Digha Jagannath Temple: আজ হবে মহাযজ্ঞ, বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন
Jagannath Temple Update: বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। সেজে উঠেছে সৈকতনগরী। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞের পর, অক্ষয় তৃতীয়ায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে বিগ্রহের।

অর্ণব মুখোপাধ্যায়, দিঘা: অক্ষয়তৃতীয়ায় উদ্বোধন হতে চলেছে দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের (Digha Jagannath Temple)। মঙ্গলবার হবে মহাযজ্ঞ, পরদিন বিগ্রহে প্রাণপ্রতিষ্ঠা। সেজে উঠেছে সৈকতনগরী। মেগা ইভেন্টের ২দিন আগেই দিঘায় পৌঁছে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী। খতিয়ে দেখলেন শেষমুহূর্তের প্রস্তুতি। এদিকে, নবনির্মিত মন্দিরের কাছেই জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে, পুরীর দ্বৈতাপতির উপস্থিতিতে করা হল যজ্ঞ। এবিপি আনন্দের ক্যামেরায় ধরা পড়ল এক্সক্লুসিভ ছবি।
জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন: বুধবার দিঘার জগন্নাথ মন্দিরের দ্বারোদঘাটন। সেজে উঠেছে সৈকতনগরী। মঙ্গলবার মহাযজ্ঞের পর, অক্ষয় তৃতীয়ায় প্রাণপ্রতিষ্ঠা হতে চলেছে বিগ্রহের। সোমবারই অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস ও দমকলমন্ত্রী সুজিত বসুকে সঙ্গে নিয়ে দিঘায় পৌঁছে গেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মন্দির চত্বর ঘুরে দেখার পাশাপাশি, অতিথি অভ্যাগতদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, "দিঘার সৈকতসরণিতে যে জগন্নাথ ধাম তৈরি হয়েছে, এটা হাজার হাজার বছর ধরে, বাংলার স্থাপত্য, বাংলার যে নতুন প্রজন্ম, পুরনো প্রজন্মের জন্য নতুন একটা কৃষ্টি, একটা সংস্কৃতি, একটা সম্প্রীতি, একটা মিলিত হওয়া।''
সূত্রের খবর, প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা খরচ করে, দিঘা রেল স্টেশনের কাছেই পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি করা হয়েছে নতুন এই মন্দির। বুধবার উদ্বোধনের পর যার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। সোমবার, সৈকতনগরীতে নবনির্মিত মন্দির থেকে ১ কিলোমিটার দূরে, জগন্নাথ দেবের মাসির বাড়িতে ধুমধাম করে করা হল যজ্ঞ। দিঘায় জগন্নাথ মন্দিরের উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে, পুরীর মন্দির থেকে এসেছেন রাজেশ দ্বৈতাপতি। ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান নিজে দাঁড়িয়ে থেকে পরিচালনা করতে দেখা গেল তাঁকে।
দিঘা রেল স্টেশনের একেবারে কাছে মাথা তুলেছে জগন্নাথ মন্দির। ২০ একর জায়গার ওপর, মন্দির নির্মাণ করেছে হিডকো। খরচ হয়েছে প্রায় আড়াইশো কোটি টাকা। দিঘায় নবনির্মিত জগন্নাথ মন্দির উদ্বোধনের পর তার দায়িত্ব তুলে দেওয়া হবে ইসকনের হাতে। পুরীর মন্দিরের মতোই, দিঘার জগন্নাথ মন্দিরেও ৪টি দুয়ার। মন্দিরের মূল ফটক দিয়ে ঢোকার পর, প্রথমেই পড়বে দীপস্তম্ভ। তারপর অরুণ স্তম্ভ। অরুণ দুয়ার পার করে, একটু এগোলেই, সামনে পড়বে সিংহ দুয়ার। সিংহ দুয়ারের ঠিক উল্টোদিকে ব্য়াঘ্র-দুয়ার। মন্দিরের দিকে মুখ করে দাঁড়ালে, বাঁ হাতে পড়বে হস্তি দুয়ার। আর ডানদিকে, অশ্ব দুয়ার। পুরীর মন্দিরের মতোই, এখানেও মূল মন্দিরের ৪টি ভাগ। গর্ভগৃহ, তার সামনে জগমোহন, তারপর নাটমণ্ডপ এবং তারপর ভোগমণ্ডপ। মন্দির উদ্বোধন উপলক্ষে আলো দিয়ে সাজানো দিঘা। ভেতরে ও বাইরে বসার জন্য তৈরি হয়েছে পার্ক।






















