Darjeeling: গরমে পাহাড়ে জলসঙ্কট, রেকর্ড দামে জল কিনতে হচ্ছে স্থানীয়দের
Darjeeling Water Crisis: গরমে পাহাড়ে জল সঙ্কট। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কার্শিয়ঙে ৪ দিন অন্তর মিলছে পানীয় জল।
মোহন প্রসাদ, দার্জিলিং: পুরসভার সরবরাহ করা জল আসছে চারদিন অন্তর। বাধ্য হয়ে সাড়ে ৫০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে জল। একটু শহরের থেকে দূরের এলাকা হলে জলের দাম পড়ছে ৭০০-৮০০ টাকা। এই অবস্থা কার্শিংয়-এর। স্থানীয় বাসিন্দা ও বিরোধীরা জল সঙ্কট নিয়ে সরব হলেও পুর কর্তৃপক্ষের দাবি, গরমে রিজার্ভারে জল কমে যাওয়ায় এই সমস্যা।
গরমে পাহাড়ে জল সঙ্কট
স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, কার্শিয়ঙে ৪ দিন অন্তর মিলছে পানীয় জল। বাধ্য হয়ে বাসিন্দাদের সাড়ে ৫০০ টাকা দিয়ে প্রত্যেকবার জল কিনতে হচ্ছে। গরমে এই ভয়াবহ জল সঙ্কট কার্শিয়ঙে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, প্রতিবছরই গরম পড়লে রাজ্যে পর্যটনের অন্যতম কেন্দ্র কার্শিয়ঙে জলের সঙ্কট দেখা দেয়। এবছর তা আরও চরমে।
কার্শিয়ং পুরসভার বোর্ডের দখল, অনীত থাপার নেতৃত্বাধীন ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চার দখলে। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, এবার গরম পড়ার পর থেকে একদিন অন্তর পুরসভার তরফে জল সরবরাহ করা হচ্ছিল। এখন তা চারদিন অন্তর করা হচ্ছে। কার্শিয়ংয়ের বাসিন্দা প্রভাবতী দেবী বলেন, "জলের সমস্যা প্রচুর। লাইনে দাঁড়িয়ে জল নিতে হচ্ছে। অনেক সময় লাগছে। চারদিন অন্তর জল পাওয়া যাচ্ছে।"
চলছে জলের ব্যবসা
এই অবস্থায় রমরমিয়ে চলছে জলের ব্যবসা। যে সব জায়গায় জলের প্রাকৃতিক উত্স্য রয়েছে, সেখানে থেকে পিক আপ ভ্যানে আনা ২টি ট্যাঙ্ক ভর্তি জল কিনতে হচ্ছে সাড়ে ৫০০ টাকায়। একটু দূরের এলাকা হলে জলের দাম বেড়ে হচ্ছে ৭০০-৮০০ টাকা। স্থানীয় বাসিন্দা সুভাষ লামা বলেন, "রাতে পিক আপ ভ্যান আসে। তার জন্য অপেক্ষা করতে হয়। পুরসভার ম্যানেজমেন্টের ত্রুটির কারণে জল কিনতে হচ্ছে।"
জল সঙ্কটে পুরসভার ভূমিকার বিরুদ্ধে সরব তৃণমূলও। তৃণমূল নেতা ও প্রাক্তন চেয়ারম্যান প্রদীপ প্রধান বলেন, "জলের সমস্যা আছে। সরকারের টাকা খরচ হচ্ছে না। দুর্নীতি হচ্ছে। ঠিকাদার খাচ্ছে টাকা। ড্রাই সিজন ন্যাচারোল সোর্সে জল কমে যায়। পুরসভা শুধু জল সরবরাহ করে , রিজার্ভারে কমে যায় জল। তাই চারদিন অন্তর জল দেওয়া হচ্ছে। আমরা চেষ্টা করছি পরিষেবা উন্নত করার । সরকারকে জল প্রকল্পের প্রস্তাব দিয়েছি।"
স্থানীয় বাসিন্দাদের প্রশ্ন, জলের ব্যবসায়ীরা যদি প্রাকৃতিক উত্স থেকে জল তুলে তা বিক্রি করতে পারেন, তাহলে পুরসভা কেন সেই জল নিয়ে সরবরাহ করছে না? এই চাপানউতোরের মধ্যে কার্শিয়ংবাসীর একটাই প্রশ্ন, গরমে জল সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে কবে?