Congress News:জাতীয় স্তরে জোট ইস্য়ুতে বাংলায় কংগ্রেসের অন্দরেই কি ভিন্ন সুর?
National Alliance Issue:জাতীয় স্তরে জোট ইস্য়ুতে বাংলায় কংগ্রেসের অন্দরেই কি ভিন্ন সুর? অধীর চৌধুরীর বক্তব্যের উল্টো সুর কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর গলায়।
সমীরণ পাল, সুদীপ্ত আচার্য ও বিটন চক্রবর্তী, কলকাতা: জাতীয় স্তরে জোট ইস্য়ুতে বাংলায় কংগ্রেসের (Congress) অন্দরেই কি ভিন্ন সুর? অধীর চৌধুরীর (Adhir Ranjan Chowdhury) বক্তব্যের উল্টো সুর কংগ্রেস নেতা তথা আইনজীবী কৌস্তভ বাগচীর (Kaustav Bagchi) গলায়। কৌস্তভ বাগচীর একটি পোস্ট ঘিরে তৈরি হয়েছে এই জল্পনাই। কটাক্ষ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল। চাইলে বিজেপিতেও আসতে পারেন কৌস্তভ, মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর।
কী প্রেক্ষাপট?
জোট ইস্য়ুতে বাংলায় কংগ্রেসের অন্দরেই কি ভিন্ন সুর? অধীর চৌধুরীর উল্টো সুর কৌস্তভ বাগচীর গলায়? প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির মন্তব্য় এবং তারপর কংগ্রেসের আইনজীবী নেতার সোশাল মিডিয়া পোস্ট ঘিরে এই গুঞ্জন শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। অধীর চৌধুরী বরাবরই তৃণমূলের কট্টর বিরোধী হিসেবে পরিচিত! এমনকী, বেঙ্গালুরুতে বিরোধী জোট ইন্ডিয়ার আত্মপ্রকাশের পরও
সেই অবস্থানে অনড় থেকেছেন অধীর চৌধুরী। কিন্তু, লোকসভা থেকে তাঁর সাসপেনশনের প্রতিবাদে কংগ্রেসের পাশে দাঁড়ায় তৃণমূল। এরপরই বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করে, এবার কি তাহলে জোট ইস্য়ুতে নরম অবস্থান নিতে পারেন অধীর চৌধুরী? এই প্রেক্ষাপটে একটি সাক্ষাৎকারে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বলেন, 'পুকুর এবং নদীর মধ্যে ফারাক আছে। আমার কাছে বাংলা হল পুকুর। আর ভারত হল নদী। আমি যেটা বলতে চাই, সেটাই বলি। পিছন থেকে কথা বলি না।' এই প্রেক্ষাপটে বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠছে, তা হলে কি অধীর চৌধুরী এটাই বোঝাতে চাইলেন যে, আপাতত জাতীয় রাজনীতির বাধ্য়বাধকতাই তাঁর কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ? লোকসভা ভোটে কংগ্রেস তৃণমূলের হাত ধরবে কি না, সেই প্রশ্নের উত্তরে অধীর চৌধুরী বলেন,'রাজনীতি সম্ভাবনার শিল্প।' এরপরই বাংলার কংগ্রেস নেতা কৌস্তুভ বাগচী কারও নাম না করে, সোশাল মিডিয়ায় লেখেন, 'পুকুর ,নদী বুঝিনা। দিল্লির স্বার্থে আর গিনিপিগ হতে রাজি না। তৃণমূল আমাদের চোখে চোর ছিল আছে থাকবে। তৃণমূল আমাদের চোখে গণতন্ত্রের হত্যাকারী ছিল আছে ও থাকবে।' অধীরের উল্টো সুর কৌস্তভের? কটাক্ষের সুর তৃণমূলের গলায়। তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, 'ছোট ছেলে। যারা বলেছিল গলি গলি মে শোর হ্যায় রাজীব গাঁধী চোর হ্যায় তাঁদের সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।' অন্য দিকে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, 'বিজেপি বিরোধিতায় অন্য দলগুলির একজোট হওয়ার ক্ষেত্রে কোনওদিনই তৃণমূল ছিল না। এখন আরএসএস বলেছে তাই মমতা এসেছেন।'
কী বললেন বিরোধী দলনেতা?
শুভেন্দু অধিকারীর কথায়, 'যা বলেছে সঠিক। ওখান থেকে বেরিয়ে আসা উচিত। মনে করলে বিজেপিতেও আসতে পারে।' সামনেই লোকসভা ভোট। জাতীয় স্তরে জোট হলেও বাংলায় কি কংগ্রেস ও তৃণমূলের এক ছাতার তলায় আসা সম্ভব? সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।
আরও পড়ুন:সেরা খেলা বার করে আনতে আরও সময় দরকার, AFC কাপ ম্যাচের আগে বলছেন বাগান কোচ