East Midnapur News: ২০ লক্ষ টাকা ভাড়া বকেয়া, শিক্ষক দিবসে বন্ধ হল জেলা স্কুল পরিদর্শকের অফিস
শিক্ষাকর্মীদের অফিসের বাইরে বের করে, মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বাড়ির মালিকের ছেলে।
বিটন চক্রবর্তী, পূর্ব মেদিনীপুর: ৩ বছর ধরে বাড়িভাড়া বাকি রয়েছে প্রায় ২০ লক্ষ টাকা! এই অভিযোগ তুলে, পূর্ব মেদিনীপুরে স্কুল পরিদর্শক প্রাথমিকের অফিসে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বাড়িমালিকের ছেলে। শিক্ষক দিবসেই তালা পড়ল শিক্ষা সংক্রান্ত অফিসে! তা নিয়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা। অফিস অন্যত্র সরানোর আশ্বাস দিয়েছেন জেলাশাসক।
শিক্ষক দিবসের দিনই তালা পড়ে গেল পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা স্কুল পরিদর্শক প্রাথমিক শিক্ষার অফিসে। শিক্ষাকর্মীদের অফিসের বাইরে বের করে, মূল গেটে তালা ঝুলিয়ে দিলেন বাড়ির মালিকের ছেলে। অভিযোগ, বিপুল টাকার বাড়ি ভাড়া বকেয়া। শিক্ষা দফতরকে বারবার জানিয়েও হয়নি সুরাহা। আর সেকারণেই শেষ পর্যন্ত চরম সিদ্ধান্ত।
বাড়ির মালিকের ছেলে শেখ তাহিদুলের কথায়, বারবার শিক্ষাদফতরে জানিয়েছি। তারপরেও ভাড়া মেটায়নি। আগে থাকতেই জানিয়েছিলাম। এবার বন্ধ করে দিলাম। পূর্ব মেদিনীপুরের জেলা সদর তমলুক শহরে এই হল শেখ আকবর আলির বাড়ি।
যার ৩টি তলায় ভাড়া নিয়ে চলত জেলা বিদ্যালয় পরিদর্শক প্রাথমিক, জেলা গণ শিক্ষা ও জেলা শারীর শিক্ষা দফতর। বাড়িওয়ালার পরিবারের অভিযোগ, গত ৩ বছর ধরে ৩টি অফিসের ভাড়া বাবদ প্রায় ২০ লক্ষ টাকা বকেয়া রয়েছে। গত সপ্তাহে মাত্র ৫০ হাজার টাকা ভাড়া মিটিয়েছে রাজ্য সরকার। শুধু জেলা স্কুল পরিদর্শক প্রাথমিক অফিসেরই ভাড়া বাকি রয়েছে সাড়ে ৯ লক্ষ টাকা।
ভাড়া বাড়িতে এখন তিনটি অফিসই তালা বন্ধ। পূর্ব মেদিনীপুরের ডিআই প্রাইমারি কর্মী সন্দীপ পাছাড় একমাস ধরে জল বন্ধ করে দিয়েছে। আমাদের খুব সমস্যা হয় বাথরুম তেতে, জল বাইরে থেকে আনতে হয়।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার বিজেপি সভাপতি তপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের কথায়, এই সরকার কোটি কোটি দুর্নীতি। খেলা মেলায় টাকা বিলোচ্ছে। শিক্ষার আঁতুড়ঘর পূর্ব মেদিনীপুরে ডিআই অফিসে তালা পড়ছে, এলজ্জা আমাদের।
তমলুক সাংগঠনিক জেলার তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি সৌমেন মহাপাত্রের কথায়, বিজেপি সব বিষয়েই কটাক্ষ করে। জানল কী করে ভাড়া বাকি আছে। ওরা সব বিষয়েই সমালোচনা করে।
পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক পূর্ণেন্দু মাজির কথায়, ৩টি অফিসই জেলাশাসকের অফিস চত্বরে নিয়ে আসা হবে। শিক্ষক দিবসের দিন এভাবে বন্ধ হওয়া দুঃখজনক।
সোমবার ডিআই অফিসে তালা লাগিয়ে দেওয়ার পর কর্মীদের জিনিসপত্র নেওয়ার জন্য ফের তা খুলে দেন বাড়িমালিকের ছেলে। মঙ্গলবার থেকে পাকাপাকি ভাবে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।