Delo Kalimpong : ভয়াবহ ধসের পর, এখনও বিপর্যস্ত ডেলোর রাস্তা, নাস্তানাবুদ পর্যটকরা
ডেলোর অদূরে বুদ্ধ পার্কের কাছে অর্ধেক রাস্তা ধসে মুছে গিয়েছে। যেটুকু বেঁচে আছে, তা একেবারে ক্ষতবিক্ষত। অথচ শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরশুম।
উমেশ তামাং, দার্জিলিং : ২৯ জুলাই ২০২১। ভয়াবহ ধসের সাক্ষী হয়েছিল কালিম্পং। সেবক-রংপো রেল প্রকল্পের কাজ চলাকালীন পাহাড় থেকে নেমে আসা ধসে চাপা পড়ে মারা যান দুই শ্রমিক। নিখোঁজ হয়ে যান চারজন। তারপর দুমাসের বেশি সময় অতিক্রান্ত। ধসের ক্ষত এখনও দগদগে কালিম্পংয়ের রাস্তায়।
জেলার সেরা ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশন ডেলো পাহাড়ের কাছে এখনও বিপর্যস্ত অবস্থাতেই পড়ে রয়েছে পাহাড়ি রাস্তা। ডেলোর অদূরে বুদ্ধ পার্কের কাছে অর্ধেক রাস্তা ধসে মুছে গিয়েছে। যেটুকু বেঁচে আছে, তা একেবারে ক্ষতবিক্ষত। অথচ শুরু হয়ে গিয়েছে উৎসবের মরশুম। ডেলোর প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের টানে সমতল থেকে রওনা হচ্ছেন পর্যটকরা।
আরও পড়ুন :
তিস্তা আর রঙ্গিতের বুকে উথালপাথাল স্রোতে তরী, কালিম্পংয়ে ফের চালু রিভার রাফটিং
কিন্তু খারাপ রাস্তার কারণে ডেলো পাহাড় থেকে দুকিলোমিটার নিচে ডেলো ফটকের কাছে নামিয়ে দিতে হচ্ছে পর্যটকদের। কারণ বাস হোক বা বড় গাড়ি, কারোর পক্ষেই আর এগোনো সম্ভব হচ্ছে না। বাসচালক পরিমল জানালেন, ' রাস্তা বন্ধ থাকায় ট্যুরিস্টরা বিরক্ত হচ্ছেন। আগে নামিয়ে দেওয়ায় তাঁরা আমাদের ওপর রেগে যাচ্ছেন।' পর্যটক চিরঞ্জিৎ প্রামাণিক জানালেন, রাস্তা খারাপ থাকার কারণে বেড়াতে এসে প্রচুর সমস্যার মুখে পড়েছেন। একই অবস্থা অন্যান্য পর্যটকদেরও।
পুজোর মরশুমে এমনটা চলতে থাকলে ব্যবসায় ক্ষতির আশঙ্কা করছেন স্থানীয়রা। দ্রুত রাস্তা সংস্কারের দাবি জানাচ্ছেন তাঁরা। এবিষয়ে কালিম্পংয়ের এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, রাস্তা মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কলকাতায় প্ল্যান পাঠানো হয়েছে। সম্মতি মিললেই শিগগিরই কাজ শুরু হবে।
আরও পড়ুন :
পাহাড়ে অপূর্ব রঙের খেলা, তিস্তার নয়নাভিরাম দৃশ্য, পাহাড়ের শান্তি, ঘুরে আসুন পানবু ভিউ পয়েন্ট
গত ৭ অগাস্ট ধস নামে কালিম্পং জেলার উনতিরিশ মাইল এলাকায়। তার জেরে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে বন্ধ হয়ে যায় যান চলাচল। অবরুদ্ধ হয়ে পড়ে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। কালিম্পং ও সিকিমের সঙ্গে শিলিগুড়ির সড়কপথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। সিকিম-কালিম্পং-শিলিগুড়ির মধ্যে সংযোগরক্ষাকারী ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক পাহাড়ের যোগাযোগ ব্যবস্থায় লাইফ লাইন হিসেবে পরিচিত। জেসিবি মেসিনের সাহায্যে ধস সরিয়ে রাস্তা পরিষ্কার করা হয়। এরপর থেকেই ভগ্নদশা কালিম্পংয়ের রাস্তার।