Bardhaman News: শববাহী গাড়িতে চাপিয়ে মৃতদেহ পাচার! বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজে অপরাধচক্রের পর্দাফাঁস, গ্রেফতার ৫
Bardhaman Medical College: যে সে হাসপাতাল নয়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে দেহ পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে।
কমলকৃষ্ণ দে, পূর্ব বর্ধমান: বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে দেহ পাচারের অভিযোগ উঠল (Bardhaman Medical College)। গোটা ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে বর্ধমানে। মেডিক্যাল কলেজের তিন জন কর্মী-সহ মোট ছয় জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য় ডেকে পাঠায় বর্ধমান থানার পুলিশ। বেশ খানিক ক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সকলকে। পরে তাঁদের মধ্যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে খবর। (Bardhaman News) এই চক্রের সঙ্গে আর কে বা কারা যুক্ত, তদন্ত করে দেখছে বর্ধমান থানার পুলশ।
মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গ থেকে একাধিক দেহ পাচার হচ্ছিল বলে অভিযোগ
যে সে হাসপাতাল নয়, বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে দেহ পাচারের অভিযোগ সামনে এসেছে। অভিযোগ, বুধবার সকালে মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গ থেকে একাধিক দেহ পাচার হচ্ছিল। শববাহী গাড়িতে তুলে দেহগুলি পাচার করা হচ্ছিল বলে অভিযোগ। কিন্তু দেহগুলি পাচার হয়ে যাওয়ার আগেই অপরাধের পর্দাফাঁস হয়ে যায়।
মেডিক্যাল কলেজ হাসপতাালের নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতাই এই অপরাধ চক্রের পর্দাফাঁস সম্ভব হয়েছে। মৃতদেহ সমেত শববাহী ওই গাড়িটিকে হাতেনাতে পাকড়াও করা হয়। তাতে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে হাসপাতাল সংলগ্ন এলাকায়। গোটা ঘটনার খবর পৌঁছয় বর্ধমান থানার পুলিশের কাছেও। এই চক্রের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তিন কর্মী-সহ মোট ছয় জনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: Birbhum News:অধ্যাপক থেকে আশ্রমিক, শান্তিনিকেতনে পুরনো পরিবেশ ফেরাতে উদ্যোগী সকলেই
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃতদেহ পাচার করা হচ্ছে, এমন খবর জানতে পেরে তৎপর হন নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা কর্মীরা। এর পর গাড়িটি হাতেনাতে পাকড়াও করেন তাঁরা। তার পর পুলিশকে বিষয়টি জানানো হয়। অনুমতি ছাড়াই দেহগুলি মেডিক্যাল কলেজের পুলিশ মর্গ থেকে বের করে নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল বলে জানিয়েছেন বর্ধমান মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ কৌস্তভ নায়েক।
কে বা কারা চক্রের সঙ্গে যুক্ত, খতিয়ে দেখছে পুলিশ
বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজের মর্গ থেকে দেহ পাচারের এই ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। তবে এই প্রথম নয়, রোগীদের নিরাপত্তা থেকে অব্যবস্থা নিয়ে আগেও একাধিক অভিযোগ সামনে এসেছে। করোনার সনময় এই অভিযোগ চরমে উঠেছিল। স্বাস্থ্যকর্মীদের উদাসীনতা এবং দায়িত্বজ্ঞানহীনতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন রোগীর পরিবার এবং পরিজনরা। তার পর মৃতদেহ পাচারের মতো গুরুতর ঘটনা সামনে এল। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।