Drugs: কলকাতা বিমানবন্দরে ১১৩ কোটি টাকার মাদক উদ্ধার, নাম জড়াল আন্তর্জাতিক মাদক চক্রের
Drugs Smuggling: ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের গোয়েন্দারা নিশ্চিত, এই বিপুল পরিমাণ হেরোইন নির্দিষ্ট একটি গ্যাংয়ের কাছে নয়, বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের।
আবির দত্ত, কলকাতা: কলকাতা বিমানবন্দরে মাদক উদ্ধারে নাম জড়াল আন্তর্জাতিক চক্রের। বুধবার ১১৩ কোটি টাকার ১৬ দশমিক ১৪৫ কেজি মাদক উদ্ধারের ঘটনায় তিন বিদেশিকে গ্রেফতার করা হয়। ধৃতদের মধ্যে দু’জন কেনিয়া ও একজন মালাউইয়ের নাগরিক। সূত্রের খবর, দক্ষিণ আফ্রিকা থেকে আনা হয়েছিল হেরোইন। দুবাই হয়ে তা পৌঁছয় কলকাতায়। দিল্লিতে মাদক পাচারের ছক কষেছিল পাচারকারীরা।
আন্তর্জাতিক পাচার চক্রের যোগ
ডিরেক্টরেট অফ রেভিনিউ ইনটেলিজেন্সের গোয়েন্দারা নিশ্চিত, এই বিপুল পরিমাণ হেরোইন নির্দিষ্ট একটি গ্যাংয়ের কাছে নয়, বেশ কয়েকটি গ্যাংয়ের হাতে তুলে দেওয়ার পরিকল্পনা ছিল পাচারকারীদের। ধৃতদের জেরা করে সেই চক্রের হদিশ পাওয়ার চেষ্টা করছেন গোয়েন্দারা।
বর্ধমানে মাদকের কারবার
কিছুদিন আগে বর্ধমান থেকে কয়েক কোটি টাকার হেরোইন সহ বাবা ও ছেলেকে গ্রেফতার করা হয়। এসটিএফ সূত্রে খবর, হেরোইনের কারবার করে বহু টাকার সম্পত্তি গড়েছিলেন বাবর মন্ডল ও তাঁর ছেলে রাহুল মন্ডল। বাজারদরের থেকে অনেক বেশি দাম দিয়ে এক বছর আগেই বর্ধমানের বিবেকানন্দ কলেজের কাছে বাড়ি কিনেছিলেন তাঁরা। আগে গোটা বাড়ি সিসি ক্যামেরায় মুড়ে ফেলা হয়।
আরও পড়ুন লাইসেন্সই নেই দোকানের, তার উপর নিষিদ্ধ ওষুধের ব্য়বসায়, মালদায় গ্রেফতার ব্যবসায়ী
এসটিএফ সূত্রে জানা গিয়েছে, বাবর ও রাহুল জিজ্ঞাসাবাদ করে এসটিএফ জানতে পেরেছে বর্ধমান ও বর্ধমানের বাইরে বেশ কিছু সম্পত্তি ক্রয় করেছিলেন তাঁরা। বেশ কিছু নথিও এসটিএফ উদ্ধার করে। বাবরের স্ত্রী ও তার ছোট ছেলেকে নিয়ে ফের এসটিএফ বাবরের বিবেকানন্দ কলেজ মোড় এলাকার বাড়িতে তল্লাশি চালায়। বাবরের বাড়িতে থাকা গাড়িতে তল্লাশি চালানোর পর সেটি বাজেয়াপ্ত করে এসটিএফ। বহু কোটি টাকার মাদক কারবার কান্ডের তদন্তে ফের বর্ধমানে যায় রাজ্য পুলিশের স্পেশাল টাস্ক ফোর্স। বাবরকে গাড়িতে বসিয়ে রেখে তাঁর স্ত্রী ও ছোট ছেলেকে নিয়ে দীর্ঘক্ষণ তল্লাশি চালায় তারা।
মাদক কারবারের তদন্তে এসটিএফ
পুলিশ সূত্রে খবর, হাওড়ার গোলাবাড়ি থানায় একটি অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নামে রাজ্য পুলিশের এসটিএফ। টানা তিনদিন ধরে চলে অভিযান। প্রাথমিকভাবে তাদের অনুমান, হেরোইন তৈরি থেকে শুরু করে পাচার, সবটাই করত এই চক্র। এখানে তৈরি মাদকের বেশিরভাগটাই পশ্চিমবঙ্গ ও ওড়িশার বিভিন্ন এলাকায় পাঠানো হত। মাদক তৈরির কাঁচামাল আসত মণিপুর থেকে। সবমিলিয়ে, চক্রের জাল কতদূর বিস্তৃত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।