Sukanta Majumdar: ‘দিদির দূতে’র পাল্টা ‘পাড়ায় সুকান্ত’! পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে জনসংযোগে বিজেপি
Paray Sukanta: বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। মূলত তাঁর নিজের এলাকাতেই আপাতত এই কর্মসূচি চলবে।
মুন্না অগরওয়াল, বালুরঘাট: দিন, ক্ষণ এখনও ঠিক না হলেও, ক্রমশ এগিয়ে আসছে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Elections 2023)। তার আগে তৃণমূলের তরফে জনসংযোগ গড়ে তুলতে 'দিদির দূত' কর্মসূচির সূচনা ঘটেছে। রাত পাল্টা এ বার 'পাড়ায় সুকান্ত' (Paray Sukanta) কর্মসূচি নিয়ে এগিয়ে এলেন বিজেপি-র (BJP) রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar)। এর আওতায়, পাড়ায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা জানবেন তিনি।
পাড়ায় ঘুরে ঘুরে মানুষের সুবিধা-অসুবিধা জানবেন সুকান্ত
বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত। মূলত তাঁর নিজের এলাকাতেই আপাতত এই কর্মসূচি চলবে। এর আওতায়, বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের সব মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কথা জানতে, কেন্দ্রীয় সরকারের সব পরিষেবা তাঁদের কাছে পৌঁছচ্ছে কিনা, এ সব নিয়েই এই বিশেষ কর্মসূচি শুরু করলেন সুকান্ত। এই কর্মসূচির গোটাটাই তাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত বলে জানিয়েছেন তিনি।
বিজেপি-র অন্দরে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, শুধুমাত্র আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচন, আসলে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই এই কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নামছেন সুকান্ত। সেই মতোই কর্মসূচির নাম রাখা হয়েছে 'পাড়ায় সুকান্ত'। ইতিমধ্যেই এই কর্মসূচি নিয়ে বালুরঘাটের ইতিউতি পোস্টার, ব্যানার চোখে পড়তে শুরু করেছে।
শুক্রবার থেকেই কর্মসূচির সূচনা ঘটেছে। প্রথম কর্মসূচি ছিল বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের দৌড়গঞ্জ এলাকায়। আগামী দিনে বালুরঘাট লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় এই কর্মসূচিকে এগিয়ে নিয়ে যাবেন তিনি। সুকান্ত বলেন, "নিজের লোকসভার জন্যই শুধু এই কর্মসূচি চালু করছি আমি। আগামীতে গোটা রাজ্যের জন্য বাস্তবায়িত করার কথা ভাবা হবে।"
শুক্রবার থেকেই কর্মসূচির সূচনা ঘটেছে বালুরঘাটে
কর্মসূচি নিয়ে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত আরও বলেন, "আমার লোকসভা কেন্দ্রের বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে সাধারণ মানুষের সুবিধা-অসুবিধার কছা শোনা, তাঁদের বিভিন্ন সার্টিফিকেট দেওয়া, অসুস্থ মানুষের চিকিৎসার ব্যবস্থা থেকে স্বাস্থ্য পরিষেবা এবং প্রধানমন্ত্রীর প্রকল্পগুলির সুবিধা যাঁরা পাননি, তাঁদের সুবিধা প্রদান করাই লক্ষ্য এই কর্মসূচির।"
পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন এগিয়ে আসতে থাকলেও, এখনও পর্যন্ত দিন ঠিক হয়নি। তবে প্রস্তুতিতে খামতি নেই কোথাও। সব দলই নিজের মতো করে জনসংযোগ গড়ে তুলতে সচেষ্ট হয়েছে। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে তৃণমূলের তরফে 'দিদির দূত', 'দিদির সুরক্ষাকবচ' কর্মসূচি নিয়ে এসেছে তৃণমূল। সম্প্রতি আবার 'ভবিষ্যৎ' প্রকল্পেরও ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তার আওতায় ব্যবসার জন্য ৫৪ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ নেওয়া যাবে। গ্যারেন্টার হবে খোদ সরকার। বিরোধীদের দাবি, জনমোহিনী প্রকল্পে ভর করে নির্বাচনে বৈতরণী পার করতে চাই তৃণমূল।