Garden Reach Building Collapse:ধ্বংসস্তূপ থেকে উদ্ধার আরও এক দেহ, গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১০
Death Toll In Building Collapse:গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১০। ধ্বংসস্তূপ থেকেই উদ্ধার আরও একজনের দেহ।বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও একজনকে।
কলকাতা: গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে মৃত বেড়ে ১০ (Garden Reach Building Collapse Death Toll)। ধ্বংসস্তূপ থেকেই উদ্ধার আরও একজনের দেহ। বেআইনি বহুতল ভেঙে পড়ার ঘটনায় গ্রেফতার করা হল আরও একজনকে। প্রোমোটারের পর এবার গ্রেফতার জমির মালিক। গার্ডেনরিচ থেকেই গ্রেফতার করা হয়েছে মহম্মদ সরফরাজ ওরফে পাপ্পুকে। সূত্রের খবর, এদিন যাঁর দেহ মিলেছে, তাঁর নাম মহম্মদ জামিল। তিনি গার্ডেনরিচেরই বাসিন্দা। এদিকে মর্মান্তিক ঘটনার ২ দিন পেরিয়ে যাওয়ার পরও ধ্বংসস্তূপে একজন আটকে বলে উদ্ধারকারীদের দাবি।
যা যা জানা গেল...
রবিবার গভীর রাতে যে ঘটনা ঘটেছিল, তার পর থেকে মৃতের সংখ্যায় রাশ টানা যাচ্ছে না। গত কাল, সোমবার, গার্ডেনরিচ-কাণ্ডে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৯। এদিন সেই তালিকায় আরও এক জনের নাম জুড়ল। স্বজন হারার কান্না এখন যেন ওই চত্বরটার আনাচে কানাচে কান পাতলেই শোনা যায়। গার্ডেনরিচের বহুতলে রাজমিস্ত্রির কাজে এসে, প্রাণ গিয়েছে মুর্শিদাবাদ ও হুগলির ২ জন শ্রমিকের। একজনের নাম শেখ নাসিমুদ্দিন, অপরজন শেখ আবদুল্লা। মাত্র ৪ মাস আগে বিয়ে করেন আবদুল্লা। স্বামীকে হারিয়ে এখন অথৈ জলে পরিবার। কিন্তু যে বেআইনি নির্মাণের জেরে এই পরিণতি বলে অভিযোগ, তার নেপথ্যে মূল অভিযুক্তদের শাস্তি হবে তো? লক্ষণীয় বিষয়, এদিন মেয়র ফিরহাদ হাকিমের সুর শোনা যায় এই ঘটনায় ধৃত প্রোমোটারর গলাতেও। 'কাউন্সিলর কিছু জানতেন না', দাবি ধৃত মহম্মদ ওয়াসিমেরও। মেয়র ফিরহাদ হাকিমও বলেছেন, 'কোন বিল্ডিং বেআইনি, সেটা কাউন্সিলরের জানার কথা নয়।' জলাজমি বুজিয়ে নির্মাণের কথা জানতাম না, দাবি করেন এলাকার কাউন্সিলরও। সব মিলিয়ে শোকের আবহেই সংশয়ের মেঘ।
সংশয় কেন?
গার্ডেনরিচকাণ্ডে আরও প্রকট হচ্ছে তৃণমূলের সঙ্গে ধৃত প্রোমোটারের 'সখ্য'। এর আগে, স্থানীয় তৃণমূল কাউন্সিলরের সঙ্গে ধৃত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিমের ছবি দেখা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছিল। আর এবার সামনে আসে, গত ২১ জুলাইয়ের ভাইরাল ভিডিও। সেখানে দেখা যাচ্ছে, দলের পতাকা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন তৃণমূল কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই হাঁটছেন গার্ডেনরিচকাণ্ডে ধৃত অভিযুক্ত প্রোমোটার মহম্মদ ওয়াসিম। লোকসভা ভোটের মুখে এমন ছবি অস্বস্তি বাড়াতে পারে শাসকদলের। তার উপর ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষের গলায় অন্য সুর। বলেন, 'যে চেয়ারে বসে, নিয়ন্ত্রণের দায় তার। আমার ওয়ার্ডে হলে দায় এড়াতে পারতাম না।' এবিপি আনন্দকে এক্সক্লুসিভ তাঁর সংযোজন, 'কাউন্সিলর বলছেন জানতেন না, আমার ওয়ার্ডে হলে আমাকেও ব্যাখ্যা দিতে হত। প্রোমোটারের সঙ্গে কাউন্সিলর সব সময় সঙ্গে থাকলে দায় এড়াতে পারি না।'
আরও পড়ুন:রাস্তায় হাতাহাতিতে জড়ালেন নিশীথ-উদয়ন, তৃণমূল-বিজেপি সংঘর্ষে উত্তপ্ত দিনহাটা