Howrah Dengue Update : পুজোর মুখে আরও ভয়াবহ ডেঙ্গি? ভয় ধরাচ্ছে হাওড়ার পরিসংখ্যান
Dengue Update : পুজোর সময় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও এদিন প্রকাশ করেছে নবান্ন।
সুনীত হালদার, হাওড়া : রাজ্যে ভয়ঙ্কর ডেঙ্গি ( Dengue ) পরিস্থিতির মধ্যে,রাজ্য় সরকারের বিরুদ্ধে বারবার তথ্য গোপনের অভিযোগ তুলছে বিরোধীরা। কিন্তু, স্বাস্থ্য দফতরের ( Health Department ) তরফে যে রিপোর্ট তুলে ধরা হচ্ছে, তাও যথেষ্ট উদ্বেগের! ২০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য়ে ডেঙ্গিতে আক্রান্ত হয়েছেন ৩৮ হাজার ১৮১। উত্তরবঙ্গের ৮ জেলায় আক্রান্ত হয়েছেন ৩ হাজার ২৭৬ জন। দক্ষিণবঙ্গের ২০টি জেলা ও স্বাস্থ্য জেলা মিলিয়ে সংখ্যাটা প্রায় ৩৫ হাজার! ডেঙ্গির ভয়াবহ ছবিটা উঠে এসেছে স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যানেও। হাওড়াতেও বাড়বাড়ন্ত ডেঙ্গির। ঘরে ঘরে ছড়াচ্ছে মশাবাহিত রোগ। পুজোর সময় ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেছে নবান্ন।
শহরের পাশাপাশি, গ্রামাঞ্চলেও বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা। তবে এখনও পর্যন্ত কারও মৃত্যু হয়নি বলে দাবি করেছে জেলা স্বাস্থ্য দফতর। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার হাওড়া পুরসভায় ডেঙ্গি নিয়ে বিশেষ বৈঠক রয়েছে। রাজ্যের দুই মন্ত্রী অরূপ রায় ও মনোজ তিওয়ারি ছাড়াও বৈঠকে থাকবেন জেলার অন্য বিধায়ক, জেলা মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ও হাওড়া পুরসভার আধিকারিকরা।
সরকারি হিসেবে, চলতি মরসুমে জানুয়ারি থেকে সেপ্টেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহ পর্যন্ত হাওড়া জেলায় মোট ১ হাজার ৭৮৭ জন আক্রান্ত হয়েছেন। হাওড়া পুর-এলাকা, বালি পুর-এলাকা, বালি-জগাছা ব্লক এবং সাঁকরাইলে ডেঙ্গি আক্রান্তের সংখ্যা সবথেকে বেশি। বিজেপির অভিযোগ, ডেঙ্গি নিয়ে তথ্য গোপন করছে হাওড়া পুরসভা। ডেথ সার্টিফিকেটে ডেঙ্গির উল্লেখ থাকছে না বলে অভিযোগ। তৃণমূলের পাল্টা তোপ, ঘরে বসে সমালোচনা না করে রাস্তায় নেমে ডেঙ্গি মোকাবিলা করুক বিজেপি।
ডেঙ্গি দমনে কড়া বার্তা দিল নবান্ন। সূত্রের খবর, মুখ্যমন্ত্রী গোটা পরিস্থিতি নিয়ে যথেষ্ট ক্ষুব্ধ এবং উদ্বিগ্ন! এদিনের বৈঠকে বলা হয়েছে, ডেঙ্গির হটস্পট বাড়ছে! চলতি সপ্তাহেই ডেঙ্গি সংক্রমণ আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে রাজ্য সরকার। পুর এলাকার পর এবার গ্রামাঞ্চলেও পড়তে পারে ডেঙ্গি ছড়িয়ে! ডেঙ্গি পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত ডেঙ্গি মোকাবিলায় যুক্ত আধিকারিক ও কর্মীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। কিন্তু, এখানেই বিরোধীরা প্রশ্ন তুলছে, এত পরে তৎপরতা কেন? পরিস্থিতি ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার পর, এখন কড়া বার্তা দিয়ে লাভ কী? এখন মিটিং, আধিকারিকদের ছুটি বাতিল করে, কি দায় সারতে পারে রাজ্য সরকার?
আরও পড়ুন: