Dharmendra Pradhan:'যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে,' নিয়োগ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী
Recruitment Scam: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে, বহু যোগ্য় তরুণ-তরুণীর ভবিষ্য়ৎ আজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। যাঁরা ক্লাসরুমে গিয়ে পড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের দিন, মাস, বছর কেটে যাচ্ছে রাস্তাতেই।
কলকাতা: রাজ্যের নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে এবার নাম না করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Abhishek Banerjee) নিশানা করলেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান (Dharmendra Pradhan)। দিলেন হুঁশিয়ারিও। পাল্টা কটাক্ষ করতে ছাড়েনি তৃণমূল। দুর্নীতি ইস্যুতে তৃণমূল-বিজেপি দুপক্ষেরই সমালোচনা করেছে বামেরা।
নাম না করে নিশানা: নিয়োগ দুর্নীতির জেরে, বহু যোগ্য় তরুণ-তরুণীর ভবিষ্য়ৎ আজ প্রশ্নচিহ্নের মুখে। যাঁরা ক্লাসরুমে গিয়ে পড়ানোর স্বপ্ন দেখেছিলেন, তাঁদের দিন, মাস, বছর কেটে যাচ্ছে রাস্তাতেই। আর নিয়োগ দুর্নীতির এই মামলাতেই নাম জড়িয়েছে একাধিক তৃণমূল নেতার। প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় থেকে তৃণমূল বিধায়ক ও প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য এখন জেলে। গ্রেফতার হয়েছেন যুব তৃণমূল নেতা কুন্তল ঘোষও। চাকরি বিক্রির টাকা আর কার কার পকেটে গেছে, তা খতিয়ে দেখছে ইডি-সিবিআই। এই প্রেক্ষাপটে, কলকাতায় এসে নিয়োগ-দুর্নীতি প্রসঙ্গে সরব হলেন মোদি সরকারের শিক্ষামন্ত্রী।
কী বললেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী?
নাম না করে আক্রমণ করলেন মমতা ও অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে। এদিন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান বলেন, “বাংলায় তৃণমূলের সরকার যত পাপ করেছে, এই ঘরা ভেঙে যাবে। বাংলার যুব সম্প্রদায়ের সঙ্গে তো বিশ্বাসঘাতকতা হয়েছে। মিডলম্যান তো মিডলম্যান হয়। কেউ শুরু করে, কেউ শেষ করে। শেষ তো হয়েছে নবান্নে। শেষ তো ভাইপোর ঘরে হয়েছে। শেষ তো পিসিমার অনুমতি নিয়ে হয়েছে। ওই পর্যন্ত দুর্নীতির শেষ আছে। সব সামনে আসবে।’’
বিজেপি শাসিত রাজ্য়ের প্রসঙ্গ টেনে পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি তৃণমূলও। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, “কিছু ক্ষেত্রে নিশ্চয় ভুল হয়েছে। অন্যায় হয়েছে। সেগুলো তদন্ত হচ্ছে। শাস্তি তাদের হবে। তার সঙ্গে ধর্মেন্দ্র প্রধানদের এসব বড় বড় কথার কোনও যুক্তি নেই। ত্রিপুরায় কী হয়েছে ধর্মেন্দ্র প্রধান। উত্তরপ্রদেশে রেড চলছে।’’ এই ইস্যুতে এদিন তৃণমূল এবং বিজেপিকে একযোগে আক্রমণ করেছে বামেরা। সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, " উনি অনেক কথা বলেছেন। সঙ্গত। তবে ব্যাপম দেখতে পাননি কেন? এই দুর্নীতির পিছনে তো কালীঘাট। নবান্নের নির্দেশে শিক্ষামন্ত্রী বদল হয়, প্রশাসনিক কর্তারা বদল হয়।'' শনিবার বঙ্গ সফরে এসে কলকাতার ভূতনাথ মন্দিরে পুজো দেন কেন্দ্রীয় শিক্ষামন্ত্রী। দুপুরে কাশীপুর বেলগাছিয়া অঞ্চলে এক দলীয় কর্মীর বাড়িতে মধ্যাহ্নভোজ সারেন।
আরও পড়ুন: Arms Recover: পঞ্চায়েত ভোটের আগে বোমা-বারুদের স্তূপ, জেলায় জেলায় উদ্ধার আগ্নেয়াস্ত্র, কার্তুজ