DA: অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি, কর্মবিরতির ডাক রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির
DA Agitation: অবিলম্বে, ৩১% বকেয়া DA মেটাতে হবে। নাহলে, মঙ্গলবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালিত হবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে। DA’র দাবি না মানলে, আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে।
![DA: অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি, কর্মবিরতির ডাক রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির Demand for immediate payment of DA dues, strike call by State Coordination Committee DA: অবিলম্বে বকেয়া ডিএ মেটানোর দাবি, কর্মবিরতির ডাক রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির](https://feeds.abplive.com/onecms/images/uploaded-images/2022/08/26/b0a61b8ddd7452fd74629e2dee4ec3e0166152369568751_original.jpg?impolicy=abp_cdn&imwidth=1200&height=675)
কলকাতা: অবিলম্বে বকেয়া ডিএ (DA) মেটানোর দাবিতে কর্মবিরতির ডাক। ৩০ অগাস্ট ২ ঘণ্টা কর্মবিরতির ডাক রাজ্য কো-অর্ডিনেশন কমিটির (West Bengal Co-Ordination Committee)। রাজ্য সরকার দাবি না মানলে আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি।
ডিএ মেটানোর দাবিতে কর্মবিরতির ডাক: শুক্রবার রাজ্য কোঅর্ডিনেশন কমিটির সাধারণ সম্পাদক বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, “বকেয়া ডিএ না দিলে, কাজ বন্ধ করে দেওয়া হবে। সরকারের টনক না নিলে লাগাতার কর্মবিরতি। প্রশাসনকে স্তব্ধ করে দেব। ৫ বছরে, সাড়ে ৭০০ কোটি টাকা পুজোয় খরচ করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু, ডিএ দিচ্ছে না। ভাঁড়ার শূন্য হলে শ্বেতপত্র প্রকাশ করুক। সেটা করছে না।’’
অবিলম্বে, ৩১% বকেয়া DA মেটাতে হবে। নাহলে, মঙ্গলবার ২ ঘণ্টা কর্মবিরতি পালিত হবে রাজ্যের সমস্ত সরকারি দফতরে। DA’র দাবি না মানলে, আগামীদিনে বৃহত্তর আন্দোলনে নামা হবে। শুক্রবার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ২৫টি সংগঠনের যৌথমঞ্চ থেকে দেওয়া হয় এমনই হুঁশিয়ারি। বিজয়শঙ্কর সিংহ বলেন, “প্রতিবাদ, ধিক্কার জানিয়ে এই কর্মসূচি। অতীতে দেখিনি, দুর্গোত্সবের জন্য ফুর্তি করতে টাকা দেয় কোনও সরকার। আগে দেখতাম চাঁদার টাকায় দুঃস্থদের জামা কাপড়-কম্বল দেওয়া হত। চাঁদার টাকা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়া হত। এখন মুখ্যমন্ত্রী ফুর্তি করতে চাঁদা দেয়।’’
৪৩ হাজার পুজো কমিটিকে, ৬০ হাজার টাকা করে পুজোর অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। অর্থাত্ অনুদান বাবদ রাজ্য সরকারের খরচ হবে ২৫৮ কোটি টাকা!এদিকে, সরকারি কর্মীদের বকেয়া DA মিটিয়ে দিতে হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিল, তা পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়েছে রাজ্য সরকার। এই পরিস্থিতিতে, মুখ্যমন্ত্রীর পুজোয় অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত খারিজের আর্জি জানিয়ে হাইকোর্টে দায়ের হয়েছে ৩টে জনস্বার্থ মামলা।
মামলাকারীর প্রশ্ন, আদালতের নির্দেশ মেনে সরকারি কর্মচারীদের DA না দিয়ে, কেন পুজোয় অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল? এরইমধ্যে, পুজোর অনুদান নিয়ে তৃণমূলকে নিশানা করেছে বিজেপি। বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, “বিজেপি পুজো বিরোধী না। বিজেপির মামলা করার দরকার নেই। তৃণমূল যখন জন্মায় নি তখন কি পুজো হতো না? তৃণমূল যখন টাকা দেয়নি, তখন কি পুজোর টাকা উঠত না? মানুষ নিজেরাই মামলা করছে। আমি বলব, যাদের স্বাভিমান আছে, তারা কেউ এই অনুদান নেবেন না। পাপের টাকা। শর্ত, দিদির ছবি লাগাতে হবে। নীল সাদা রং করতে হবে।’’ পুজোয় অনুদানের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে কলকাতা হাইকোর্টে যে জনস্বার্থ মামলাগুলি দায়ের হয়েছে, আগামী সোমবার তার শুনানির সম্ভাবনা।
আরও পড়ুন: Dilip Ghosh : "সুদে-আসলে হিসেব হবে, পাবলিকের মার একটাও বাইরে পড়বে না", হুঙ্কার দিলীপের
ট্রেন্ডিং
সেরা শিরোনাম
![ABP Premium](https://cdn.abplive.com/imagebank/metaverse-mid.png)