Domjur: মূল্যবৃদ্ধির বাজারেও অভিনবত্ব, ডোমজুড়ে ১ টাকার তেলেভাজাতেই রসনাতৃপ্তি
Domjur: সকাল থেকেই দোকানে ভিড় লেগেই আছে। গরম তেলের কড়াইয়ে ভাসছে মুচমুচে তেলেভাজা। দেখে পথচলতি মানুষের লোভ সামলানো দায়। দাম মাত্র ১ টাকা।
সুনীত হালদার, ডোমজুড় (হাওড়া): মূল্যবৃদ্ধির জমানায় ১ টাকায় তেলেভাজা বেচে মানুষের রসনাতৃপ্ত করছেন ডোমজুড়ের চপের দোকানের মালিক। সকাল থেকেই দোকানে ভিড় লেগেই আছে। গরম তেলের কড়াইয়ে ভাসছে মুচমুচে তেলেভাজা। দেখে পথচলতি মানুষের লোভ সামলানো দায়। দাম মাত্র এক টাকা। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে গত ৩০ বছর ধরে এভাবেই তেলেভাজা বিক্রি করে মানুষের রসনাতৃপ্তি মেটাচ্ছেন ডোমজুড়ের চপের দোকানের মালিক গোপাল দে।
আদি বাড়ি হাওড়ার আমতায়। আর্থিক প্রতিকূলতার কারণে পড়াশোনা বেশি দূর হয়নি। তাই রুটি-রুজির টানে বাবার হাত ধরে চলে আসেন ডোমজুড়ের সলপে। বছর পঞ্চাশেক আগে ডোমজুড়ের সলপ বাজারে রাস্তার ধারে পান-বিড়ির দোকান করেন গোপাল দে(৬৫)। কিন্তু ব্যবসায় সেভাবে লাভ না হওয়ায় বাবার কথামতো ৩০ বছর আগে তেলেভাজার দোকান খোলেন। ব্যস! শুরুতেই ছক্কা! ১ টাকায় গোপালবাবু চপ, মুড়ি, বেগুনি, কচুরি, ডালের বড়া, সিঙ্গারা, নিমকি সহ নানা সুস্বাদু খাবার বিক্রি করতে থাকেন। জিভে জল আনা সেই খাবারের স্বাদ পেতে খদ্দেররাও ভিড় জমাতে শুরু করেন। জমে যায় ব্যবসা। তারপর ৩০ টি বছর কেটে গেছে। কিন্তু গোপালবাবুর কোনও পরিবর্তন নেই। আজও একই ভাবে ১ টাকায় বিক্রি করছেন যাবতীয় তেলেভাজা। এই মূল্যবৃদ্ধির বাজারে যখন সব কিছুরই দাম হু হু করে বাড়ছে তখন কীভাবে তিনি এক টাকায় খদ্দেরদের তেলেভাজা দিচ্ছেন? গোপালবাবু জানান, তাঁর বাবা ব্যবসা শুরুর আগে পরামর্শ দিয়েছিলেন কম দামে তেলেভাজা বিক্রি করতে। যাতে গরীব মানুষ খেতে পারেন। তিনি আজও বাবার কথা অক্ষরে অক্ষরে মেনে চলছেন। বেসন, তেল, আলু, বেগুন, আটা অথবা ডালের দাম বাড়লেও তিনি চান না খাবারের দাম বাড়াতে। তাতে লাভের অঙ্ক কমলেও তার কিছু যায় আসে না।
বয়স বাড়লেও গোপালবাবু একই উৎসাহে কাজ করে চলেছেন। এক ছেলে মাঝে মাঝে বাজার করে দিয়ে গেলেও কার্যত একা হাতেই তিনি দোকান সামলান। সকাল, বিকেল এবং সন্ধ্যাবেলায় নিয়ম করে বিক্রি করেন বাঙালির প্রিয় তেলেভাজা। তিনি বলেন খাওয়ার পর মানুষের হাসি মুখ তাকে আনন্দ দেয়।