Omicron: উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজে ২ করোনা আক্রান্তের মৃত্যু, ওমিক্রন নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক
Omicron fear in North Bengal: দেশজুড়ে ওমিক্রন আতঙ্কের মধ্যেই উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ২ জন করোনা রোগীর মৃত্যুতে বাড়ছে আতঙ্ক। হাসপাতালে ভর্তি ১৩ জন।
বাচ্চু দাস, শিলিগুড়ি: করোনা আবহে নতুন আতঙ্ক এই ভাইরাসের নতুন প্রজাতিতে!আতঙ্কের নাম ‘ওমিক্রন’। ইতিমধ্যেই দেশে এই ভ্যারিয়েন্টে আক্রান্ত একাধিক ব্যক্তির হদিশ মিলেছে। এই পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে দু’জন করোনা আক্রান্তের মৃত্যতে বাড়ছে উদ্বেগ। গত বুধবার মৃত্যু হয় তাঁদের।
উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন সন্দীপ সেনগুপ্ত জানিয়েছেন, ’মৃত ও আক্রান্ত রোগীদের ভ্রমণের ইতিহাস খতিয়ে দেখা হয়েছে। তা দেখার পাশাপাশি, অন্যান্য দিকও খতিয়ে দেখে তাঁদের নুমনা জিনোম সিকোয়েন্সিং-এর জন্য পাঠানোর প্রয়োজন হয়নি।’
এই প্রেক্ষিতে চিকিৎসকদের পরামর্শ, ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজ যাঁদের বাকি আছে, তাঁদের তা নির্দিষ্ট সময়ে নিতে হবে। বর্তমান পরিস্থিতিতে মানুষকে আরও সতর্ক থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
এ বিষয়ে উত্তরবঙ্গ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ডিন বলেছেন, ‘গত ২৪ ঘণ্টায় পাঁচজন করোনা রোগীর ছুটি হয়েছে। ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। করোনা নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা সেকেন্ডের ডোজ নিতে হবে। ওমিক্রন নিয়ে এখানে তেমন কিছু পাওয়া যায়নি। সতর্ক থাকতে হবে। সরকারি নির্দেশিকা মানতে হবে। ভ্যাকসিনের দ্বিতীয় ডোজও জরুরি। ছড়ানোর ক্ষমতা যথেষ্ট।’
ওমিক্রন নিয়ে সতর্ক দার্জিলিঙ প্রশাসনও। জেলাশাসক এস পন্নমবল্লম জানিয়েছেন, ‘বাগডোগরা বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষকে বিদেশি যাত্রীদের ব্যাপারে সতর্ক করে ওমিক্রন সংক্রান্ত নির্দেশিকা মানতে বলা হয়েছে। নজর দেওয়া হচ্ছে মাস্ক ব্যবহার এবং করোনা পরীক্ষায়।’
এখনও পর্যন্ত দেশে চারজন ওমিক্রন আক্রান্তের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে ওমিক্রনের সংক্রমণ রুখতে এ রাজ্যেও শুরু হয়েছে নজরদারি। বিমানবন্দরে আসা যাত্রীদের প্রোটোকল মেনে স্ক্রিনিং করা হচ্ছে। কারও করোনা রিপোর্ট পজিটিভ এলেই তাঁকে বেলেঘাটা আইডি-তে তৈরি বিশেষ আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘আমরা বিমানযাত্রীদের স্ক্রিনিং করছি। বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলছি। কেউ করোনা পজিটিভ হলেই বেলেঘাটা আইডিতে রাখা হবে। বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে চুক্তি করার চেষ্টা করছি। ওমিক্রন আসবেই। যতটা ঠেকিয়ে রাখা যায়, সেই চেষ্টা করছি।’
সবমিলিয়ে ওমিক্রন নিয়ে আশঙ্কা আর উদ্বেগের শেষ নেই।