে ২০১৬ সালে মামলা হয়। মামলা করে কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজ। এ নিয়ে দীর্ঘ আইনি লড়াই চলে। শেষপর্যন্ত স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বকেয়া মিটিয়ে দিতে বলে। এই রায়কেই চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে যায় রাজ্য সরকার। সেই মামলাতেই আজ রায় দেয় হাইকোর্ট। মামলার রায় দিতে গিয়ে বিচারপতি হরিশ টন্ডন ও বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ বলেছে, ডিএ কর্মীদের মৌলিক ও আইনত অধিকার। মহার্ঘভাতা নিয়ে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল বা স্যাট যে রায় দিয়েছে তা ৩ মাসের মধ্যে কার্যকর করতে হবে।
এনিয়ে উচ্ছ্বসিত রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। তাঁদের দীর্ঘদিনের আইনি লড়াই কোথাও একটা আইনি দিশা পেল, এমনই বলছে বিভিন্ন মহল। এনিয়ে মামলাকারীদের তরফে মলয় মুখোপাধ্যায় বলেন, "এটা শুধু কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্মেন্ট এমপ্লয়িজের জয় নয়, এই জয় সমগ্র কর্মচারী সমাজের। ২০১৯ সালের ২৬ জুলাই বিচারপতি রঞ্জিত কুমার বাগ ও সুরেশ কুমার দাস যে রায় দিয়েছিল, সেই রায়-ই আজ হাইকোর্ট বহাল রাখল। তিন মাসের মধ্যে বিজ্ঞপ্তি জারি করে ছয় মাসের মধ্যে ডিএ দিয়ে দিতে হবে। আজ সেই রায় বহাল রেখে হাইকোর্ট বলল, তিন মাসের মধ্য়ে স্যাটের রায় ইমপ্লিমেন্ট করতে হবে। অল ইন্ডিয়া কনজিুমার প্রাইস ইনডেক্স অনুসারে ডিএ-র ক্যালকুলেশন করতে হবে। বর্তমান সরকার এসে ডিএটাকে সম্পূর্ণভাবে গুলিয়ে দিয়েছে। তাই আমরা ঠিকমতো ডিএ পাই না। এই রায়ে আমরা খুশি।