Damayanti Sen: নামখানা গণধর্ষণের তদন্তভারও দময়ন্তীকেই, সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের
Damayanti Sen Update: নারী নির্যাতনের অভিযোগে অভিতোলপাড় রাজ্যের নানা প্রান্ত।
সৌভিক মজুমদার, কলকাতা: নামখানা গণধর্ষণের (Namkhana Case) তদন্তও হবে দময়ন্তী সেনের (Damayanti Sen Update) নজরদারিতে। সুনিশ্চিত করতে হবে নির্যাতিতা ও সাক্ষীদের নিরাপত্তাও। নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট। এই নিয়ে মোট ৫টি মামলার তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব পেলেন দময়ন্তী সেন। হাইকোর্টের নির্দেশে, পিংলাকাণ্ডে তদন্তের নজরদারির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আইজি ট্রাফিক পারুল কুশ জৈনকে।
ফের দময়ন্তীতেই ভরসা কলকাতা হাইকোর্টের
একের পর এক নারী নির্যাতনের অভিযোগে তোলপাড় রাজ্যের নানা প্রান্ত। এই পরিস্থিতিতে শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্টের (Calcutta High Court) প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিল যে, দক্ষিণ ২৪ পরগনার নামখানা গণধর্ষণ মামলার তদন্তও হবে কলকাতা পুলিশের স্পেশাল কমিশনার, IPS অফিসার দময়ন্তী সেনের নজরদারিতে।
এর পাশাপাশি হাঁসখালিকাণ্ডের মতো নামখানার নির্যাতিতা, তাঁর পরিবার ও সাক্ষীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করার নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এর আগে, উত্তর ২৪ পরগনার মাটিয়া ও দেগঙ্গা, মালদার ইংরেজবাজার ও বাঁশদ্রোণী ধর্ষণ মামলার তদন্তেও নজরদারির দায়িত্বও IPS অফিসার দময়ন্তী সেনকেই দিয়েছিল আদালত।
২০১২ সালে পার্কস্ট্রিট গণধর্ষণকাণ্ডে তোলপাড় হয়েছিল গোটা রাজ্য। সেই ঘটনার তদন্তের দায়িত্বে ছিলেন তৎকালীন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা প্রধান দময়ন্তী সেন। এ বার একের পর এক ধর্ষণের অভিযোগের ক্ষেত্রেও, তদন্তে তাঁর ওপরই বারবার আস্থা রাখছে কলকাতা হাইকোর্ট।
আরও পড়ুন: TMC Fact Finding Team: জাহাঙ্গিরপুরীতে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে বাধা, অভিযুক্ত দিল্লি পুলিশ
শুক্রবার কলকাতা হাইকোর্ট আরও নির্দেশ দিয়েছে যে, পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় ধর্ষণের চেষ্টার অভিযোগের তদন্ত প্রক্রিয়া চলবে IG ট্রাফিক, আইপিএস অফিসার পারুল কুশ জৈনের নজরদারিতে। এই ঘটনায় ইতিমধ্যেই তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পিংলাকাণ্ডে বিশেষভাবে সক্ষম নির্যাতিতাকে আর্থিক সাহায্য করার জন্যও রাজ্য সরকারকে বিবেচনা করার কথাও জানিয়েছে হাইকোর্ট।
একের পর এক নারী নির্যাতনের ঘটনা সামনে আসছে
শুক্রবারই আবার ময়নাগুড়ি, নেতড়া, নামখানা, শান্তিনিকেতন ও পিংলাকাণ্ডের কেস ডায়েরি এবং তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট আদালতে পেশ করে পুলিশ। যদিও কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ নির্দেশ দিয়েছে। সবক’টি মামলাতেই ২ মে তদন্তের অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে পুলিশকে।