Darjeeling News: দার্জিলিংয়ে বন্ধ হল জনপ্রিয় দুই পর্যটনস্থল! টয় ট্রেন নিয়েও নেওয়া হল বড় সিদ্ধান্ত
Darjeeling Weather: টানা বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ের লেবং কার্ট রোডে ধসে নেমেছে।
মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরবঙ্গ। ধস নেমে বন্ধ হয়ে গিয়েছে একাধিক রাস্তা। একাধিক নদীর জল বাড়ায় প্লাবিত হয়ে পড়েছে গ্রামের পর গ্রাম। জলের জন্য বহু রাস্তায় বন্ধ যান চলাচল। কয়েকদিনের অস্বাভাবিক বৃষ্টিতে গোটা পাহাড় থেকে সমতল- জনজীবন বিপর্যস্ত। টানা বৃষ্টির জেরে দার্জিলিংয়ের লেবং কার্ট রোডে ধসে নেমেছে।
এই বৃষ্টি দুর্যোগের জেরে বিপর্যস্ত শৈলশহরের একাধিক এলাকা। জিটিএ পর্যটন দফতরের তরফে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে আপাতত দার্জিলিংয়ের জনপ্রিয় দুটি পর্যটন স্থান বন্ধ রাখার। সেই মতোই রক গার্ডেন এবং গঙ্গা মায়া পার্ক বন্ধ রাখা হচ্ছে। দার্জিলিংয়ে ভারী বৃষ্টি ও ধসের সমস্যা মিটলে তারপর খুলে দেওয়া হবে এই দুই পর্যটনস্থল।
এমনকী, কার্শিয়ংয়ের পাগলাঝোরা এলাকায় ১১০ জাতীয় সড়কে ফাটল ধরেছে। শুকনা থেকে সরাসরি কার্শিয়ং যাওয়ার পথ বন্ধ। নীচের দিকে অনেকটা বসে গেছে রাস্তা। যার জেরে বন্ধ যান চলাচল। ধসের জন্য রবিবার পর্যন্ত NJP থেকে দার্জিলিং টয় ট্রেন পরিষেবা বন্ধ। ধসের পাশাপাশি, টানা বৃষ্টির জেরে কার্শিংয় শহরের একাধিক রাস্তা জলমগ্ন। বহু ঘরে, দোকানে জল ঢুকে গিয়ে বিপর্যস্ত জনজীবন। জল জমে অনেক জায়গায় আটকে পড়েছে গাড়ি।
টানা বৃষ্টি ও ধসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। পশ্চিমবঙ্গ ও সিকিমের লাইফলাইন বলে পরিচিত এই রাস্তা বন্ধ থাকায় কার্শিয়ঙের ১১০ জাতীয় সড়ক দিয়ে যাতায়াত করছে বেশিরভাগ গাড়ি। টানা বৃষ্টি জেরে সেখানেও ব্যাপক যানজট তৈরি হয়েছে।
আরও পড়ুন, মেলেনি ভোট, 'শাস্তি দিতে' টিউবওয়েল সারাইয়ে 'না'! জলকষ্ট গ্রামে, তুঙ্গে তরজা
এদিকে, টানা বৃষ্টির জেরে ফুঁসছে তিস্তা। তিস্তা সংলগ্ন দোমোহনি এলাকায় জারি করা হয়েছে হলুদ সতর্কতা। তিস্তার জল ঢুকে প্লাবিত জলপাইগুড়ির মালবাজারের টোটগাঁও গ্রাম। কালিম্পঙের তিস্তাবাজারে দার্জিলিং-কালিম্পং রোডের ওপর দিয়ে বইছে তিস্তার জল।
ভারী বৃষ্টিতে ফুঁসছে কোচবিহারের নদীগুলি। মানসাই ও রায়ডাক নদীতে হলুদ সতর্কতা জারি করা হয়েছে। তুফানগঞ্জের নাটাবাড়িতে গদাধর নদীর বাঁধ ভেঙে প্লাবিত বিস্তীর্ণ এলাকা। তোর্ষা নদীর জল ঢুকে বলরামপুর ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের রাস্তা ভেঙে গেছে। তন্ত্রী পাড়া ও পশ্চিমপাড়ার সঙ্গে বাকি এলাকার যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে পড়েছে।
সেচ দফতর জানিয়েছে, একাধিক জীয়গায় বাঁধ ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন সেচ দফতরের আধিকারিকরা। বাঁধ মেরামতির কাজ চলছে।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে