BJP Workers Attacked : বিহারে 'NDA-র জয় উদযাপন করার শাস্তি',অভিষেক গড়ে BJP কর্মীকে অস্ত্রের কোপ, ফাটল মাথা
BJP Celebration: প্রতিটি আঘাতের বদলা নেওয়া হবে বলে হুঙ্কারও দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, বাংলাকে পাপমুক্ত না করা পর্যন্ত বিজেপি থামবে না !

কলকাতা : বিহারে বিজেপি ও জেডিইউ জোটের ল্যান্ড স্লাইড ভিকট্রির পর শুক্রবারই উল্লাসে মাতেন বঙ্গ বিজেপির কর্মী সমর্থকরা। মুরলি ধর সেন লেনে রাজ্য বিজেপির দফতর হোক বা রাজ্য বিজেপির সল্টলেকের অফিস, দুই জায়গাতেই দেখা যায়. বিজেপি কর্মীদের উচ্ছ্বাস। ঢাক-ঢোল বাজিয়ে নাচানাচি, আবির খেলা- বাদ যায়নি কিছুই। বিধানসভা চত্বরে লাড্ডু বিলি করেন শুভেন্দু অধিকারী। বিজেপির মাথাদের হুঁশিয়ারি, বিহারের পর এবার পালা বাংলার।
এই আবহেই বিহারে এনডিএ-র জয় উদযাপন করতে গিয়ে ডায়মন্ডহারবারে আক্রান্ত হয়েছেন একাধিক বিজেপি নেতা। পোস্ট করে দাবি করেছেন বিজেপি সাংসদ , কেন্দ্রীয় মন্ত্রী, সুকান্ত মজুমদার। এতে আক্রান্ত হয়েছেন ডায়মন্ডহারবারের বিজেপির সাধারণ সম্পাদক, ২ নম্বর মণ্ডল সভাপতি, ৫ নম্বর মণ্ডল সভাপতি সহ একাধিক নেতা। সুকান্ত মজুমদারের অভিযোগ, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মদতপুষ্ট দুষ্কৃতীদের হাতে আক্রান্ত হয়েছেন বিজেপির একাধিক নেতা। তাঁর দাবি, বিজেপি নেতাদের শরীরে ধারাল অস্ত্রের কোপ মারা হয়েছে। মাথা ফাটিয়ে দেওয়ার হয়েছে। প্রতিটি আঘাতের বদলা নেওয়া হবে বলে হুঙ্কারও দেন সুকান্ত মজুমদার। তিনি লেখেন, বাংলাকে পাপমুক্ত না করা পর্যন্ত বিজেপি থামবে না !
অন্যদিকে বিহারের বিধানসভা ভোটে বিজেপির জয়ে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে কোচবিহারের দিনহাটা। বিজেপির বিজয় মিছিলে বাধা দেওয়ার অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অভিযোগ, শুক্রবার রাতে বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় রায় দলীয় কর্মীদের নিয়ে মিছিল বের করলে পুলিশের সঙ্গে শুরু হয় বচসা। পুলিশ সূত্রে খবর, অনুমতি না থাকায় বাধা দেওয়া হয়। এরপরই পুলিশের সঙ্গে ধস্তাধস্তিতে জড়ান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। এই ঘটনায় বিজেপির জেলা সম্পাদক অজয় রায় সহ আরও এক বিজেপি কর্মীকে গ্রেফতার করে দিনহাটা থানার পুলিশ। অন্যদিকে, এদিনই বিজেপি নেতা অজয় রায়ের বাড়ি লক্ষ্য করে ইট ছোড়ার অভিযোগ উঠছে তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যদিও বিজেপির এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে তৃণমূল।
এদিন বিহারে গেরুয়া ঝড়ের আবহেই বিজেপির রাজ্য় সভাপতি শমীক ভট্টাচার্য এদিন ইঙ্গিতপূর্ণভাবে মেট্রো স্টেশনের একটি ছবি পোস্ট করেন, যেখানে লেখা রয়েছে কালীঘাট। বিজেপির রাজ্য সভাপতি লেখেন, পরবর্তী স্টেশন, প্লাটফর্ম বাঁ-দিকে! বিহারের এই বিপুল জনসমর্থনের ঢেউ এসে পৌঁছবে পশ্চিমবঙ্গেও।
বিহারে বিজেপি বরাবরই সাংগঠনিকভাবে অত্যন্ত শক্তিশালী। কিন্তু পশ্চিমবঙ্গে এখনও সব বুথে পৌঁছনোর মতো শক্তি কি তাদের হয়েছে? যেভাবে বাংলায় লোকসভা ভোটে এবং একের পর এক বিধানসভা কেন্দ্রের উপ নির্বাচনে বিজেপির ভরাডুবি হয়েছে, তারপর কি এ রাজ্য়ে তৃণমূলকে টেক্কা দেওয়া তাদের সম্ভব? এইসব প্রশ্ন থাকলেও, বিজেপি কিন্তু বঙ্গ জয়ের বিষয়ে আশাবাদী।






















